2025 সালের দুর্গা পূজার সময়সূচী বাংলাদেশ-জেনে নিন
biddut
11 Sep, 2025
প্রিয় পাঠক, আমার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনি নিশ্চয়ই 2025 সালের দুর্গাপূজার সময়সূচী বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার
জন্য আমার ওয়েবসাইটে এসেছেন। দুর্গাপূজা আসলে সনাতন ধর্মের একটি বড় উৎসব।
দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ধরে মায়ের আরাধনায় মেতে ছিল উৎসব প্রেমিক সাধারণ মানুষ
কিন্তু সব শেষে চোখের জলে যত্নে সাজানো মায়ের দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন গেছে সবার
মনে একটাই কামনা আসছে বছর আবার ফিরে এসো মা কিন্তু ২০২৫ সালের দুর্গা পুজো কবে
পড়েছে আর কতদিন পরে আবার দুর্গাপূজো আগমনের অপেক্ষায় থাকতে হবে সেই প্রশ্ন মনে
ওকে দিচ্ছি?
পোস্ট সূচিপত্র ঃ 2025 সালের দুর্গাপূজার সময়সূচী বাংলাদেশ
দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব যা প্রতিবছর
আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথি থেকে দশমী পর্যন্ত চলে। বাংলাদেশেও এই উৎসব
মহা ধুমধামে উদযাপিত হয়। ২০২৫ সালেও সারাদেশে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে
দুর্গাপূজা পালিত হবে।
2025 সালের দুর্গাপূজার সময়সূচী বাংলাদেশ নিম্নরূপ
তারিখ
দিন
পূজা দিবস
২১ সেপ্টেম্বর
রবিবার
মহালয়া
২৮ সেপ্টেম্বর
রবিবার
মহা ষষ্ঠী
২৯ সেপ্টেম্বর
সোমবার
মহা সপ্তমী
৩০ সেপ্টেম্বর
মঙ্গলবার
মহা অষ্টমী
১ অক্টোবর
বুধবার
মহা নবমী
২ অক্টোবর
বৃহস্পতিবার
বিজয়া দশমী
এই ছয় দিনব্যাপী উৎসবে মন্ডপে মন্ডপে দেবী দুর্গার আরাধনা চন্ডীপাঠ পুষ্পাঞ্জলি
আরতি ধনুচিনাস ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়
বিশেষত অষ্টমী ও নবমীর দিন ভক্তরা বিপুল উৎসাহে দেবীকে অর্ঘ্য নিবেদন করেন এবং
দশমীর দিন বিজয়ার আবেগে দেবীকে বিদায় জানান । দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব
নয়, এটি বাঙালির সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতীক 2025 সালের পূজা
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় একই ভাবে পালিত হবে এবং এটি সার্বজনীন আনন্দ ও
সম্প্রীতির ভাতরা বয়ে আনবে।
দুর্গাপূজার পৌরাণিক উৎপত্তি
দূর্গা পূজার উৎপত্তি প্রাচীনহিন্দু পুরানে বর্ণিত এক অসাধারন কাহিনী অবলম্বনে।
মহিষাসুর নামক এক পশুর বহু বর লাভ করে অজেয় হয়ে ওঠে এবং স্বর্গমর্ত্য জগতে
ত্রাস সৃষ্টি করতে থাকে। দেবতারা বারবার তাকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হন তখন ব্রম্মা,
বিষ্ণু ও মহেশ্বরসহ সকল দেবতা তাদের শক্তির অংশ মিলিয়ে এক অতুলনীয় নারী শক্তি
সৃষ্টি করেন। তিনি দেবী দুর্গা সিংহ বাহিনীর রূপে আবির্ভূত হয়ে দেবতাদের প্রদত্ত
অস্ত্র ধারণ করেন।
তিনি মহিষাসুরির সঙ্গে নয় দিন ও রাত যুদ্ধ করেন এবং দশম দিনে তাকে বধ করেন। এই
বিজয়ের স্মরণে দেবী দুর্গাকে মহিষাসুরমর্দিনী বলা হয়। দুর্গার এই বিজয়
শুভ শক্তির জয় ও অশুভ শক্তির পরাজয়ের প্রতীক এই কাহিনীর ভিত্তিতেই দুর্গাপূজা
শুরু হয় এবং যুগে যুগে এটি বাঙালি হিন্দু সমাজে অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব
হিসেবে পালিত হচ্ছে।
দুর্গাপূজার ঐতিহাসিক পটভূমি
দুর্গাপূজার সূচনা ভারতীয় উপমহাদেশে বহু প্রাচীনকালেই হলেও বাংলায় এর বিস্তার
ঘটে মধ্যযুগে। ঐতিহাসিক সূত্র অনুযায়ী পঞ্চদশ শতকে নবদ্বীপের রাজা কংস নারায়ন
প্রথম রাজকীয় ভাবে দুর্গাপূজার আয়োজন করেন পরে। সপ্তদশ শতকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
রায় এই পূজাকে আরো বর্ণাঢ্য রূপ দেন এবং জমিদারদের মধ্যে দুর্গাপূজা প্রচলিত
হয়ে ওঠে। তখন এটি ছিল মূলত গৃহদেবী পালন করা এক রাজকীয় উৎসব। যেখানে রাজা
জমিদাররা বিপুল ধুমধামে পূজা পালন করতেন এবং প্রজাদের জন্য ভোজ ও বিনোদনের
ব্যবস্থা করতেন।
১৮ শতকের দিকে পোজার এই রাজকীয় রূপ ধীরে ধীরে সর্ব সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে
এবং সর্বজনীন দুর্গাপূজার সূচনা হয় বিশেষত্ব কলকাতা ও বাংলার বিভিন্ন শহরে পাড়া
ভিত্তিক বারোয়ারি পূজা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এভাবেই দুর্গাপূজা শুধুমাত্র রাজ
পরিবারের গণ্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব এ পরিণত হয়েছে
এবং বর্তমানের বর্ণাঢ্য রূপ লাভ করে।
দূর্গা পূজার প্রস্তুতি ও আয়োজন
দুর্গাপূজা বাঙালির অন্যতম বৃহৎ উৎসব হওয়ায় এর প্রস্তুতি শুরু হয় মাসখানেক আগে
থেকেই । পূজার মন্ডপ নির্মাণ আলোকসজ্জা থিম নির্ধারণ মূর্তি গঠন ইত্যাদি কাজ ধাপে
ধাপে সম্পন্ন করা হয়। শিল্পীরা মন প্রাণ দিয়ে মাটির মূর্তি তৈরি করেন এবং
সেগুলোকে রং ও অলংকারের সাজিয়ে তোলেন। পাড়ার পূজা কমিটি সদস্যরা অর্থ সংগ্রহ
নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরিকল্পনা করে থাকে।
মন্ডপ সাজানোর সময় বিভিন্ন ঐতিহাসিক সামাজিক বা শিল্পিভিত্তিক থিম ব্যবহার
করা হয়, যা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। পূজার দিনগুলোতে পূজারী নিয়োগ চণ্ডীপাঠ,
আরতি, পুষ্পাঞ্জলি, ভোগ বিতরণ ইত্যাদির বিস্তারিত সময়সূচি ঠিক করা হয়। পূজা
চলাকালীন নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় প্রশাসনের সহযোগিতাও নেওয়া হয়
দূর্গা পূজার দিনপঞ্জি
দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দু সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা পাঁচ দিনব্যাপী
পালিত হয় ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও বিজয়া দশমী । প্রতিটি দিনে রয়েছে
বিশেষ তাৎপর্য ও আচার। ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাস
অনুষ্ঠিত হয়। সপ্তমী দিনে, নবপত্রিকা স্নান করিয়ে মন্ডপে স্থাপন করা হয় এবং
মূল পূজা শুরু হয়। অষ্টমী হলো পূজার প্রথম দিন। এদিন কুমারী পূজা চন্ডীপাঠ ও
সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
নবমীতে মহা পূজা সম্পন্ন হয় এবং ভক্তরা দেবীর কাছে শান্তি ও কল্যাণ কামনা
করেন । শেষ দিন বিজয়া দশমী তে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়
এবং ভক্তরা একে অপরকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। এই দিনপঞ্জি অনুযায়ী দুর্গাপূজা
পালন করা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনের অন্যতম
অবিচ্ছেদ অংশ, যা প্রতি বছর আনন্দ ভক্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে।
দুর্গাপূজার আচার ও উপাচার
দুর্গাপূজার ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী বহু আচার ও উপাচার পালিত হয়। যা পূজার মূল
অংশ হিসেবে বিবেচিত। পূজা শুরুর আগে চণ্ডীপাঠ ও বোধন করা হয় যা দেবী দুর্গাকে
আমন্ত্রণ জানানোর প্রতীক। সপ্তমীর দিনে নবপত্রিকার স্নান করিয়ে দেবীর পাশে
স্থাপন করা হয়ে থাকে প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় আরতি, ধুপ ধনো জ্বালিয়ে পূজা
পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন এবং চণ্ডীপাঠ অনুষ্ঠিত হয়।
অষ্টমীতে কুমারী পূজা বিশেষ গুরুত্ব পাই যেখানে কুমারী কন্যাকে দেবী দুর্গার
প্রতীক হিসেবে পূজা করা হয়। সন্ধি পূজায় ১০৮ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবীর
উদ্দেশ্যে আরতি দেওয়া হয়। নবমীর দিনে মহা পূজা ও ভোগ নিবেদন করা হয়। আর দশমীতে
সিঁদুর খেলা শেষে দেবীর বিসর্জন দেওয়া হয়। এই আচার উপাচার গুলো দেবী দুর্গার
শক্তিকে আহবান ও তার আশীর্বাদ প্রার্থনার প্রতীক।
সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও উৎসবের আমেজ
দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় আচার নয়, এটি এক বিশাল সাংস্কৃতিক উৎসবও। এই সময় পুরো
সমাজ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে প্রজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের
আয়োজন করা হয়ে থাকে। যেমন নাটক, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নিত্য পরিবেশনা, কবিতা
আবৃত্তি,চিত্র প্রদর্শনী এবং প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন প্যান্ডেল বা মণ্ডপ
থিমভিত্তিকভাবে সাজানো হয় যা শিল্প সংস্কৃতির অন্য নির্দেশন হিসেবে
দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
এই উৎসবে পরিবার পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো নতুন জামা কাপড় পডরা এবং
আনন্দ ভাগাভাগি করা বিশেষ সামাজিক আবহ সৃষ্টি করে। রাতভর ঢাকের বাজনা ,ধুনুচি নাচ
এবং আলোকসজ্জা এই আমেজকে আরো রঙিন করে তোলে। পাশাপাশি খাবার দোকান মেলা ও বিভিন্ন
বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকে যা পূজার আনন্দ কে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় দুর্গাপূজার এই
সাংস্কৃতিক উচ্ছাস মানুষকে একত্রিত করে এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও বাঙালির ঐতিহ্যকে
জাগ্রত রাখে।
দুর্গাপূজার অর্থনৈতিক প্রভাব
দুর্গাপূজা শুধুমাত্র ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, বরং এটি বাংলাদেশের
অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে পূজার সময় পোশাক, সাজসজ্জা, অলংকার,
খাবার, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল নির্মাণ এবং মূর্তি গঠনের মত বিভিন্ন খাতে বিপুল
অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শিল্পী ও শ্রমিকরা
এই সময়ে অর্থ অর্থ উপার্জন করে। যা তাদের জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
পূজার সময় দোকান রেস্টুরেন্ট হোটেল পরিবহন ও বিনোদন খাতে ও ব্যাপক চাহিদা দেখা
যায়। বিভিন্ন পাড়ার বারোয়ারি মন্ডপে স্পন্সরশিপ ও ভক্তদের অনুদানও অর্থনৈতিক
প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এভাবে দুর্গাপূজা কেবল আধ্যাত্মিক আনন্দই প্রদান করে না বরং
অর্থনৈতিকভাবে সৃজনশীলতা ও কর্মসংস্থানেও সুযোগ সৃষ্টি করে।
আধুনিক যুগের দুর্গাপূজা
আজকের দিনে দূর্গা পূজা কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নয়, এটি আধুনিকতার সঙ্গে মিশে এক
বিশাল সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তি ভিত্তিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন
প্যান্ডেল থিমভিত্তিকভবে সাজানো হয় যেখানে আলো, সাউন্ড সিস্টেম ও ডিজিটাল
প্রদর্শনী ব্যবহৃত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বোঝার ছবি ও ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে
পড়ে যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উৎসব কে পরিচিত করে।
এছাড়া আধুনিক পোশাক শাকসবসজ্জা খাবার ও বিনোদনের ব্যবস্থা পজার আনন্দকে আরও
বাড়িয়ে দেয়। গ্রাম থেকে শহর সব জেলায় মানুষ আধুনিক পদ্ধতিতে দুর্গাপূজা
উদযাপন করে থাকেন যেখানে প্রচলিত ঢাক বাজনা, ধুনুচি নাচের সঙ্গে মিলেমিশে নতুন
ধরনের শিল্প ও সাংস্কৃতিক আয়োজন দেখা যায়। ফলে আধুনিক যুগে দুর্গাপূজা শুধু
ঐতিহ্য রক্ষা করছে না বরং নতুন প্রজন্মকে সৃজনশীলতা প্রযুক্তি ও সামাজিক
সম্প্রীতির শিক্ষা দিচ্ছে।
শেষ মন্তব্য, 2025 সালের দুর্গাপূজার সময়সূচী বাংলাদেশ
2025 সালের দুর্গাপূজার সময়সূচী বাংলাদেশ সম্পর্কে নিশ্চয়ই জেনেছেন। প্রতিবছরই
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা দুর্গা পূজা পালন করে থাকেন । এবারেও মহা ধমধাম এর
সাথেই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়। দুর্গাপূজা বাঙালির জীবন ও
সংস্কৃতির অঙ্গনে অতি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব । এটি কেবল ধর্মীয় আচার নয়, বরং
সামাজিক সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিশাল প্রভাব বিস্তার করে। পৌরাণিক কাহিনী
ভিত্তিতে মহিষাসুরমর্দিনী দেবীর বিজয় উদযাপনের মাধ্যমে শুভ শক্তির জয় ও অশুভ
শক্তি পরাজয়ের বার্তা বহন করে।
ইতিহাসের দুর্গাপূজা রাজ পরিবার ও জমিদারের উদ্যোগে শুরু হলেও আজ এটি সর্বজনীন
উৎসব হিসেবে সমাজের প্রতিটি স্তরে উদযাপিত হয়। দুর্গাপূজা মানুষকে একত্রিত করে
সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখে এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে জাগ্রত রাখে। আধুনিক যুগে
প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতার সংমিশ্রণে এটি আরো প্রাণবন্ত ও আনন্দময় হয়ে উঠেছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url