২০২৬ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশে জেনে নিন
২০২৬ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশে সম্পর্কে আপনার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটে
প্রবেশ করেছেন। প্রথমেই আমার ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকের এই আর্টিকেলে ২০২৬
সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত হবে তা বিস্তারিত থাকছে।
রমজান মাস মুসলমানদের জন্য কেন এত গুরুত্বপূর্ণ। কেন সবাই এত অধীর আগ্রহে বসে
আছে ২০২৬ সালে রমজান মাসের জন্য। প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসের জন্য অপেক্ষা
করেন বিশ্বের অগণিত মুসলিম সমাজ। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য উত্তম সময় এই
রমজান মাস।
সূচিপত্র ঃ ২০২৬ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশে
- ২০২৬ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশে
- ইসলামিক ফাউন্ডেশন রোজার সময়সূচি
- রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত জানুন
- সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৬
- ২০২৬ সালের রোজার ক্যালেন্ডার ও ইবাদতের প্রস্তুতি
- রমজানের চাঁদ ও ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি
- রমজানের আমল ও করণীয়
- চাঁদ দেখার পদ্ধতি অনুসরণ
- রোজার মাসে লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব
- শেষ কথা, ২০২৬ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশে
২০২৬ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশে
২০২৬ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশে এ বিষয় সম্পর্কে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ
করেছেন। রমজান মাস অত্যন্ত পবিত্র একটি মাস। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা আমাদের
গুনাহ মাফ করে দেন। ২০২৬ সালের রমজান বাংলাদেশের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৮ তারিখ
ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হবে বলেই নির্ধারণ করা হয়েছে। রমজান মাসি ৩০ দিন ধরে
চলবে এবং আনুমানিকভাবে শেষ হবে ১৯ মার্চ । রোজা অর্থাৎ সিয়াম মাস মুসলিম
উম্মার জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি সময়।
এই সময় দিনে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানি খাদ্য ও অন্যান্য সাধারণ
কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়। রোজা শুধু শারীরিকভাবে ক্ষুধা, তৃষ্ণা সহ্য করার
বিষয় নয় বরং আত্মশুদ্ধি ধ্যান, ধর্মচর্চা, মানুষকে সহানুভূতিশীল, ধৈর্যশীল
করে তোলে। বাংলাদেশের রমজান শুরু হওয়ার আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং জাতীয় চাঁদ
দেখা কমিটি তাদের নিয়মানুসারে চাঁদ দেখা বিষয়টি ঘোষণা করেন। চাঁদ দেখা না
গেলে সূচনাটি একদিন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। রমজান মাসেপ্রতিদিনের সেহেরী ও
ইফতারের সময় সাধারণত জাতীয় ও স্থানীয় প্রচলিত সময়ে ঘোষণা করা হয়।
এই মাসে মুসলিমরা সকালে ফজরের নামাজ রাতের লাইলাতুল কদর তাবলীগ কোরআন তেলাওয়াত
ও যাকাত ও সদকা বৃদ্ধি করে। রোজার শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয় যেখানে সকলে
মিলিত হয়ে নামাজ আদায় করে এবং মিষ্টি ও আনন্দ ভাগাভাগি করে। ২০২৬ সালের রমজান
এবং ঈদের সময় সূচি চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ।তবে পরিকল্পনামাফিক এই
তারিখগুলোর ধারণা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃহযরত আদম (আঃ) এর জীবন কাহিনী
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রোজার সময়সূচী
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ধর্মীয় সংস্কৃতি ও দ্বীনি কাজের জন্য দায়িত্বশীল
সরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর রমজান মাসের আগে তারা দেশের বিভিন্ন জেলার জন্য
সেহেরী ও ইফতার সময়সূচী নির্ধারণ ও প্রকাশ করেন। সাধারণভাবে তারা সেহেরির শেষ
সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট আগেই এবং ফজরের সময়সূচি সুবহে
সাদিকের ৩ মিনিট পরে নির্ধারণ করে দেয়। এই সময়সূচী সাধারণত রাজধানী
ঢাকা কেন্দ্রিকভাবে নির্ধারণ করা হয় এবং জেলা ও উপজেলায় স্থানীয় পার্থক্য
অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ মিনিটের হেরফের হতে পারে।
এই সময়সূচী নির্ধারণের চাঁদ দেখা সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় ও ইসলামী
প্রার্থনার সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়। রমজান মাসে সেহেরির সময় শেষ হওয়া মানে
সুবহ-এ-সাদিক বা ফজরের আগে শেষ মুহূর্ত। ঢাকা কেন্দ্রিক সময়সূচি
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্রার্থনা ও আয়োজন সহজ করে। এছাড়া রোজার সময়সূচির
পাশাপাশি ফজর, যোহর, আছর, মাগরিব ও এশার নামাজ সময় ও সূর্যোদয় সময় ও
তালিকাভুক্ত করা হয়।
রমজান শুরু ও শেষ নির্ধারণ হয় চাঁদ দেখার উপর। ২০২৬ সালের রমজান সাধারণত ১৮
ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এবং ১৯ মার্চ শেষ হবে বলে আশা করা যায়। রমজান মাসের
সেহেরী এবং ইফতারের সময়সূচি এখন দেওয়া সম্ভব নয় কারণ সেটা প্রকাশ করা হবে
রমজান মাসের তিন দিন আগে।
রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত জানুন
আপনারা অনেকেই রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানেন। তাও আমি বিস্তারিত
আলোচনা করছি আশা করি আরো কিছু জানতে পারবেন। রমজান মাস ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত
পবিত্র ও মর্যাদা সম্পন্ন একটি মাস। এই মাসে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জন্য
রোজা রাখাকে ফরজ করেছেন যা আত্মসংযম ধৈর্য ও তাকওয়া অর্জনের এক মহৎ
মাধ্যম।
রমজান মাসে পবিত্র কোরআন নাযিল হয়েছে যা এই মাসের মর্যাদাকে আরো বৃদ্ধি করে
দিয়েছে। এই মাসে মুসলমানরা সারাদিন খাদ্য পানিও ও সকল অপকর্ম থেকে বিরত থেকে
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন। সাত বছরের শিশু থেকে শুরু করে
প্রাপ্তবয়স্ক সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমরা রোজা করে থাকি।
রমজান শুধু খোদা ও তৃষ্ণা সহ্য করার নাম নয় বরং এটি আর তাকে পবিত্র করার বা
গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি সুযোগ। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশায় রোজা রাখে তার
অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।"এই মাসের দান সদাকা কোরআন তেলাওয়াত নামাজ ও
এবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত মাগফিরাত ও নাজাত অর্জন করা যায়।
বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের রাতে এবাদত করলে হাজার মাসের এবাদতের সমান ছোঁয়া
পাওয়া যায় রমজান মাস মুসলমানদের জন্য এক আত্মিক প্রশান্তি ও নবজীবনের বার্তা
নিয়ে আসে যা পুরনো বছরজুড়ে নেক আমলের অনুপ্রেরণা যোগায়। এই মাসে আমরা নিজেকে
আত্মশুদ্ধি করার জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে দোয়া করে থাকি।
সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৬
দেশজুড়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরদের মাঝে বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে জানা গেল রোজার
সময়সূচি ২০২৬। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত হয়েছে ২০২৬ সালের রোজার
আনুমানিক সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি। তবে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে চূড়ান্ত
সময়সীমা নির্ধারিত হবে। যদিও আগে থেকে আপনারা যদি জানেন রোজা কবে হবে তাহলে
প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে পারবেন।দীর্ঘ এক বছর পর পর আসে রহমত ও বরকত এবং
মাগফিরাতের মাস রমজান।
বাংলাদেশের কমেডি সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে অনেকেই রোজা পালন
করে থাকেন কিন্তু সরকারি ভাবে চাঁদ দেখা কমিটি ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তই
চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হয়। ঢাকায় সেহেরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৪০ থেকে ৪টা ৫০
মিনিট এবং সেহরি শেষ সময় ইফতারের শেষ সময় ৬টা ১০ থেকে শুরু করে ৬টা ৩০ মিনিট
তবে চাঁদ ও সূর্যাস্ত অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। রমজান শুধু না খেয়ে উপবাসের
মাস নয় বরং এটি আত্মশুদ্ধি ও ধৈর্যধারণের মাস।
এই মাসে পরিকল্পিত সময়সূচি অনুযায়ী এবাদতে মনোযোগ বাড়ে। যেমন প্রতিদিন ফজরের
পর আধাঘন্টা কোরআন তেলাওয়াত, জোহরের পর ১৫ মিনিট দোয়া ও জিকির ইফতারের আগে ১০
মিনিট দোয়া রাতে তারাবি এবং তাহাজ্জুতের নামাজ অভ্যাস। এসব অভ্যাস গড়ে তুললেই
রমজান হয়ে উঠবে আরো অর্থবহ।
আরো পড়ুনঃহযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) এর জীবনী
২০২৬ সালের রোজার ক্যালেন্ডার ও ইবাদতের প্রস্তুতি
প্রতি বছরেই রমজান মাসের জন্য আমরা অপেক্ষা করি এবং এবাদতের প্রস্তুতি গ্রহণ
করে থাকি। রোজার মাস এলেই মনে আনন্দ লাগে কারণ এই মাসে নিজের আত্মাকে
আত্মশুদ্ধি করার একটা মাস। ২০২৬ সালের রমজান মাস শুরু হতে পারে ১৮ ফেব্রুয়ারি
তবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সাধারণত চাঁদ
দেখার উপর আনুষ্ঠানিক রোজার সময়সূচী ঘোষণা করে। এ বছরেই সেই অনুযায়ী
প্রতিদিনের সেহেরী ও ইফতারের সময় ভিন্ন ভিন্ন হবে। রোজার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী
ঢাকায় প্রথম রোজার দিনে সেহেরির শেষ সময় প্রায় ৪ টা ৫০ মিনিটে এবং ইফতারের
সময় হবে ৬টা ১০ থেকে ১৫ মিনিটে।
তবে মাসের শেষের দিকে দিন দীর্ঘ হওয়ার সময় সামান্য পরিবর্তন হবে। রমজান মাসের
ইবাদতের জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। মানসিকভাবে নিজেকে
পরিশুদ্ধি করা নামাজে মনোযোগী হওয়া এবং কোরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তোলা
উচিত। এছাড়া অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল দান সদকা করা এবং পাপ কাজ থেকে বিরত
থাকা রোজার মূল উদ্দেশ্য পূরণ করে।
ঘরে ইফতার ও সেহেরির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী আগে থেকে প্রস্তুত রাখলে
সময় ও মানসিক চাপ কমে। রমজান শুধু উপবাস নয় বরং আত্মশুদ্ধি ও
আত্মনিয়ন্ত্রণের মাস। তাই আমরা সকলেই ২০২৬ সালের রোজাকে স্বাগতম জানাতে শরীর ও
মন দুটোই যেন ইবাদতের জন্য প্রস্তুত থাকে। এবারের রোজা আমরা যেন সঠিকভাবে পালন
করতে পারি এবং নিজেকে আত্মশুদ্ধি করতে পারি।
রমজানের চাঁদ ও ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি
আমাদের মুসলিম ধর্মালম্বীর রমজানের চাঁদ দেখা মানেই আনন্দ।রমজান মাস ইসলাম
ধর্মের অত্যন্ত পবিত্র মাস যা চাঁদ দেখার মাধ্যমে নির্ধারিত হয় ইসলামী শরীয়তে
রমজানের শুরু ও শেষ নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। হযরত মহানবী (স:) বলেছেন চাঁদ
দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে রোজা ভাঙো (সহিহ বুখারী)। এই হাদিসের মাধ্যমে
বোঝা যায় ইসলাম চাঁদ দেখা কে রমজানের সূচনা ও সমাপ্তির নির্ভরযোগ্য উপায়
হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
রমজানের চাঁদ দেখা মানে শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয় এটি মুসলিম
সমাজে আনন্দ ও ঐক্যের প্রতীক ও বটে। চাঁদ দেখা উপলক্ষে পরিবার সমাজ ও মুসলিম
বিশ্ব একত্রিত হয়ে রোজার প্রস্তুতি নেয়। অনেক দেশেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা
ধর্মীয় বোর্ড স্বাক্ষর যাচাই করে আনুষ্ঠানিকভাবে রমজান মাস শুরু ঘোষণা করে।
আধুনিক যুগে জ্যোতিষবিজ্ঞান দ্বারা চাঁদ উভয়ের সম্ভাবনা নির্ধারণ করা সম্ভব
হলেও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে চোখে দেখা সাক্ষ্যই মূল ভিত্তি।
তাই রমজানের চাঁদ মুসলিম সমাজে ঐক্য ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের এক গভীর প্রতীক
হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা এখন যাই করি না কেন রোজার মাস এলে আল্লাহর এবাদত এর
জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। কারণ প্রতিটি মুসলিম জানে এই মাসে আল্লাহ তায়ালা
আমাদের পাপ ক্ষমা করে দেন।
রমজানের আমল ও করণীয়
রমজান ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত বরকতময় ও পবিত্র মাস এ মাসে আল্লাহতালা মুসলমানদের
জন্য রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের দরজা খুলে দেন। রমজানে মুসলমানদের মূল আমল হলো
রোজা রাখা, নামাজ আদায় করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজেকে
পরিশুদ্ধি করা। এই মাসে কোরআন তেলোয়াত তাহাজ্জুদ নামাজ তারাবির নামাজ ও দোয়া
করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রোজাদারদের উচিত সময়মতো সেহরি ও ইফতার করা এবং
অযথা সময় নষ্ট না করে ইবাদতে ব্যস্ত থাকা।
রমজানে গীবত, মিথ্যা কথা, রাগ, অন্যের ক্ষতি করা এবং অশালীন আচরণ থেকে বিরত
থাকা অপরিহার্য। তাই আমরা এসব কাজ থেকে বিরত থাকবো। এছাড়া দরিদ্র ও অসহায়দের
সাহায্য করা যাকাত প্রদান ও দান খয়রাত করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। রমজানের
শেষের দিকে লাইলাতুল কদরের রাতে আমরা রাত জেগে এবাদত করে থাকি।
কারণ এই রাতে এবাদত করলে ১ হাজার মাসের সওয়াব দেন। এই মাসের আমল গুলো শুধু
ইহকাল নয় পরকালেও মুক্তির পথ প্রশস্ত করে দেন। তাই রমজান মাসে আমাদের উচিত
আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া আত্মশুদ্ধি অর্জন করা ও তাকওয়া অর্জনের চেষ্টা করা।
চাঁদ দেখার পদ্ধতি অনুসরণ
আমরা সাধারণত চাঁদ দেখেই রোজা পালন করে থাকি এবং চাঁদ দেখেই ঈদ পালন করে
থাকি।ইসলাম ধর্মে রমজান ও ঈদের মতো গুরুত্বপূর্ণ মাস ও উৎসবের সূচনা চাঁদ দেখার
মাধ্যমে নির্ধারণ হয়। তাই চাঁদ দেখার পদ্ধতি অনুসরণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ
ধর্মীয় দায়িত্ব। চাঁদ দেখা সাধারণত খালি চোখে দেখা যায় না তবে বর্তমানে
বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়।
চাঁদ দেখা গেলে বিশ্বস্ত ব্যক্তি বা কমিটির মাধ্যমে তার নিশ্চিত করা হয় এবং
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা স্থানীয় মসজিদ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। যদি কেউ চাঁদ
দেখতে পায় তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে জানাতে হয় যাতে বিভ্রান্তি না হয়।
চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে একতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। কারণ ভিন্ন ভিন্ন
সিদ্ধান্ত মুসলমানদের মধ্যে বিবেক সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমাদের উচিত সরকারি ও
ইসলামিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চাঁদ দেখা সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা যাতে
ধর্মীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
আরো পড়ুনঃদুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ইসলামিক উপায়
রোজার মাসে লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব
লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা।
লাইলাতুল কদর ইসলাম ধর্মে এক মহিমান্বিত ও বরকতময় রাত। লাইলাতুল কদর এই রাতটি
রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাত গুলোর মধ্যে একটি যেমন যেমন ২১, ২৩, ২৫ ,২৭,
২৯। তবে অধিকাংশ মানুষই ২৭ তম রাতকে মুসলমান লাইলাতুল কদর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ
বা গুরুত্ব ভাবে পালন করে থাকে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম সূরা
আল কদর ৩ অর্থাৎ এই এক রাতের এবাদতের সওয়াব ১০০০ মাসের থেকেও বেশি এবাদতের
সমান। এই লাইলাতুল কদরের রাতে ফেরাস্তগণ পৃথিবীতে নেমে আসে এবং রহমত বরকত ও
শান্তি বর্ষিত হয়। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাকে ক্ষমা ও দোয়া কবুলের দরজা
উন্মুক্ত করে দেয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, যে
ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদর এবাদত করবে তার পূর্বের সব গুনাহ
মাফ করে দেওয়া হবে।
তাই অধিকাংশ মানুষ লাইলাতুল কদরের রাতে নামাজ কোরআন তেলাওয়াত দোয়া আর জিকির ও
তওবা করে থাকে এই রাতে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা এবং আত্মাকে পবিত্র করার
সেরা সুযোগ দেয় আল্লাহ তায়ালা। তাই লাইলাতুল কদর মুসলমানদের জীবনে রহমত বরকত
মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আসে।
শেষ কথা, ২০২৬ সালের রমজান কত তারিখ বাংলাদেশে
২০২৬ সালে রমজান কত তারিখ বাংলাদেশে এ সম্পর্কে উপরের আর্টিকেলটি পড়ে
সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন ২০২৬ সালের রমজান বাংলাদেশের শুরু হবে চাঁদ দেখার
উপর ভিত্তি করে তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী রমজান
মাস শুরু হতে পারে ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এই তারিখ একদিন আগে বা পরে হতে পারে। রমজান মাস মুসলমানদের জন্য এবাদতের মাস। এই মাসে আল্লাহর বরকত মাগফিরাত ও নাজাত লাভের সুযোগ দিয়ে থাকে তাই প্রতিটি মুসলমানদের উচিত রমজানের সঠিক নিয়ম মেনে আল্লাহর সন্তুষ্টির লাভের জন্য এবাদত রোজা নামাজ দান সদকা জিকির ইত্যাদি করা।
আজকে এই পর্যন্তই আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে। এই আর্টিক্যাল
সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম আরো তথ্য বা সেবা পেতে আমাদের এই
ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।
ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url