বাংলাদেশের বিভিন্ন দিবসের তালিকা সম্পর্কে জেনে নিন

 বাংলাদেশের বিভিন্ন দিবসের তালিকা সম্পর্কে আপনি জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্যই। আপনি হয়তো জানেন না কোন মাসের কোন তারিখে কোন দিবস পালিত হয়? আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম কোন মাসে কোন দিবস?

বাংলাদেশের প্রতিবছর আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালন করে থাকি। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না কোন তারিখে কোন দিবস? তাই সবাই মিলে আজ জানবো কোন মাসের কয় তারিখে কোন দিবস আমরা উদযাপন করে থাকি। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন দিবসের তালিকা 

বাংলাদেশের বিভিন্ন দিবসের তালিকা

বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ও সংস্কৃতি দেশ। যা আমরা সারা বছর জুড়ে এখানে নানা ধরনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হয়, যা জাতির ইতিহাস সাংস্কৃতিক ও সামাজিক চেতনার প্রতিফলন ঘটায়। আমরা এই ডিবোসগুলো জাতীয় ঐক্য, দেশ প্রেম, মানবতা ও সামাজিক দায় বদ্ধতার বার্তা বহন করে থাকি।     



সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিবস গুলোর মধ্যে রয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, আমরা এই ভাষার জন্য আত্মত্যাগের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতি বহন করি।  ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস আমাদের মুক্তিযোদ্ধার সূচনা স্মরণ করায় এবং ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস স্বাধীনতার চূড়ান্ত অর্জনের প্রতীক। এছাড়াও রয়েছে ১ মে শ্রমিক দিবস, ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২৬ শে সেপ্টেম্বর পরিবেশ দিবস, ১ ডিসেম্বর এইডস সচেতনা আরো অনেক দিবস উদযাপন করা হয় ‌।                                                

এছাড়াও আমরা নারী দিবস, শিশু দিবস, শিক্ষা দিবস, বৃক্ষরোপন দিবস, মৎস্য দিবস ইত্যাদি আমাদের সমাজেও অর্থনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। এসব দিবস জাতীয় জীবনে অনুপ্রেরণা জাগায় এবং মানুষকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনা গড়ে তুলে। তাই বাংলাদেশের এইসব দিবস শুধু সরণ নয়, জাতীয় সচেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দিবসে  গুরুত্ব

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দিবসগুলো আমাদের জাতীয় পরিচয়, ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও ইতিহাসের মূল সম্পদ। এই দিবসগুলো শুধু উৎসব বা ছুটি নয়, বরং এটা আমাদের অতীত সংগ্রাম, একতা ও গৌরবের প্রতীক। যেমন, ২১ শেষ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । শহীদের রক্ত দিয়ে আমরা এই দেশকে স্বাধীন করে তুলেছি । তাই আমরা এই দিনে শহীদেরকে স্মরণ করি ও শ্রদ্ধা করি। এবং মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ২৬ শে মার্চ আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকি। 

আমাদের মুক্তির সংগ্রামের মূল সূচনা হয় ২৬ শে মার্চ। ২৬ মার্চ বাঙালি জাতি শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই আমরা ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে থাকি এটা আমাদের গর্ভের বিষয়। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশকে বিজয় করতে পেরেছি লাম। 16 ডিসেম্বর বিজয় দিবস আমাদের গৌরবময় দিন। 

এছাড়াও পহেলা বৈশাখ শুভ নববর্ষ শ্রমিক দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ইত্যাদি দিবস আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সংস্কৃতির ধারাকে আরো সমৃদ্ধ করে তোলে। এসব দিবস উদযাপনের মাধ্যমে আমরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি যাতে আগামী প্রজন্ম তাদের নিজেদের দেশ ও সংস্কৃতিকে ভালবাসতে পারে এবং বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারে। 

আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী দিবসগুলো সমাজের দেশপ্রেম ঐক্য মানবতা ও পরিশ্রমের উদ্যোগ জাগিয়ে তোলে। এগুলোর মাধ্যমে যে কোন মানুষ তার শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং জাতীয় পরিচয় কে শক্তিশালী করে। তাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দিবস গুলো আমাদের আনন্দের গৌরবময় এবং জাতীয় চেতনাকে জাগ্রত করার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

৭ই মার্চ ঐতিহাসিক মুজিবের ভাষণ

৭ই মার্চ মাসের ঐতিহাসিক ভাষণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১০ লাখ মানুষের উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। সেদিন তার কন্ঠে উচ্চারিত কথাগুলোই বাঙালির স্বাধীনতার অগ্রযাত্রার প্রেরণা হয়ে উঠেছিল।

বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেন "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম"এই আহব্বানে সমগ্র বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠেছিল। তিনি সেই দিন সরাসরি স্বাধীনতার ডাক দেন এবং তার বক্তব্যের প্রতিটি শব্দই স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতিধ্বনি হয়েছিল সারা বাংলায়। 

এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে সাহস দিকনির্দেশনা ও দৃঢ় সংকল্পে উজ্জীবিত করেছিল যার ফলশ্রুতিতে শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। ইউনেস্কো এই ভাষাকে বিশ্বের অন্যতম ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তাতেই মার্চের ভাষণ শুধু একটি বক্তব্য নয় এটি বাঙালি জাতির স্বাধীনতার প্রেরণার প্রতীক। যা আজও প্রতিটি দেশপ্রেমিক হৃদয়ে নাড়া দেয়।


২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব

২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাস এক মহিমান্বিত দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নিপীড়ন অর্থনৈতিক বৈষম্য ও অন্যায়ের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় যার পরদিন অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনা হয়। 

এই দিনটি বাংলাদেশের বাঙালি জাতির এক গৌরবময় দিন। এটি আমাদের স্মরণ করে দেয় লাখো শহীদদের আত্মত্যাগ, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা এবং বাঙালির অবিচল স্বাধীনতার চেতনা। স্বাধীনতা দিবস শুধু আনন্দের নয় বরং জাতীয় গৌরব আত্মসম্মান ও ঐক্যের প্রতীক। ২৬ শে মার্চ সারাদেশে পতাকা উত্তোলন জাতীয় সংগীত পরিবেশনা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পালন করা হয়। এই দিনটি নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে এবং স্বাধীনতার মূল্য উপলব্ধি করতে শেখাবে। 

স্বাধীনতা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে স্বাধীনতা অর্জন যেমন কঠিন ছিল তার রক্ষা করাও ততটাই কঠিন কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। তাই ২৬ শে মার্চ কেবল অতীতের স্মৃতি নয় এটি আমাদের ভবিষ্যতের প্রেরণা এটি স্বাধীন সমৃদ্ধ ও ন্যায় ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের দিন।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের গুরুত্ব



২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব




১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের গুরুত্ব

১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস

১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস 

শেষ কথা, বাংলাদেশে বিভিন্ন দিবসের তালিকা


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url