বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পূর্ণ জেনে নিন
বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্যই। আসলে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি হলো সময় মতো এবং সঠিক সময়ে সহবাস করা। সঠিক সময়ে সহবাস করলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বাংলাদেশের অনেক নারী রয়েছে যারা সন্তান নিতে পারে না এবং সন্তান নেওয়া তাদের স্বপ্ন হয়ে গেছে। যদিও কোন কোন নারী সহজেই শিশু গর্ভধারণ করতে সক্ষম। আর কিছু কিছু নারী রয়েছে তারা বুঝতে পারে না কোন সময়ে সহবাস করলে বাচ্চা হয় চলুন এর বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি
- বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি
- বাচ্চা কিভাবে নিতে হয়
- বাচ্চা নেওয়ার সঠিক বয়স
- বাচ্চা নেওয়ার ইসলামিক নিয়ম
- বাচ্চা নেওয়ার আগে পুরুষের করণীয়
- ছেলে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি
- গর্ভধারণের সঠিক সর্বোত্তম দশটি উপায়
- দম্পতির শারীরিক ও মানসিক পদ্ধতি
- গর্ভধারণে সমস্যার লক্ষণ ও সমাধান
- শেষ কথা, বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি
বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি
বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত নয়। সন্তান নেওয়ার কয়েক
মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন এতে মা ও শিশু দুজনেরই
সুস্থ থাকার সম্ভাবনা থাকে। বাচ্চা নেওয়া একটি পরিবার ও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ
একটি অংশ। আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে বাচ্চা নিতে হয় কিভাবে সহবাস করলে বাচ্চা
হয়? একজন সুস্থ ও নিরাপদ শিশুর জন্ম নিশ্চিত করতে হলে দম্পতিকে শারীরিক-মানসিক ও
স্বাস্থ্যগতভাবে প্রস্তুত থাকবে হবে।
শুধু শারীরিক মিলনের ওপর নির্ভর করে নয় বরং সঠিক সময় সঠিক পরিকল্পনা স্বাস্থ্য
পরীক্ষা এবং জীবন যাপনের ওপরে গর্ভধারণ সফল হয়। নিচে বাচ্চা হওয়ার সঠিক পদ্ধতি
ও নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। গর্ভধারণের আগে দম্পতির দুজনেরই
মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা জরুরী। পরিবার গঠনের দায়িত্ব সময় আর্থিক অবস্থা
মানসিক স্থিরতা এসব বিষয় বিবেচনা কারা গুরুত্বপূর্ণ।
শারীরিকভাবে ক্লান্তি স্ট্রেস বা অসুস্থতা থাকলে গর্ভধারণ কঠিন হতে পারে তাই
দুজনেরই সুস্থ থাকা জরুরী। সুস্থ সন্তান জন্মগ্রহণের জন্য ফলিক এসিড অত্যন্ত
প্রয়োজন। মায়ের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড যদি না থাকে তাহলে শিশুর ব্রেন
ও মেরুদন্ডে গুরুতর এবং জন্মগত ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একজন মহিলা এবং
পুরুষ যখন নতুন সংসার শুরু করতে যায় তখন তারা বিভিন্ন ধরনের স্বপ্ন দেখে।
সন্তান ছাড়া একটি পরিবার কখনোই সম্পন্ন হয় না। একটি দম্পতি সংসার শুরু করার
পরেই ভাবনা এসে যায় সন্তানের অভাববোধ। এটাই পৃথিবীর নিয়ম। কিন্তু একটি নতুন
সংসারে নতুন অতিথি আসার আগে বাচ্চা নেওয়ার পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ । একটি
সুস্থ ও সবল বাচ্চার স্বপ্ন সব দম্পতিরাই দেখে।
বাচ্চা কিভাবে নিতে হয়
বাচ্চা নেওয়া বা গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া যেখানে নারীর
ডিম্বানু ও পুরুষের শুক্রানু একত্রে মিলিত হয়ে গর্ভ সৃষ্টি হয়।
বাচ্চা না কি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা সঠিক জ্ঞান, প্রস্তুতি এবং
স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে আরো সহজ ও নিরাপদ হয়। গর্ভধারণের জন্য প্রথম শর্ত
হলো স্বামী স্ত্রী সুস্থ থাকা। তাই বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করলে উভয়ের সাধারণ
রক্ত পরীক্ষা থাইরয়েড ডায়াবেটিস এবং প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নেওয়া
জরুরি। নারীর মাসিক চক্রের সঠিক সময় জানা গর্ভধারণের মূল চাবিকাঠি। সাধারণত
মাসিকের 10 18 তম দিনের মধ্য ও ভুলেশান হয়, যাকে ফারটাইল টাইম বলা হয়। এই সময়
দাম্পত্য মিলন হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সর্বোচ্চ থাকে।
গর্ভধারণের জন্য পুরুষের শুক্রাণু নারীর জীবাণুর সাথে মিলিত হতে হয়, যা
স্বাভাবিক দাম্পত্য সম্পর্কের মাধ্যমে ঘটে। মিলনের আগে পরে শারীরিক ও মানসিক
স্বস্তি বজায় রাখা গর্ভধারণের সহায়ক। গর্ভধারণের আগে নারীর ফলিত এসিড খাওয়া
খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভবিষ্যৎ শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক গঠনে
সাহায্য করে। সুস্থ জীবন যাপন যেমন পুষ্টিকর খাবার পর্যাপ্ত ঘুম শরীরচর্চা ধূমপান
অ্যালকোহল পরিহার উড় উর্বরতা বজায়।
মিলনের ১০ থেকে ১৪ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্টের মাধ্যমে গর্ভধারণ নিশ্চিত করা হয়।
তারপর নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গর্ভকালীন যত্ন নেওয়া একটি সুস্থ
সন্তানের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।
বাচ্চা নেওয়ার সঠিক বয়স
বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় নির্ভর করে নারীর মাসিক চক্র ও ওভু লেশনের উপর। সাধারণত
একটি 28 দিনে নিয়মিত মাসিক চাকরি মাসিক শুরুর পর 10 থেকে 18 তম দিনের মধ্যে
অভুলেশন ঘটে, যখন ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়। এটিকে ফার্ট টাইম বা সবচেয়ে উরবার সময়
বলা হয়। এই সময় দাম্পত্য মিলন হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সর্বোচ্চ থাকে। অনেক
নারী শারীরিক লক্ষণের মাধ্যমে ওভুলেশনের সময় বুঝতে পারেন, যেমন স্বচ্ছ ও টানটান
স্রাব, হালকা কোমর ব্যাথা বা তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন।
বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময় নির্ধারণের জন্য ওভুলেশন টেস্ট কিট ও ব্যবহার করা হয়।
এগুলো ফারটাইল দিনগুলো নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। যাদের মাসিক অনিমিত তাদের
ক্ষেত্রে ওভুলেশন দিন পরিবর্তিত হতে পারে। তাই চিকিৎসকের কাছে পরামর্শে হরমোন
পরীক্ষা বা উল্টা সাউন্ড করা ।
ফারটাইম সময় ছাড়াও দম্পতি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা পাত্তা নেওয়ার জন্য
গুরুত্বপূর্ণ মানসিক চাপ কম রাখা পর্যাপ্ত ঘুম পুষ্টিকর খাবার ও সুস্থ
অভ্যাস উর্বরতা বজায়। সঠিক সময়ে পরিকল্পিত মিলন স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং যাপনের
সতর্কতা একটি শুষ্ক গর্ভধারণের পথকে সহজ করে তোলা। যদি দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও
গর্ভধারণ না হয় তবে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী ।
বাচ্চা নেওয়ার ইসলামিক নিয়ম
ইসলামের দাম্পত্য জীবনের সন্তান গ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত এবং মানব জীবনের
স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সন্তান হওয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি মহান রহমত এবং
দম্পতির জন্য অবশেষ নেয়ামত। তবে বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলাম কিছু ছিল না তা,
নৈতিকতা ও দোয়া দরুদ এর মাধ্যমে সঠিক পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছে। তবে বাচ্চা
নেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলাম হলেও শুধু স্বামী স্ত্রীর মধ্য। বৈধ নিকাহ ছাড়া সন্তান
নেওয়া ইসলামের সম্পূর্ণ হারাম।
ইসলামের দ্বিতীয়তঃ দাম্পত্য সম্পর্কে আগে উভয়ের পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা এবং
মানসিক প্রস্তুতির প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। সম্পর্কের সময় আল্লাহর নাম নিয়ে
দোয়া পড়তে বলা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে সন্তান হোক অসুস্থ হয়। ইসলামের সন্তান
নেওয়া নির্দিষ্ট সময় বা তারিখ না থাকলেও শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকা
এবং পারস্পরিক সম্মতিতে সম্পর্ক হওয়াকে গুরুত্ব দেয়া হয়।
ইসলাম পরিবার পরিকল্পনা করতে অনুমতি দেয়, যদি তা বৈধ পদ্ধতিতে হয় এবং কোন ক্ষতি
হয় না। তবে স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ অপ্রয়োজনীয় হলে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
সব শেষ, সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আমানত, তাই বাচ্চা নেওয়ার আগে রিযিক, এবং
ভবিষ্যৎ লালন পালনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা ইসলামী নির্দেশনার অংশ। এভাবেই
ইসলাম দাম্পত্য জীবনে সন্তান গ্রহণকে করে তোলেছে সুন্দর, পবিত্র ও দায়িত্বশীল ।
বাচ্চা নেওয়ার আগে পুরুষের করণীয়
বাচানার আগে শুধু নারী নয় বরং পুরুষেরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া
অত্যন্ত জরুরী। একটি সুস্থ সন্তান জন্মের জন্য দাম্পত্যের উভয় পক্ষের শারীরিক ও
মানসিক সুস্থতা সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই পুরুষের উচিত প্রথমে নিজের স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করানো। ধূমপান, মাদকাসক্তি, অতিরিক্ত চা কফি বা জাঙ্ক ফুড গ্রহণ বীর্যের
গুণগত মান কমিয়ে দেয়, তাই এগুলো এড়ানোর উচিত।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি পান করা, নিয়মিত ব্যায়াম ও ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম
পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই, জিংক, ফলিক অ্যাসিড,
বাদাম জাতীয় খাবার বীর্যের মান উন্নত করতে উপকারী। পাশাপাশি মানসিক চাপ কমানো ও
শান্ত জীবন যাপন করা ও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ টেস্ট বীর্যের সংখ্যা ও গতিশীল কমিয়ে
দেয়।
ইসলামী দৃষ্টিকোণে থেকে পুরুষের জন্য মনে রাখা জরুরি যে স্ত্রীকে ভালোবাসা,
সম্মান ও সহযোগিতা করার মাধ্যমে একটি সুস্থ পরিবারিক পরিবেশ তৈরি করা সন্তান
গ্রহণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সম্পর্কের আগের দোয়া পড়া,
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং নৈতিকতা মেনে চলার সুন্নাত।
সব শেষে, বাচ্চা নেওয়ার আগে পুরুষের উচিত নিজেকে শারীরিকভাবে শক্তিশালী,
মানসিকভাবে স্থির এবং নৈতিকভাবে প্রস্তুত রাখা, যাতে ভবিষ্যৎ সন্তান একটি সুস্থ ও
সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা।
বাচ্চা নেওয়ার আগে পুরুষের করণীয়
বাচ্চা নেওয়ার আগে শুধু মহিলা নয়, পুরুষেরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ
করা অত্যন্ত জরুরী। সুস্থ সন্তান পেতে হলে বাবার শারীরিক, মানসিক ও জীবন যাপনের
অভ্যাস ভালো থাকা প্রয়োজন। প্রথমেই, পুরুষের উচিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নেওয়া,
বিশেষ করে ব্লাড টেস্ট, হরমোন টেস্ট এবং প্রয়োজনীয় স্পার্ম অ্যানালাইসিস।
এরপর জীবন যাপনের দিকে নজর দেওয়া জরুরী। ধূমপান, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদক সেবন
গুরুত্বপূর্নভাবে এরিয়া চলতে হবে, কারণ এগুলো স্পার্মের গুণগতমান কমিয়ে দিতে
পারে। যথেষ্ট ঘুম, অনিয়মিত ব্যায়াম এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা খুবই উপকারী।
বিশেষ করে দশ্তা, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ওমেগা ৩ যুক্ত খাবার স্পার্মের স্বাস্থ্য
ভালো রাখতে সাহায্য করে।
স্টেটস কমানোও গুরুত্বপূর্ণ । অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা পুরুষের হরমোনের অভ্যাস
ভারসাম্য নষ্ট করে, যা সন্তান ধারণে বাধা হতে পারে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত গরম
পরিবেশ( যেমন ল্যাপটপ খুলে রাখা বা টাইট কাপড় পর) স্পার্মের ক্ষতি করে, তাই
এগুলো পেশ করা উচিত।
সবশেষে, দাম্পত্য জীবনে পরস্পরের প্রতি সম্মান, খোলামেলা আলোচনা এবং মানসিক
প্রস্তুতি অত্যন্ত প্রয়োজন। সুস্থ মানসিক সম্পর্ক একটি সুস্থ পরিবারের ভিত্তি।
সঠিক প্রস্তুতি নিলে সন্তান নেওয়ার সম্ভাবনা আরও সুন্দর ও সফল জীবনময়ী গড়ে
উঠবে।
ছেলে বাচ্চা নেয়া সঠিক পদ্ধতি
ছেলে বা মেয়ে আল্লাহর দান এবং সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক নিয়মের ওপর নির্ভর।
সন্তান ছেলে হোক নাকি মেয়ে হবে তা নির্ধারিত হয় পুরুষের স্পর্মে থাকা ক্রোমোজোম
দ্বারা। নারীর ডিম্বাণু সব সময় এক্স ক্রোমোজোম গ্রহণ করে থাকে এবং পুরুষের
স্পার্ম হতে পারে X বা Y। যদি Y স্পার্ম ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে , তাহলে
ছেলে বাচ্চার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এটি মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে একটি
স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
তবে সুস্থ সন্তান পাওয়ার জন্য কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যকর প্রস্তুতি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, বাবা-মা দুজনেরই শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করা
উচিত। পুরুষের ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার, দস্তা ও ভিটামিন
সমৃদ্ধ খাদ্য এবং ধূমপান বা অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা স্পার্ম এর মান উন্নত
করতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমানোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে ছেলে বা মেয়ে নির্ধারণের কোন নিশ্চিত প্রাকৃতিক পদ্ধতি নেই।
চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শকরে প্রি কনসেপশন কাউন্সেলিং করা যেতে পারে, যাতে
দম্পতির সুস্থ গর্ভধারণের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানেন।
সব শেষে মনে রাখা উচিত, সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে সুস্থ, নিরাপদ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ
ই সবচেয়ে বড় বিষয়। এবং সুন্দরভাবে পরিবেশ গড়ে তোলায় উচিত।
গর্ভধারণের সঠিক সর্বোত্তম দশটি উপায়ে
দম্পতির শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি
সুস্থ সুন্দর পারিবারেক জীবনের জন্য দম্পতি শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রে উভয়কে মেয়েদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে
সচেতন থাকতে হবে। সঠিক ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত
ঘুম এবং শরীরের যেকোনো অসুস্থতা বা হরমোন জনিত সমস্যার প্রতি সতর্ক থাকা জরুরি।
গর্ভধারণের পরিকল্পনার আগে প্রয়োজন হলে মেডিকেল চেকআপ করা নেওয়া ভালো, দাঁতের
দম্পতি নিজে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পান। ধূমপান, অ্যালকোহল বা
যে কোন ক্ষতিকার অভ্যাস পরিত্যাগ করাও খুবই জরুরী।
মানসিক প্রস্তুতি শারীরিক প্রস্তুতির মতই গুরুত্বপূর্ণ। দম্পতির মধ্যে পারস্পরিক
বোঝাপড়া, ভালোবাসা, সম্মান ও সহনশীলতা একটি শক্তিশালী সম্পর্কে গড়ে তোলে।
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কমানো, একে অপরের মতামত কে মূল্যায়ন দেওয়া এবং খোলামেলা
আলোচনার অভ্যাস দম্পত্ত জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা
করলে দুজনেরই মানসিকভাবে পরিপক্ক হওয়া এবং দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত থাকা
জরুরি।
সঠিক শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি দম্পতিকে শুধু গর্ভধারণেই সাহায্য করা না, বরং
একটি সুস্থ, শাস্তি পূর্ণ ও সুখী পারিবারিক পরিবেশ তৈরি করতেও সহায়তা করে।
সঙ্গীর সঙ্গ সমন্বয়, সমর্থন ও বিশ্বাস এই তিনটি উপাদানই দাম্পত্য জীবনের
সত্যিকারের ভিত্তি ও ভালোবাসা।
ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url