দৈনিক পুষ্টিকর খাবারের তালিকা - প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিত

প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিত? এ সম্পর্কে আপনি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ ভাবে না কোন খাবার খেলে কি হবে?

প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিত

প্রতিটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য প্রয়োজন। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন খাবার খেয়ে থাকি । সব খাবারই পুষ্টিকর নয়। তাই শুধু খাবার খেলেই হবে না। খাবারের পোস্টের দিকে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। চলো এ সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা যাক।

পোস্ট  সূচিপত্রঃ প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিত

প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিত 

মানুষ বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবন যাপন করার জন্য আমাদের শরীরের প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ পুষ্টির প্রয়োজন হয়। প্রতিটি পুষ্টি উপাদান শরীরে নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে এবং এর অভাব বা অতিরিক্ততা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আধুনিক ব্যস্ত জীবনে অনেকেই তাড়াহুড়োর কারণে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলেন । যার শরীরে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে সব প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সঠিক অনুপাতে থাকে। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব প্রতিদিনের খাবারের পরিকল্পনা কিভাবে করা যায়। কোন কোন খাবার পুষ্টি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং প্রতিদিনের তিন বেলা ও নাস্তার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পুষ্টি তালিকা  করব।

আরো পড়ুনঃসকালে ব্যায়াম করার ১০টি উপকারিতা

পুষ্টিকর খাবার কি

পুষ্টিকর খাবার হল এমন খাবার যা দেহের সুস্থতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। এই খাবারগুলো আমাদের দেহের প্রতি বৃদ্ধি বিকাশ শক্তি উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পুষ্টিকর খাবারের মূলত ছয়টি উপাদান থাকে_ যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ এবং পানি। কার্বোহাইড্রেট দেহ কে শক্তি দেই এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।

 প্রোটিন শরীরের কোষ বেশি ও টিস্যু গঠনে সহায়তা করে এবং ক্ষত মেরামতে সাহায্য করে। চর্বি শক্তি সঞ্চয় করে ও ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে। ভিটামিন ও খনিজ দেহের নানা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অন্যদিকে পানি শরীরের সব বিপাকক্রিয়া কার্যক্রম সচল রাখে এবং বর্জ্য পদার্থ দূর করে।


কেন পুষ্টিকর খাদ্য আমাদের দেহের জন্য জরুরী 

পুষ্টিকর খাদ্য আমাদের দেহের সুস্থতা ও স্বাভাবিক কর্ম ক্ষমতা বজায় রাখার মূল ভিত্তি। প্রতিদিন শরীরের বৃদ্ধি মেরামত ও শক্তি উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ এবং পানি এই ছয়টি প্রধান উপাদান শরীরের কোষ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্রম সঠিকভাবে চালাতে সাহায্য করে। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরের পর্যাপ্ত শক্তি পায় ফলে দৈনন্দিন কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়। এছাড়া এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

সংক্রমণ ও অসুস্থতার ঝুঁকি কমায় এবং মানসিক মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে শিশু ও কৃষকদের ক্ষেত্রে এটি শরীরের বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের বিকাশের বিশেষ ভূমিকা রাখে। অপরদিকে গর্ভবতী নারী ও বয়স্কদের জন্য পুষ্টি সুস্থতা রক্ষার অন্যতম উপায়। অপুষ্টি বা একঘেয়ে খাবার শরীরের নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন দুর্বলতা, রক্তস্বল্পতা, রোগপ্রবণতা, স্থূলতা বা অপুষ্টিজনিত রোগ। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাকসবজি ফলমূল সম্পূর্ণ শস্য, ডাল, ডিম, মাছ ও দুধ জাতীয় খাবার সঠিক পরিমাণে রাখা জরুরী।

পুষ্টিকর খাবারের মূল উপাদান সমূহ

পুষ্টিকর খাবারে ছয়টি প্রধান উপাদান থাকে। যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ, ও পানি। এই ছয়টি উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের যাবতীয় কার্যক্রম সচল রাখি এ উপাদানগুলো সুষম ভাবে গ্রহণ করাই সুস্থ জীবনের মূল চাবিকাঠি।

১. কার্বোহাইড্রেট 

  • শরীরের প্রধান শক্তির উৎস ।
  • উৎস: ভাত, গম, আলু, শাকসবজি, ফলমূল ।
  • দৈনিক চাহিদা: মোট ক্যালরির ৫০-৬০%
২. প্রোটিন 
  • কোষ ও টিস্যু গঠনে এবং মেরামতে সাহায্য করে ।
  • উৎস: ডিম, দুধ, ডাল, মাছ, মাংস, বাদাম ।
  • দৈনিক চাহিদা: গড়ে ৫০-৬০ গ্রাম (শরীরের ওজনের প্রতি কেজিতে ০.৮-১ গ্রাম)।
৩. চর্বি 
  • শক্তি প্রদান করে এবং চর্বি-দ্রবনীয় ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে ।
  • উৎস: বাদাম, বীজ, জলপাই তেল, ঘি, মাছে থাকা ওমেগা -৩
  • দৈনিক চাহিদা মোট ক্যালরির ২০ থেকে ২৫% 
৪. ভিটামিন
  • শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়ার সহায়ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
  • দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
  • উৎস: রঙিন শাকসবজি, ফল, মাছ, দুধ, ডিম। 
৫. খনিজ পদার্থ 
  • হাড় দাঁত রক্ত গঠনে সহায়ক।
  • দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।
  • উৎস: দুধ, সবুজ শাক, বাদাম, মাছ, ফল, ডাল।
৬.পানি
  • শরীরের প্রতিটি কোষের কার্যক্রমে জরুরী। 
  • শরীরের সব কার্যক্রম সচল রাখে।
  • উৎস: বিশুদ্ধ পানি, ফল, সবজি ।
  • দৈনিক প্রয়োজন: ৪ থেকে ৫ লিটার পান করা।

একটি দৈনিক সুষম খাদ্য তালিকা 

শ্বসন খাদ্য একজন মানুষকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিনের খাদ্য এমন ভাবে নির্বাচন করা উচিত যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট চর্বি ভিটামিন ও খনিজ প্রদানে সম্পূর্ণ হয়। একটি আদর্শ দৈনিক সুষম খাদ্যের তালিকা স্বরূপ করা যায় সকালের নাস্তায়। সকালের নাস্তায় থাকবে দুধ, ডিম, মৌসুমী ফল এবং কিছু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এটি শরীরকে শক্তি দেয় এবং মস্তিষ্কে সক্রিয় রাখে। দুপুরের খাবারে থাকবে ভাত বা রুটি ডাল বা মসুরের স্যুপ, সবজি ও মাছ বা মুরগির প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। বিকেলের নাস্তায় ফল, দই বা বাদাম খেলে দিনের মধ্যে শক্তি বজায় থাকে। 

রাতের খাবারে হালকা ও সহজ-পাঁচ্য খাবার যেমন সেদ্ধ সবজি ছোট পরিমাণ চর্বিযুক্ত প্রোটিন এবং কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উত্তম। দিনের পর্যাপ্ত পানি পান করা তেল মসলার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা এবং ফাস্টফুড এড়ানো অত্যন্ত জরুরী। সুষম খাদ্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার রাখাই স্বাস্থ্যকর জীবনধারার মূল চাবিকাঠি।

২ বছর থেকে ৫ বছর শিশুর দৈনিক খাদ্য (প্রতি বেলায়)


দুই থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের সুস্থ বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য সুষম খাদ্য অপরিহার্য প্রতিদিনের খাবারে দুধ, ডিম, ফল, শাকসবজি, মাছ, মাংস ও শর্করা জাতীয় খাবার সঠিক পরিমাণে দিতে হবে। নিয়মিত পানি পান করাও জরুরী।
একজন শিশুর সকাল-দুপুর-রাত কি কি খেতে হবে? তার একটা তালিকা তৈরি করে দিলাম।
বেলা খাবার
সকাল ডিম, দুধ, রুটি, ফল
দুপুর ভাত/রুটি, ডাল, সবজি, মাছ
বিকেল দই, বাদাম, ফল বা বিস্কুট
রাত হালকা ভাত/রুটি, সবজি, ডিম, মুরগির মাংস

 এগুলো কি পরিমান খেতে হবে তার একটি তালিকা করে দিলাম
খাদ্য-সমূহ পরিমাণ
ভাত/পিঠা ৭৫গ্রাম
ডাল ৯০গ্রাম
রুটি/বিস্কুট ৭০গ্রাম
নিরামিষ বা ভাজি ৬০গ্রাম
মিষ্টি আলু ৬০গ্রাম
তেল ২ চা চামচ
সবজি ৪০গ্রাম
মাছ/মাংস ৫০গ্রাম
দুধ বা পায়েস ২৫০ এমএল
ফ ল ৩০গ্রাম


কিশোর-কিশোরীদের জন্য দৈনিক পুষ্টিকর খাবার

কিশোর-কিশোরী সময় শরীর ও মস্তিষ্কের দ্রুত বৃদ্ধি ও বিকাশের সময়। এ সময় পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলে শারীরিক দুর্বলতা রোগ প্রবণতা এবং মানসিক মনোযোগ কমে যেতে পারে। তাই তাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় কুসুম ভাবে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন চর্বি ভিটামিন খনিজ এবং পানি রাখা দরকার। কিশোর-কিশোরীদের নিয়মিত ব্যায়াম এবং ঘুমের পাশাপাশি সুষম খাদ্য শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখে এ সময় সঠিক পুষ্টি ভবিষ্যতের সুস্থ জীবনের ভিত্তি গড়ে তোলে।

খাদ্য সামগ্রী পরিমাণ
খাদ্যশস্য (চাল, আটা, ময়দা, সুজি) ২৮৫গ্রাম
ছোলা, মটর, খেসারি ১০০গ্রাম
মিষ্টি কুমড়া, আলু ২০০গ্রাম
কচু, বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি ১০০গ্রাম
কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম ২০০গ্রাম
অঙ্কুরিত বীজ ৫০গ্রাম
ভোজ্য তেল ৫০গ্রাম
ইক্ষুর রস ৩৫গ্রাম

পূর্ণবয়স্কদের জন্য দৈনিক পুষ্টিকর খাবার 

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে প্রতিদিন কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি পুষ্টি ও পানি প্রয়োজন বয়স ওজন কাজের ধরন এবং শারীরিক কার্যকলাপের উপর নির্ভর করে দৈনিক পুষ্টি চাহিদা নির্ধারিত হয়। সাধারণত একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্কদের খাদ্য তালিকায়  সুষমভাবে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন চর্বি ভিটামিন খনিজ ও পানি থাকা জরুরী। প্রতিদিনের খাবারে মোট ক্যালরির প্রায় ৫০-৬০% কার্বোহাইড্রেট থাকা উচিত। একটি পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য সুষম খাদ্যের ছয়টি উপাদান থাকে। তাহলে সঠিক খাদ্যাভ্যাসই একজন পূর্ণবয়স্ককে সুস্থ কর্মক্ষম ও প্রাণবন্ত জীবন যাপন করতে সহযোগিতা করে। তালিকাটি (প্রতি বেলার জন্য)

খাদ্য সামগ্রী পরিমাণ
খাদ্যশস্য (চাল, আটা, ময়দা, সুজি) ২৮৫গ্রাম
ছোলা, মটর, খেসারি ১০০গ্রাম
মিষ্টি কুমড়া, আলু ২০০গ্রাম
কচু, বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি ১০০গ্রাম
কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম ২০০গ্রাম
অঙ্কুরিত বীজ ৫০গ্রাম
ভোজ্য তেল ৫০গ্রাম
ইক্ষুর রস ৩৫গ্রাম

  পূর্ণবয়স্ক পরিশ্রমী পুরুষের জন্য দৈনিক পুষ্টিকর খাবার


যারা প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রমূলক কাজ করেন তাদের শারীরিক শক্তির চাহিদার সাধারণত মানুষের তুলনায় অনেক বেশি তাই তাদের অতিরিক্ত কেনরি ও প্রয়োজনীয় কৃষ্টি উপাদান থাকা অত্যন্ত জরুরি। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ তার পরিবার চালানোর জন্য বহুৎ পরিশ্রম করে থাকে। মাঠে-ঘাটে এবং কৃষি কাজ করলে দেহের প্রচুর ঘাটতি হয় । এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য একজন পুরুষ মানুষকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের (প্রতিবেলায় খেতে হবে) নিচে তালিকা দেওয়া হল
খাদ্য-সামগ্রী পরিমাণ
ভাত/রুটি ২৫০গ্রাম
টাটকা শাক ১০০গ্রাম
সবজি ৮০গ্রাম
মসুর ডাল ১৫০গ্রাম
ছোট মাছ/মাংস ২৫০গ্রাম
মৌসুমী ফল ৫০গ্রাম
চিনি ২০গ্রাম
দুধ ৩০০গ্রাম
ডিম ২০গ্রাম
মোট ১২০০গ্রাম


গর্ভবতী মহিলার জন্য পুষ্টিকর খাবার 

গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরের শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অতিরিক্ত। এ সময় শুধু মায়ের সুস্থতা নয় গর্ভের শিশুর সুস্থতার জন্য সুষম খাদ্য অত্যন্ত জরুরী। গর্ভবতী নারীদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে যা ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, ডাল ও বাদাম থেকে পাওয়া যায়। শিশুর হাড় ও দাঁত গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম (দুধ, দই, শাকসবজি) এবং রক্ত তৈরির জন্য আয়রন (ডিম, ডাল, পালং শাক) অপরিহার্য। 
এছাড়া শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে ফলিক এসিড ও মেগা-৩ ফ্যাটি এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাথে প্রতিদিন রঙিন শাকসবজি ও মৌসুমী ফল খেলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ হয় যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান করা খুব জরুরী। সুষুম ও পুষ্টিকর খাদ্য গর্ভবতী মা এবং শিশুর সুস্থ ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় কি কি খেতে হবে তার নিচে তালিকা দেওয়া হলো

 
খাদ্য-সামগ্রী পরিমাণ
ভাত/রুটি ২৬০গ্রাম
টাটকা শাক ১২০গ্রাম
সবজি ৮০গ্রাম
মসুর ডাল ৪০গ্রাম
ছোট মাছ/মাংস ৬০গ্রাম
মৌসুমী ফল ১৫০গ্রাম
চিনি ২০গ্রাম
দুধ ২০০গ্রাম
ডিম ২০গ্রাম

শেষ কথা, প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিত

প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিত? তা সম্পন্ন আর্টিকেল পড়ার পর আপনি বুঝতে পেরেছেন। প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা পরিকল্পনা করা একটি সুস্থ জীবনের ভিত্তি এটি শুধু শরীরকে শক্তিশালী ও রোগমুক্ত রাখে না মানসিক কার্যক্ষমতা ও উন্নত করে একটি পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা কোন কঠিন বা ব্যয়বহুল ব্যাপার নয় বরং সামান্য পরিকল্পনা ও সচেতনতার মাধ্যমে এটি করা যায়। তাই আজ থেকে আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় শোষণ পুষ্টি নিশ্চিত করুন এবং সুস্থ জীবনের পথে এগিয়ে যান। এরকম আরো তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url