ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়- জেনে নিন

 প্রিয় পাঠক,অনলাইন প্লাটফর্মে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়। প্রতিদিন প্রতি সপ্তাহ বা প্রতি মাসে কিভাবে টাকা আয় হয় কিভাবেই বা এই টাকা তোলা যায়। এইসব প্রশ্ন নতুন ব্লগারদের মধ্যে থাকা স্বাভাবিক আমরা যারা ব্লগিং করি আমাদের সবার লক্ষ্য এটা করে অর্থ উপার্জন করা। আজকের যুগে কেউ তার আবেগের জন্য বা শুধুমাত্র মানুষকে সাহায্য করার জন্য ব্লগিং কে পেশা হিসেবে নেয়নি বরং এর সাথে আর্থিক দিকটাও জড়িত থাকে।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়


ব্লগিং হলো ইন্টারনেটে একটি ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক লেখা প্রকাশ করার মাধ্যম। ব্লগারের লক্ষ্য সাধারণত তথ্য অভিজ্ঞতা বা মনোরঞ্জন ভাগ করা সঠিক নির্বাচন মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি এবং নিয়মিত আপডেট ব্লগের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। আয় মূলত বিজ্ঞাপন, এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরড পোস্ট এবং ডিজিটাল প্রজেক্ট বিক্রির মাধ্যমে হয়। ব্লগিং ধৈর্য, সৃজনশীলতা এবং এসইও কৌশলের সমন্বয় প্রয়োজন নতুন ব্লগার প্রথম বছর বেশি আই আশা করতে পারেন না। কিন্তু নিয়মিত কাজ এবং ট্রাফিক বৃদ্ধির মাধ্যমে তা ধীরে ধীরে বেড়ে যায়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ব্লগিং থেকে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং থেকে কত টাকা আয় করা যায়

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্লগিং শুধু শখ নয়, বরং এটি সম্ভাবনাময় পেশা। অনেকেই প্রশ্ন করেন ব্লগিং থেকে আসল কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব এর নির্দিষ্ট কোন সীমা নেই। কারণ আই নির্ভর করে ব্লগের বিষয় কন্টেনের মান ভিজিটরের সংখ্যা এবং আয়ের মাধ্যমে এর ওপর। শুরুর দিকে নতুন ব্লগাররা সাধারণত খুব বেশি আয় করতে পারে না প্রথম কয়েক মাসে হয়তো মাসে ৫০ থেকে ২০০ ডলারের মতো আই হতে পারে তবে ব্লগে ট্রাফিক বাড়তে শুরু করলে এবং এডসেন্স বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন থেকে ক্লিক আসতে থাকলে আয় বাড়তে থাকে।

একটি মাধ্যম পর্যায়ের ব্লগ থেকে মাসে ৫০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব আর যদি ব্লকটি জনপ্রিয় হয় এবং লাখো ভিজিটর পাই তাহলে মাসিক ৫০০০ ডলার থেকে ২০০০০ ডলার পর্যন্ত আয় হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ব্লগিংয়ে সফল হতে হলে ধৈর্য নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এবং মানসম্মত কনটেনের মাধ্যমে ব্লগিং একটি দীর্ঘমেয়াদি আয়ের উৎসে পরিণত হতে পারে।

ব্লগের বিষয়ভিত্তিক নির্ভর করে আয়ের পরিমাণ 

ব্লগিং থেকে আয় করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ব্লগের বিষয়ভিত্তি বা নিস। সঠিক বিষয় নির্বাচন করলে আয় দ্রুত বাড়তে পারে আবার ভুল বিষয় বেছে নিলে অনেক পরিশ্রম করেও প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায় না। যেমন টেকনোলজি ফিনান্স হেলথ ডিজিটাল মার্কেটিং বা সফটওয়্যার সম্পর্কিত ব্লগ সাধারণত বেশি আয় করে । কারণ এই ক্ষেত্রগুলোতে বিজ্ঞাপন দাতারা বেশি অর্থ খরচ করতে আগ্রহী অন্যদিকে সাধারণ বিষয় যেমন ব্যক্তিগত ডায়েরি গল্প বা সাধারণ লাইফস্টাইল ব্লক থেকে তুলনামূলকভাবে কম আয় হয়। কারণ সেখানে বিজ্ঞাপন বা প্রডাক্ট বিক্রির সুযোগ সীমিত। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও বিষয়ের গুরুত্ব রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি টেক ব্লগে ল্যাপটপ বা সফটওয়্যার এর এফিলিয়েট লিংক থাকলে বিক্রির সম্ভাবনা অনেক বেশি। যা থেকে ভালো কমিশন পাওয়া যায় কিন্তু সাধারণ তথ্যভিত্তিক ব্লগে এ ধরনের সুযোগ সীমিত থাকে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো পাঠকদের জন্য উপকারী ও মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করা। বিষয়টি যত চাহিদা পূর্ণ হবে আয় এর সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। তাই ব্লক শুরু করার আগে কোন কোন নিস কাজ করবেন তা ভেবে নেওয়াই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। 

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অনলাইনে আ এর একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। যেখানে আপনি অন্যের পণ্য বা সেবা প্রচার করে কমিশন পান। সহজভাবে বললে কেউ যদি আপনার দেওয়া অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে কোন পণ্য ক্রয় করে তবে সেই বিক্রি থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই আয়ের ধরনটি ব্লগার, ইউটিউবার কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের জন্য দারুন সুযোগ তৈরি করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন টেক ব্লগার যদি ল্যাপটপ বা মোবাইলের রিভিউ লিখে তাতে এসিডিয়েট লিংক যুক্ত করেন। তবে পাঠক সেই লিংক থেকে কিনলে ব্লগার কমিশন পাবেন। 

একইভাবে, ফ্যাশান বা হেলথ প্রোডাক্ট প্রচার করেও আয় করা যায়। এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করে ট্রাফিক বা পণ্যের মূল্য এবং কমিশন রেডের ওপর। সাধারণত কমিশন ৫% থেকে ৫০% পর্যন্ত হতে পারে নতুনরা মাসে কয়েকশো ডলার আয় করতে পারেন । আবার অভিজ্ঞতা মাসে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তবে সফল হতে গেলে সঠিক নিস বাছাই মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি এবং বিশ্বাসযোগ্য পণ্য প্রচার করা জরুরী পাঠকের আস্থা যত বাড়বে বিক্রির হার তত বেশি বাড়বে এবং আপনার আয়ও দ্রুত বাড়বে।

ওয়েবসাইট থেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করুন

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হল বিজ্ঞাপন। একজন ব্লগার তার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করতে পারেন এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত গুগল এডসেন্স । যেখানে গুগল আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখায় এবং ভিজিটর সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে বা দেখলে আপনি অর্থ আয় করতে পারেন । আপনার ব্লগের ট্রাফিক, ভিজিটরের অবস্থান কন্টেনের বিষয়ভিত্তিক এবং বিজ্ঞাপনের ধরন অনুযায়ী।

উদাহরণস্বরূপ প্রযুক্তি, ফিনান্স বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্লগে বিজ্ঞাপনের রেট অনেক বেশি হয় । আবার বাংলাদেশ বা ভারতের মতো দেশে বিজ্ঞাপন রেট কম হলেও ইউরোপ বা আমেরিকার ভিজিটর থাকলে আয় তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। শুরুতে নতুন ব্লগ থেকে হয়তো মাসে কয়েক ডলার আয় হতে পারে। কিন্তু ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট প্রকাশ ও এসইও করলে ট্রাফিক বাড়ে। ফলে বিজ্ঞাপন থেকে আরো আই বাড়তে থাকে বড় ব্লগাররা শুধু বিজ্ঞাপন দিয়েই মাসে কয়েকশো থেকে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়।

তবে সফল হতে হলে ব্লগে ভিজিটরের সংখ্যা বাড়ানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যত বেশি ভিজিটর আসবে তত বেশি বিজ্ঞাপন দেখতে পারবে এবং আয়ও আপনার তত বৃদ্ধি পাবে।

আরো পড়ুনঃপ্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

স্পন্সরড পোস্ট ও ব্রান্ড ডিল থেকে আয় 

ব্লগিং বা অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েশনের আরেকটি বড় আয়ের উৎস হলো স্পন্সরড পোস্ট ও ব্র্যান্ড ডিল। যখন একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট জনপ্রিয় হয়ে যায় এবং নিয়মিত ভিজিটর পাই । তখন বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য ব্লগারের সঙ্গে কাজ করতে চাই এর বিনিময়ে ব্লগার নির্দিষ্ট অর্থ উপার্জন করতে পারেন। স্পন্সরড পোস্ট সাধারণত এমন এক ধরনের কনটেন্ট যেখানে একটি ব্র্যান্ডের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবে লেখা হয়। উদাহরণস্বরূপ একটি টেক কোম্পানি তাদের নতুন ল্যাপটপ রিভিউ করার জন্য জনপ্রিয় টেক ব্লগার স্পন্সর করতে পারে। ব্লগার সেই পণ্যের সুবিধা তুলে ধরে একটি আর্টিকেল লিখবেন এবং তার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক পাবেন। 

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়


অন্যদিকে ব্র্যান্ড ডিল আরও বড় সুযোগ তৈরি করে। এখানে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হতে পারে যেখানে একটি ব্র্যান্ড নিয়মিতভাবে ব্লগার কে কনটেন্ট তৈরি করতে বা প্রমোশন করতে পারিশ্রমিক দেন। এই আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে ব্লগের ট্রাফিক , ডোমেইন অথরিটি,   পাঠকের আস্থা এবং ব্লগার প্রভাবশালী অবস্থানের ওপর নতুন ব্লগাররা হয়তো ছোটখাটো স্পন্সর পোষ্টের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন। কিন্তু বড় ব্লগাররা একেকটি স্পন্সর কনটেন্ট থেকে কন্টেন্ট থেকে শত শত ডলার আয় করেন।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় 

বর্তমান সময়ে অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে বড় জনপ্রিয় উপায় এর মধ্যে একটি হল ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি । এ ধরনের প্রোডাক্ট একবার তৈরি করলে অসংখ্যবার বিক্রি করা যায়। ফলে এটি প্যাসিভ ইনকামের দারুন উৎস হতে পারে। ডিজিটাল প্রোডাক্ট বলতে ই-বুক, অনলাইন কোর্স, গ্রাফিক্স ডিজাইন, টেমপ্লেট সফটওয়্যার, প্লাগইন, মিউজিক ফটোগ্রাফি, প্রিন্টেবলস কিংবা প্রিমিয়াম আর্টিকেল। উদাহরণস্বরূপ একজন ব্লগার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে একটি কোর্স তৈরি করে ।সেটি একবার আপলোড করার পর শত শত শিক্ষার্থী কিনতে পারেন । আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে প্রোডাক্ট এর মান বিষয়ের জনপ্রিয়তা এবং মার্কেটিং কৌশলের ওপর।

 সাধারণ একটি ই-বুক বিক্রি করে মাসে কয়েকশো ডলার আয় করা সম্ভব আবার উন্নত মানের অনলাইন কোর্স বিক্রি করে মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করা যায়। ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য নিজস্ব ব্লগ সোশ্যাল মিডিয়া ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি ব্যবহার করা যায় এর বড় সুবিধা হল স্টক বা ডেলিভারির ঝামেলা নেই ক্রেতা কিনলেই সরাসরি ডাউনলোড করতে পারে ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত প্রোডাক্ট তৈরি করলে এবং সঠিকভাবে প্রচার করলে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী আয়ের উচ্ছে পরিণত হতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং ও কনসাল্টিং সার্ভিস দিয়ে আয়

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং এবং কন্সাল্টিং সার্ভিস হল অনলাইনে আয়ের কততম শক্তিশালী দুটি মাধ্যম । বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এখন তাদের দক্ষতা ব্যবহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং এর মাধ্যমে ভালো মোটা অংকের আয় করে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন এক ধরনের কাজ যেখানে আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কর্মী না হয়েও প্রজেক্টভিত্তিক কাজ করতে পারেন। এবং জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি। এর জন্য  ফাইবার, আপওয়ার্ক, পিপুলপারআওয়ার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এর মত মার্কেটপ্লেস রয়েছে।যেখানে কারেন্ট ক্লাইন্ট এরা কাজ দেয় আর ফ্রিল্যান্সাররা সেই কাজ করে অর্থ আয় করে থাকেন । দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ওপর ভিত্তি করে একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

অন্যদিকে কনসাল্টিং সার্ভিস হলো বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে আয়। যদি আপনার কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে গভীর জ্ঞান থাকে ।যেমন মার্কেট গাইডলাইন কোন ব্যবসা ইনস্টিটিউট তবে আপনি অনলাইনে কনসাল্টিং সার্ভিস দিতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তা সঠিক পরামর্শ পেতে বিশেষজ্ঞদের টাকা দিয়ে নিয়োগ করে এক ঘন্টার কন্সাল্টেশন সেশন। এর জন্য বিশেষজ্ঞরা ৬০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করে থাকেন যা নির্ভর করে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর। আপনি চাইলে সহজেই এখান থেকে  অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃমোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2025

ব্লগের ভিজিটর বৃদ্ধির প্রভাব আয়ের উপর

একটি ব্লগের আই সরাসরি নির্ভর করে তার ট্রাফিক বা ভিজিটরের সংখ্যার ওপর যত বেশি মানুষ ব্লক ভিজিট করবে। বিজ্ঞাপন ক্লিক এফিলিয়েট লিংকে কেনাকাটা এবং স্পন্সর কন্টেনের চাহিদা তত বাড়বে। তাই ব্লগে সফল হতে গেলে সর্বপ্রথম লক্ষ্য করা উচিত ভিজিটর বৃদ্ধি করা। ধরুন আপনি একটি মানসম্মত কনটেন্ট লিখেছেন। সেখানে গুগল এডসেন্স বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন দেখালে ভিজিটরের সংখ্যা বাড়ে। একটি ব্লগে মাসে এক হাজার ভিজিট আসছে। তাহলে বিজ্ঞাপন থেকে আয় হবে সীমিত কিন্তু যদি সেই ভিজিটর লাগে পৌঁছায় তবে বিজ্ঞাপন থেকেও আপনি বড় এমাউন্টের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে উন্নত দেশ থেকে ভিজিটর বিজ্ঞাপন আয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

মনে করেন, আপনি একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখিয়েছেন সেখান থেকে যদি কোন ভিজিটর সেই পণ্য বা সেবা ক্রয় করে সেখান থেকে আপনি কমিশন পাবেন। আপনাকে ফোকাস করতে হবে আপনি কিভাবে আপনার ব্লগে ভিজিটর বেশি পরিমাণ আনতে পারবেন। তাহলে ওই বিজ্ঞাপন যত ভিজিটর দেখবে বা পণ্য ক্রয় করবে আপনি তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

 নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিস্ট ও ধৈর্যের গুরুত্ব

ব্লগিং এ সফল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করা।  সব সময় ওয়েবসাইটকে অগ্রাধিকার দেয় যেখানে নতুন এবং মানসম্মত কনটেন্ট প্রকাশিত হয়। নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট করলে ব্লগে নতুন ভিজিটর আসার পাশাপাশি পুরনো পাঠকরাও যুক্ত থাকে। এতে ব্লকের ট্রাফিক ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে যা আয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
তবে শুধু নিয়মিত কনটেন্ট দিলেই হবে না সেই কনটেন্টকে মানসম্মত ও তথ্য বহুল করতে হবে পাঠক যখন আপনার ব্লগে এসে উপকারী তথ্য পান। তখন তারা বারবার ফিরে আসেন এবং আস্থা তৈরি হয়। 
এই আস্থা কে পরিবর্তে বিজ্ঞাপন লিংক, এফিলিয়েট লিঙ্ক, কেনাকাটা কিংবা স্পন্সরড পোষ্টের মাধ্যমে আয় বাড়ায়। ব্লগিংয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ধৈর্য রাখা । অনেকেই কয়েক মাস চেষ্টা করেও প্রত্যাশিত আয় না পেয়ে হতাশ হন। বাস্তবে ব্লক থেকে উল্লেখযোগ্য আয় করতে সময় লাগে কখনো ছয় মাস আবার কখনো এক বছর বা তারও বেশি সময়ের পর ফল পাওয়া যায়। তাই বলা যায় নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিস্ট এবং ধৈর্য ধরে কাজ করাই ব্লগিংয়ে সাফল্যের মূলমন্ত্র।

শেষ মন্তব্য, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং আজকের দিনে শুধু একটি সব নয় বরং একটি পূর্ণাঙ্গ পেশায় সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রম করলে ব্লগিং থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে আয় এর পরিমাণ নির্ভর করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর। যেমন কনটেন্ট এর মান বিষয়ভিত্তিক নিস, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ভিজিটরের সংখ্যা। যে ব্লগে ভিজিটর বেশি সেই ব্লগ থেকে উপার্জন বেশি তাই ব্লগিংয়ে সফল হতে চাইলে কেবল আইনের চিন্তা নয় প্রথমে পাঠকের জন্য মূল্যবান কনটেন্ট তৈরি করা জরুরী। পাশাপাশি নিয়মিত লেখা, পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার, ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করে ট্রাফিক বাড়াতে হবে। এছাড়া ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা ব্লগিংয়ের মূল চাবিকাঠি। সর্বশেষে বলা যায, ব্লগিং হলো জ্ঞান ভাগাভাগি ও অভিজ্ঞতাকে আয়ের রূপান্তর করার একটি দারুণ উপায়।

যদি আপনি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আজ থেকেই শুরু করে দিন। ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে  পরিশ্রম করতে হবে এবং নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করতে হবে। এখন অধিকাংশ তরুণরাই ব্লগিং করে টাকা আয় করছেন। ব্লগিং থেকে ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারছেন এটা আপনার জন্য একটা বিশাল সুযোগ। তাহলে উপরোক্ত বিষয় পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url