অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব বিষয়টি সম্পর্কে জানলে আপনি সহজে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকামের
নতুন নতুন পথ উন্মোচন হচ্ছে। আর ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আপনি ঘরে বসে অনলাইনে সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, আর এমনই এক জনপ্রিয়
মার্কেটপ্লেস হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে কাজ করে
কিভাবে শুরু করব সবকিছু থাকছে এই আর্টিকেলে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে জেনে নিন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে আপনি অন্যের পণ্য বা
সেবা প্রমোট করে কমিশন আয় করতে পারেন। এটি অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় মাধ্যম এবং
শুরু করতে খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। তবে সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্য ধরে কাজ
করলে সাফল্য আসবে। প্রথমে আপনাকে একটি নিস নির্বাচন করতে হবে এমন একটি বিষয় বেছে
নিন।
যেখানে আপনার আগ্রহ রয়েছে এবং বাজারের চাহিদাও বেশি। যেমন_ ফিটনেস,
প্রযুক্তি, ফ্যাশন, বিউটি, ভ্রমণ ইত্যাদি। এরপর বিশ্বস্ত কোন অ্যাফিলিয়েট
প্রোগ্রাম এ যোগ দিন। প্রিয় কিছু প্রোগ্রাম হলো Amazon Associates, Clickbank,
CJ Affiliate ইত্যাদি। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়মিত কনটেন্ট প্রকাশ করুন।
প্রোডাক্ট রিভিউ, হাউ টু গাইড বা তুলনামূলক আর্টিকেল লিখে তাতে অ্যাফিলিয়েট লিংক
যুক্ত করুন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া ইমেইল মার্কেটিং ও SEO ব্যবহার করে ট্রাফিক
বাড়ান।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফলাফল বিশ্লেষণ করা। কোন লিংক থেকে বেশি বিক্রি
হচ্ছে কোন কনটেন্ট বেশি ভিজিট পাচ্ছে তা ট্রাক করুন ধীরে ধীরে কৌশল উন্নত করুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য নিজ নির্বাচন সঠিক প্রোগ্রাম বাছাই
মানসম্মত কনটেন্ট ও ট্রাফিক জেনারেশন অপরিহার্য। নিয়মিত শিখে এবং ধৈর্য ধরে
এগুলো একটি দীর্ঘ মেয়াদে লাভজনক আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি অনলাইন ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একজন ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠান অন্যের পণ্য বা সেবা প্রচার করিয়ে কমিশন আয় করে। সহজ ভাবে বলতে
গেলে, আপনি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন করবেন এবং আপনার
দেওয়া বিশেষ লিংক (affiliate link) ব্যবহার করে, কেউ যদি সেই প্রোডাক্ট কিনে তবে
কোম্পানি আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন প্রদান করবে।
এটি এক ধরনের পারফরমেন্স ভিত্তিক মার্কেটিং সিস্টেম কারণ আয় নির্ভর করে বিক্রয়
বা কার্যক্রমের ওপর এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনার নিজস্ব প্রোডাক্ট তৈরি করার
দরকার নেই শুধু একটি ব্লগ ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার
করে পণ্য প্রচার করা যায়। এই ব্যবসায়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে কারণ এটি কম খরচে
শুরু করা যায় এবং বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে করা সম্ভব।
Amazon Associates, Clickbank, CJ Affiliate ইত্যাদি হলো কিছু জনপ্রিয়
অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক। সংক্ষেপে বলা যায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অনলাইনে
আই এর একটি কার্যকর উপায় যেখানে সঠিক পরিকল্পনা মানসম্মত কনটেন্ট এবং ধারাবাহিক
প্রচেষ্টা আপনাকে সফল করতে পারে।
কেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জনপ্রিয়
বর্তমান ডিজিটাল যুগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে আয়ের অন্যতম জনপ্রিয়
উপায়ে পরিণত হয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো এটি শুরু করতে বড় ধরনের মূলধন বা
প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন হয় না। শুধু একটি ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল
মিডিয়া ব্যবহার করে যে কেউ সহজেই কাজ শুরু করতে পারে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে আরো কিছু কারণ রয়েছে।
প্রথমত, এটি ফ্লেক্সিবল কাজের সুযোগ দেয়। অর্থাৎ সময় ও স্থান নির্দিষ্ট নয়
সবখানে থেকেই কাজ করা সম্ভব। দ্বিতীয়ত, আয়ের সম্ভাবনা সীমাহীন। মানসম্মত
কনটেন্ট তৈরি ও ট্রাফিক আনতে পারলেই নিয়মিত কমিশন আয় করা যায়। তৃতীয়তঃ এটি
একটি পারফরম্যান্স ভিত্তিক আয়। অর্থাৎ যত বেশি বিক্রয় হবে তত বেশি কমিশন পাওয়া
যাবে।
এছাড়া কোম্পানিগুলো এই পদ্ধতিটিকে পছন্দ করে, কারণ এতে তাদের মার্কেটিং খরচ কম
হয় এবং সরাসরি বিক্রি বাড়ে। তাই বলা যায় কম ঝুঁকি, সহজ শুরু, সীমাহীন আয়ের
সুযোগ এবং ফ্লেক্সিবিলিটি_ এসব কারণে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিন দিন আরো
জনপ্রিয় হয়েছে।
ডিজিটাল যুগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে আয় এর একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে
উঠেছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি শুধু করতে আলাদা কোন প্রোডাক্ট বা বড় ধরনের
মূলধনের প্রয়োজন হয় না। আপনি অন্যের প্রোডাক্ট প্রচার করে কমিশন আয় করতে
পারেন। প্রথমত, এটি একটি কম ঝুকিপূর্ণ ব্যবসা। কারণ এখানে প্রোডাক্ট তৈরি স্টক
রাখা বা ডেলিভারি দেওয়ার ঝামেলা নেই।
শুধু মার্কেটিং এবং প্রচারের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। দ্বিতীয়ত, অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং আপনাকে ফ্লেক্সিবল কাজের স্বাধীনতা দেয় ।অর্থাৎ আপনি আপনার সুবিধামতো
সময়ে এবং বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারবেন। তৃতীয়ত, এর মাধ্যমে
সীমাহীন আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। যত বেশি বিক্রি হবে আপনার আয়ত তত বেশি বাড়বে
একটি সফল ওয়েবসাইট ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে দীর্ঘ মেয়াদে
প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করা সম্ভব।
চতুর্থত, এটি নতুনদের জন্য সহজ একটি ব্যবসায়িক মডেল সঠিক নিজ বেছে নিয়ে
মানসম্মত কনডেন্ট তৈরি করলে ধীরে ধীরে আয় শুরু করা যায়। তাই বলা যায় কম ঝুঁকি
ফ্লেক্সিবল কাজের সুবিধা এবং দীর্ঘমেয়াদি আয়ের সম্ভাবনার কারণে এফিলিয়েট
মার্কেটিং আজকের দিনে অন্যতম আকর্ষণীয় আয়ের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
কেন আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব এবং কেন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন এই প্রশ্ন সবারই থাকে। আজকের ডিজিটাল যুগে আয়ের বহু সুযোগ তৈরি হয়েছে যার মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং
অন্যতম এটি এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে আপনাকে নিজস্ব প্রোডাক্ট তৈরি করতে
হয় না বরং অন্যের প্রোডাক্ট প্রচার করে কমিশন আয় করা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল
কেন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন?
প্রথম কারণ হলো এটি কম ঝুঁকি এখানে বিনিয়োগ প্রায় শূন্য শুধু একটি ওয়েবসাইট
ইউটিউব চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেই শুরু করা যায়।
দ্বিতীয়ত, এটি আপনাকে দেয়ই ফ্লেক্সিবিলিটি অর্থাৎ আপনি নিজের সুবিধামতো
সময়ে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারবেন। তৃতীয়ত, এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো
সীমাহীন আয়ের উৎস আপনি যত বেশি প্রোডাক্ট প্রচার করবেন এবং বিক্রি বাড়াবেন
আপনার কমিশনার তত বাড়বে। সঠিক কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকলে দীর্ঘমেয়াদে প্যাসিভ
ইনকাম করা সম্ভব। চতুর্থত, এটি নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একটি আদর্শ পথ।
এখানে বিশেষ কোনো টেকনিক্যাল স্কিল এর প্রয়োজন নেই শেখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে দক্ষ
হওয়া যায়। সব মিলিয়ে বলা যায়, কম ঝুঁকি সময়ের স্বাধীনতা সীমাহীন আয়ের
সম্ভাবনা এবং সহজে শুরু করার সুযোগের কারণে এফিলিয়েট মার্কেটিং এখন যে কারো জন্য
একটি আকর্ষণীয় আয়ের মাধ্যম। আপনি চাইলে এখনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে
পারবেন।
বিশ্বস্ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সাফল্যের জন্য সঠিক ও বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন
করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করলে আপনি কি ধরনের
প্রোডাক্ট প্রচার করবেন কত কমিশন পাবেন এবং কতটা নিরাপদে আয় তুলতে পারবেন।
প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে প্ল্যাটফর্ম এর সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতা। যেসব কোম্পানি
দীর্ঘদিন ধরে বাজারে আছে এবং যাদের ব্যবহারকারীরা ইতিবাচক রিভিউ দেয় সেসব
প্লাটফর্মে কাজ করা নিরাপদ যেমন Amazon Associates, Clickbank, CJ Affiliate,
ShereASale এবং Rakten Marketing ।
দ্বিতীয়ত, কমিশন রেট ও পেমেন্ট পদ্ধতি ভালোভাবে দেখা উচিত কিছু প্লাটফর্ম বেশি
কমিশন দেয় কিন্তু পেমেন্টে ঝামেলা করে তাই এমন প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন যারা
নিয়মিত ও স্বচ্ছ ভাবে পেমেন্ট দেয়। তৃতীয়ত, প্রোডাক্ট এর মান ও বৈচিত্র
বিবেচনা করা দরকার। কারণ মানসম্মত প্রোডাক্ট প্রচার করলে গ্রাহকদের আস্থা বাড়ে
এবং বিক্রিও বেশি হয়। এছাড়া প্ল্যাটফর্মে সহজে ব্যবহারযোগ্য ড্যাশবোর্ড রিপোর্ট
রিপোর্টিং সিস্টেম ও সাপোর্ট আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।
মোবাইল দিয়ে কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্ভব
হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে সম্পূর্ণভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব। আজকের
প্রযুক্তি এবং অ্যাপ্লিকেশনের সুবিধায় মোবাইল ব্যবহার করে আপনি প্রোডাক্ট প্রচার
content তৈরি ও আয় সংগ্রহ করতে পারেন। এতে কোন বিশাল সেটআপের প্রয়োজন নেই শুধু
একপিস স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই কাজ শুরু করা যায়। মোবাইল দিয়ে
আপনি সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেখানে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম টিকটক বা
youtube এ প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন।
এছাড়া মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ব্লগ লেখা ভিডিও এডিটিং এবং কনটেন্ট প্রকাশ করা
সম্ভব। এতে যে কোন সময় এবং যেকোনো জায়গা থেকে কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়।
অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করা ট্রাফিক বিশ্লেষণ এবং কমিশন চেক করা সব এখন মোবাইল
থেকে করা সম্ভব।
জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক যেমন Amazon Associates, Clickbank, CJ
Affiliate বা ShereASale তাদের মোবাইল ফ্রেন্ডলি প্ল্যাটফর্ম অফার করে। মোবাইল
দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সহজ সুবিধা জনক এবং নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আদর্শ
বিশেষ করে যারা সময় ও স্থান সীমাবদ্ধ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি সীমাহীন আয়ের সুযোগ প্রদান করে। এর আয় নির্ভর করে
আপনার প্রচেষ্টার পরিমাণ মার্কেটিং কৌশল, নিস এবং ট্রাফিকের উৎসের ওপর। কিছু
মানুষ এটি থেকে মাসে কয়েকশো ডলার আয় করেন আবার কেউ সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার
মাসে হাজার হাজার বা লাখ লাখ টাকা আয় করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে নতুন এফিলিয়েট
মার্কেটাররা সাধারণত মাসে ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
তবে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি এসইও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিং
ব্যবহার করলে আয় ক্রমবর্ধমান হয়। সফল এফিলিয়েট মার্কেটেরা মাসে ৫০০০ ডলার থেকে
শুরু করে অনেকের আয় লাখ টাকার ওপরে চলে যায়। এমনকি এটি প্যাসিভ ইনকাম এর
মাধ্যমে মাসে স্থায়ীভাবে বড় অংকের আয় করা সম্ভব।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর আই সীমাহীন তবে এটি একদিনের সম্ভব নয় ধৈর্য সঠিক
প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন এবং ক্রমাগত শেখার মাধ্যমে আয় বাড়ানো যায়। সংক্ষেপে বলা
যাই এফিলিয়েট মার্কেটিং আয়ের একটি বড় শক্তিশালী মাধ্যম যেখানে সঠিক পরিকল্পনা
ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিটি উদ্যোক্তা তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব তা উপরের অংশ পড়ে বুঝতে পেরেছেন। তাও
আবার এক নজরে দেখে নিন।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি অত্যন্ত লাভজনক এবং
সহজভাবে শুরু করা যায় এমন অনলাইন আয়ের মাধ্যম। এটি বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তাদের
জন্য আদর্শ কারণ এতে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না এবং ঝুঁকি
তুলনামূলকভাবে কম।
সঠিক নির্বাচন বিশ্বস্ত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম বাছাই মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি ও
কার্যকর ট্রাফিক জেনারেশন কৌশল এসবই একটি সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসার মূল
চাবিকাঠি। যেহেতু এটি একটি পারফরম্যান্স ভিত্তিক মডেল, তাই আপনার প্রচেষ্টা ও
ধারাবাহিকভাবে সরাসরি আয় বাড়ায়। মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে যে কেউ সহজে
শুরু করতে পারে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি স্থায়ী প্যাসিভ ইনকামের উৎসে
পরিণত হতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে ভালোভাবে পরিকল্পনা তৈরি করুন শিক্ষা লাভ
করুন এবং ধৈর্য ধরে কাজ করুন। সঠিক কৌশল ও মনোযোগ দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুধু
একটি আয়ের মাধ্যম নয় এটি একটি স্বাধীন এবং স্থায়ী ব্যবসায়িক পথ হয়ে উঠতে
পারে। উক্ত আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো তথ্য পেতে
আমার এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।
ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url