চুল পড়া বন্ধ ও চুলের গোড়া শক্ত করার ঘরোয়া উপায়

চুল পড়া বন্ধ ও চুলের গোড়া শক্ত করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছে । এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলে থাকছে মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার তেল, শ্যাম্পু কিভাবে ব্যবহার করবেন?

চুল-পড়া-বন্ধ-ও-চুলের-গোড়া-শক্ত-করার-ঘরোয়া-উপায়

চুল পড়া নিয়ে সমস্যায় আছে। কিন্তু এখন আর চিন্তা করার দরকার নেই চুল পড়ার সমস্যা রাতারাতি বন্ধ হয়ে যাবে। আমার এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়বেন তাহলেই বুঝতে পারবেন কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করবেন এবং চুলের গোড়া কিভাবে মজবুত করবেন। 

পোস্ট সূচিপত্র ঃ চুল পড়া বন্ধ ও চুলের গোড়া শক্ত করার ঘরোয়া উপায় 

চুল পড়া বন্ধ ও চুলের গোড়া শক্ত করার ঘরোয়া উপায়

চুল পড়া বন্ধ ও চুলের গোড়া শক্ত করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সম্পন্ন তথ্য জেনে নিন । চুল পড়া আজকের দিনে একটি সাধারণ সমস্যা হলেও ঘর বা কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে মেনে চললে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চুলের গোড়া শব্দ করতে প্রথমে নিয়মিত নারকেল তেলের ম্যাসাজ করতে হবে করতে হবে। এটি চুলের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে গোড়া মজবুত করে পাশাপাশি পেঁয়াজের রস খুব কার্যকর। কারণ এতে থাকা সালফার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। 

মেথি দানা ভিজে পেস্ট বানিয়ে চুলে লাগালে চুল পড়া কমে যায় এলোভেরা জেল সরাসরি মাথার ত্বকে লাগালে  খুশকি  দূর হয় এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়। এছাড়া আমলকি ও ডিমের হেয়ারমাক্স চুলের জন্য প্রাকৃতিক টনিকের কাজ করে। শুধু বাহ্যিক যত্ন নিলেই হবে না সুষম খাদ্যাভ্যাস জরুরী। প্রোটিন আয়রন ভিটামিন ই এবং ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার।

 যেমন ডিম মাছ শাকসবজি ও বাদাম খেলে চুল ভেতর থেকে পুষ্টি পায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলে চুলের অতিরিক্ত কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনার ব্যবহার এড়িয়ে চলা। নিয়মিত ঘুম মানসিক চাপ কমানো এবং পর্যাপ্ত পানি পানু চুল সুস্থ রাখে। ঘরোয়া যত্নের মাধ্যমে ধৈর্য ধরে নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুললে চুল পড়া রোধ হয় এবং চুলের গোড়া মজবুত ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

চুল কেন পরে জানলে অবাক হয়ে যাবেন 

চুল পড়া আমাদের সবার কাছে অস্বস্তিকর একটি বিষয় কিন্তু জানলে অবাক হবেন চুল পড়ার আসল কারণ শুধুমাত্র বাহ্যিক নয় ভেতরকার স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর ভাবে ৫০ থেকে ১০০ টি চুল পড়ে যার নতুন চুল গজানোর জন্য স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু এর বেশি চুল পড়লে সেটি সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। চুল পড়ার অন্যতম বড় কারণ হলো পুষ্টির ঘাটতি।

 শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন আইরন বা প্রোটিন না থাকলে চুল দুর্বল হয়ে যায়। মানসিক চাপ বা স্ট্রেসও চুলের গোড়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে চুল দ্রুত ঝরে পড়ে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা যেমন থাইরয়েড সমস্যা বা গর্ভাবস্থায় পরবর্তী সময়ও চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু ডাই হেয়ার, স্ট্রেইটনার বা ড্রায়ার ব্যবহার ও চুলকে ভঙ্গুর করে তোলে। 

পরিবেশ দূষণ ধুলোবালি এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ও চুল ঝরার পেছনে বড় কারণ। অতএব চুল পড়া শুধু বাহ্যিক সমস্যার কারণে হয় না বরং শরীরের ভেতরের অবস্থা ও জীবনযাত্রার মানসিক শারীরিক প্রভাব ও এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং সঠিক যত্নই হতে পারে চুল পড়া রোধের আসল সমাধান।

চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন 

চুল পড়া রোধে ভিটামিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শরীরে সঠিক ভিটামিনের অভাব হলে চুল দুর্বল হয়ে যায় এবং ঝরে পড়ে। তাই চুল স্বাস্থ্যকর ও ঘন রাখতে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে প্রয়োজনীয় ভিটামিন অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। ভিটামিন এ চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় তেল উৎপাদন করে যা স্ক্যাল্পকে আর্দ্র রাখে। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন এ চুল পড়ার কারণ হতে পারে তাই পরিমাণ মতো গ্রহণ করতে হবে। 

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বিশেষ করে বায়োটিন, চুল শক্ত করা এবং নতুন চুল গজানোর জন্য অপরিহার্য। ডিম বাদাম ও শাকসবজিতে প্রচুর বায়োটিন পাওয়া যায়। ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে যা চুলের গঠন শক্ত রাখে লেবু কমলা ও আমলকিতে ভিটামিন সি প্রচুর থাকে। 

চুল-পড়া-বন্ধ-ও-চুলের-গোড়া-শক্ত-করার-ঘরোয়া-উপায়

ভিটামিন ডি এর অভাব চুল পড়ার অন্যতম বড় কারণ। সূর্যের আলো, মাছ এবং ডিমের কুসুম থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। অতএব পর্যাপ্ত ভিটামিন গ্রহণ করলে চুল শুধু পড়া কমবে না, বরং ঘন স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এ কারণে নিয়মিত এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক 

চুল পড়া কমাতে ঘরোয়া প্রাকৃতিক হেয়ার প্যাক অনেক কার্যকর। এগুলো চুলের গোড়া শক্ত করে ক্যাল্পকে পুষ্টি দেয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। বাজারের কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে ঘরে বসেই সহজে এসব প্যাক তৈরি করা যায়।
  1. মেথি দানা প্যাক: মেথি দানাতে প্রোটিন ও নিকোটিনিক এসিড রয়েছে যা চুল পড়া কমাতে দারুন কার্যকর। রাতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট করে মাথায় লাগান ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
  2. ডিম ও দই এর প্যাক: ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ আর দই ক্যাল্পকে ঠান্ডা রাখে। একসাথে মিশে চুলে লাগালে গোরা শক্ত হয় এবং চুল উজ্জ্বল হয়।। 
  3. এলোভেরা ও আমলকি প্যাক: অ্যালোভেরার চুলে আদ্রতা যোগায় এবং আমলকি ভিটামিন সি সরবরাহ করে। এ দুটি মিশিয়ে তুলে লাগালে ড্র্যানড্রাফ দূর হয় এবং চুল পড়া কমে।
  4. হেনা ও নারকেল তেলের প্যাক: হেনা চুল মজবুত করে আর নারকেল তেল গভীর পুষ্টি দেয়। এই মিশ্রণ সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
নিয়মিত এসব প্রাকৃতিক ত্যাগ ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যাবে এবং চুল আবার ঘন মজবুত ও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে। তাই এসব ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম

চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা যা পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। সঠিক যত্ন ও প্রয়োজনীয় তেল ব্যবহার করলে এই সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব। বাজারে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য বেশ কিছু কার্যকর তেল পাওয়া যায় । এর মধ্যে নারকেল তেল অন্যতম যা মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। এছাড়া আমলা তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী এতে ভিটামিন সি রয়েছে যা চুলকে শক্তিশালী করে।

 আর্গান অয়েল আরেকটি জনপ্রিয় তেল যা চুলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই সরবরাহ করে এবং চুলকে নরম ও ঝলমলে রাখে। একইভাবে ক্যাস্টর অয়েল চুলের দ্রুত বৃদ্ধি এবং গোড়া শক্ত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এছাড়া অলিভ অয়েল মাথার ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল পড়া কমায়। 

প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নিতে চাইলে এসব তেল নিয়মিত ব্যবহার করা জরুরী সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিনের হালকা গরম তেল মাথাই ভালোভাবে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুল পড়া অধিকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসে তাই চোরকে সুস্থ ও ঘন রাখতে প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করা সর্বোত্তম সমাধান।

চুল পড়ার মূল কারণগুলো কি বুঝে নিন 

চুল পড়া আজকের দিনে একটি খুব সাধারণ সমস্যা। প্রতিদিন কিছু পরিমাণ চুল ঝরা স্বাভাবিক হলেও অতিরিক্ত চুল পড়া উদ্বেগজনক হতে পারে। চুল পড়ার পেছনে বিভিন্ন  কারণ কাজ করে। এর মধ্যে প্রথম কারণ হলো পুষ্টির ঘাটতি । শরীরে ভিটামিন, আইরন, জিঙ্ক এবং প্রোটিনের অভাব থাকলে চুল দুর্বল হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, মানসিক চাপ বা স্ট্রেস চুল পড়ার একটি বড় কারণ দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ ।

চুলের বৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। তৃতীয়ত, হরমনের ভারসাম্যহীনতা বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মের পর বা থাইরয়েড সমস্যার চুল ঝরতে দেখা যায়। এছাড়া চলে অতিরিক্ত রাসায়নিক যুক্ত প্রসাধনী রং বা হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহারের কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পড়ে যেতে সুর করে।

খুশকি বা মাথার ত্বকের সংক্রমণ ও চুল পড়ার একটি বড় কারণ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন যেমন ধূমপান ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়। তাই চুল পড়া রোধ করতে হলে সঠিক পুষ্টি গ্রহণ মানসিক চাপ কমানো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা এবং চুলের যথাযথ যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

চুল পড়া বন্ধ ও গোরা শক্ত করার ৭টি উপায় 

চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও কিছু নিয়ম মানলে সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নিজে সাতটি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো 
  1. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: ভিটামিন, আইরন, প্রোটিন, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার চুলের গোড়া শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। 
  2. নিয়মিত তেল মালিশ: নারকেল আমলা বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে মালিশ করলে ত্বক সঞ্চালন বাড়ে এবং চুল পড়া কমায়। 
  3. স্ট্রেস কমানো: মানসিক চাপ চুল পড়ার বড় কারণ। যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা হাটাহাটি স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
  4. রাসায়নিক পণ্য এড়ানো: অতিরিক্ত হেয়ার কালার জেল বা স্ট্রেইটনার ব্যবহার চুল দুর্বল করে। প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহার করা ভালো। 
  5. পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম চুলের সুস্থতার জন্য জরুরী। 
  6. চুল পরিষ্কার রাখা: সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া উচিত যাতে খুশকি বা ময়লা জমে না থাকে। 
  7. ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার: ডিম, মেথি, অ্যালোভেরা বা দই এর প্যাক চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া রোধে কার্যকর। 
এই সাতটি উপায় নিয়মিত অনুসরণ করলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলের গোড়া হবে আরো মজবুত।

চুলের যত্নে সরিষার তেল ও মেহেদী 

চুলের প্রাকৃতিক যত্নে সরিষার তেল ও মেহেদী যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের গোড়া শক্ত করে। নিয়মিত মালিশ করলে খুব শী কমে এবং চুল পড়া হ্রাস পাই। অন্যদিকে মেহেদী একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এটি চুলে প্রোটিন ও পুষ্টি যোগায় ফলে চুলের নরম ঘন উজ্জ্বল হয়।

মেহেদী মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং চুলের ভাঙ্গন কমায়। সরিষার তেল ও মেহেদী একসাথে ব্যবহার করলে চুল আরো মজবুত হয় এবং প্রাকৃতিক রঙের উজ্জ্বলতা ফুটে ওঠে। নিয়মিত এ দুই উপাদান ব্যবহার করলে চুল থাকবে সুস্থ ঘন এবং ঝলমলে।

কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়

চুল পড়ার পেছনে ভিটামিনের ঘাটতি বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে নিজের ভিটামিন গুলোর অভাবে চুল দূর্বল হয়ে পড়ে যায়। 
  1. ভিটামিন এ মাথার ত্বকে সেবাম উৎপাদনে কম হলে চুল শুকনো ও ভঙ্গুর হয় ফলে চুল পড়তে শুরু করে। 
  2. ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বিশেষ করে বায়োটিন চুলের বৃদ্ধি ও মজবুতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এর অভাবে চুল দ্রুত পড়ে যায়। 
  3. ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরি ও আয়রন শোষণের সাহায্য করে। এর অভাবে চুল দুর্বল হয়ে ঝরে যায়। 
  4. ভিটামিন ডি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এর ঘাটতিকে টাক পড়া বা অতিরিক্ত চুল ঝরা দেখা দেয়। 
  5. ভিটামিন এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে মাথার ত্বকের কোষ সুরক্ষা করে। অভাবে চুল ভেঙে ও পড়ে যেতে পারে। 
তাই চুল পড়া রোধে সুষুম খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম দুধ মাছ বাদাম ফলমূল ও সবজি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

শেষ কথা, চুল পড়া বন্ধ ও গোড়া শক্ত করার ঘরোয়া উপায় 

চুল পড়া বন্ধ ও গোরা শব্দ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনারা অলরেডি জেনে গেছেন তাও এক নজরে বলে দিচ্ছি। চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও সঠিক যত্ন ও ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ঘরোয়া উপায় চুলের গোড়া শক্ত করা নিরাপদ সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর নারকেল তেল, আমলা তেল, সরষের তেল মেহেদি , ডিম, দই, এলোভেরা ইত্যাদি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে।

চুলের বৃদ্ধি বাড়ানো যায় এবং পড়া কমানো যায়। নিয়মিত মাথার তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে চুলের রুট পুষ্টি হয় এবং মাথা ত্বক সুস্থ থাকে। এছাড়া সুষম খাদ্য গ্রহণ পর্যাপ্ত পানি পান পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করলেও চুল পড়া কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রাসায়নিক প্রোডাক্টের ব্যবহার সীমিত করা এবং চুল পরিষ্কার রাখা ও অপরিহার্য। 

ঘরোয়া প্যাক ও তেল ব্যবহারে চুল শুধু পড়া বন্ধ হয় না বরং মজবুত নরম ও ঝলমলে হয় সংক্ষেপে বলা যায় চুল পড়া বন্ধ ও গোরা শক্ত করার ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে চুলের স্বাস্থ্য দীর্ঘমেয়াদী ভাবে ভালো থাকে। এটি আপনার চুলকে সুস্থ ঘন ও সুন্দর রাখা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এরকম আরো তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url