রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি -জেনে নিন
রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি? এ বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা ।আপনি কিভাবে বুঝবেন রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ । সেটা আজকের এই আর্টিকেল পড়লেই বুঝতে পারবেন।
রক্তশূন্যতা বা অ্যামেনিয়া হল আমাদের দেহের স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা যা লোহিত রক্ত কণিকা বা হিমোগ্লোবিন এর সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। চলুন রক্তশূন্যতায় ভোগার গরুতর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
পোস্ট সূচীপত্র: রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি?
- রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি
- রক্তশূন্যতা কি
- দেহে রক্তশূন্যতা কি কি কারনে হয়ে থাকে
- কোন ভিটামিনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়
- রক্তশূন্যতা দেখা দিলে কি কি সমস্যা হয়
- রক্তশূন্যতায় গর্ভবতী নারী ও শিশুর ক্ষেত্রে জটিলতা
- রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করার উপায়সমূহ
- শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ
- রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ
- হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ সমূহ
- শেষ কথা, রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুত্ব লক্ষণ কি
রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুতর লক্ষণ কি
রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে শরীরে পর্যাপ্ত লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিন থাকে না। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, যা নানা ধরনের গুরুতর শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। রক্তশূন্যতায় অন্যতম গুরুতর লক্ষণ হলো চরম ক্লান্তি ও দুর্বলতা । সামান্য পরিশ্রমে হাপিয়ে যাওয়া মাথা ঘোরা ও দম বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি দেখা দেয়। অনেক সময় হৃদয় কম্পন অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায় বুক ধরফর করে এবং বুকে ব্যথা হতে পারে । ত্বক ঠোট ও নখ ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং হাত-পা সব সময় ঠান্ডা অনুভব হয়।
এছাড়া মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা মাথাব্যথা চোখ ঝাপসা দেখা এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুল পড়া নখ ভঙ্গুর হওয়া মুখের ভেতর ঘা জিব্বা খোলা থাকাও রক্তশূন্যতার লক্ষণ। গুরুতর অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে ঘন ঘন সংক্রমণ হতে পারে এবং হৃদপিণ্ড বা কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরো পড়ুনঃপ্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিত
রক্তশূন্যতা কি
রক্তশূন্যতা হল শরীরের রক্তের এক ধরনের রোগ, যা সাধারণত মানুষের রক্তে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। হিমোগ্লোবিন হল একটি প্রোটিন বা লোহিত রক্তকণিকার মধ্য থাকে এবং এটি ফুসফোস থেকে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যায়। যখন রক্তে পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন বা রক্তকণিকা থাকে ঔনা তখন শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো যথেষ্ট অক্সিজেন পায় না ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
রক্তশূন্যতার প্রধান কারণ হলো আয়রন ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি। এছাড়া অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, দীর্ঘস্থায়ী রোগ বংশগত রক্ত রোগ এবং অপুষ্টিও এর জন্য দায়ী হতে পারে। রক্তশূন্যতা প্রাথমিক অবস্থায় অনেক সময় বোঝা যায় না ,তবে ধীরে ধীরে ক্লান্তি মাথা ঘোরা রক্ত ফ্যাকাসে হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে এটি গুরুতর ঝুঁকিপূর্ণ তৈরি করতে পারে।
দেহে রক্তশূন্যতা কি কি কারনে হয়ে থাকে
শরীরের রক্তশূন্যতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো আয়রনের ঘাটতি। আয়রন হল হিমোগ্লোবিন তৈরির মূল উপাদান খাদ্যে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকলে রক্ত তৈরীর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় তেমনি ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতিও রক্তশূন্যতার একটি বড় কারণ এরা রক্তকণিকা তৈরি তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ যেমন মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত প্রসবকালীন রক্তক্ষরণ বা আঘাত জনিত রক্তক্ষরণ রক্তশূন্যতা তৈরি করতে পারে।
পরিপাকতন্ত্রে লোকানো রক্তপাত যেমন আলসার বা অন্ত্রের ক্যান্সার থেকেও দীর্ঘ মেয়াদে রক্তশূন্যতা হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন কিডনি, যক্ষা বা এইচআইভি সংক্রমণ শরীরের রক্ত তৈরির ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। হাড়ের মজ্জার রোগ রক্তকণিকা উৎপাদন ব্যাহত করে এবং বংশগত রক্তরোগ যেমন থ্যালাসেমিয়া বা শিকল সেল অ্যানিমিয়া ও রক্তশূন্যতার কারন।
অপুষ্টি ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত চা কফি পান, ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং বিষাক্ত ধাতুর সংস্পর্শ এই সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। তাই শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কোন ভিটামিনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়
রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভিটামিনের অভাবের কারণে দেখা দেয়। এর মধ্যে ভিটামিন বি-১২ এবং ফলিক এসিড (ভিটামিন বি ৯) এর ঘাটতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই দুটি ভিটামিন লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ নতুন রক্ত কণিকা তৈরি হতে পারেনা এবং বিদ্যমান কণিকাগুলো অস্বাভাবিক আকারের হয়ে যায়। আর এটি "পাররিসিয়াস অ্যানিমিয়া" নামে পরিচিত।
একটি গুরুতর রক্তশূন্যতার কারন অন্যদিকে ফলিক এসিডের ঘাটতি কোষ বিভাজন ও রক্তকণিকা তৈরি প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়। এছাড়া ভিটামিন-সি এর অভাবেও পরোক্ষভাবে রক্ত শূন্যতার কারন হতে পারে। কারণ এটি খাবার থেকে আয়রন শোষণে সহায়তা করে। এসব ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে সুষম খাদ্য গ্রহণ ও প্রয়োজনের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ জরুরী।
রক্তশূন্যতা দেখা দিলে কি কি সমস্যা হয়
শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দিলে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকি। কি কি সমস্যা হতে পারে তা একটি তালিকা আকারে দেওয়া হল।
- অতিরিক্ত ক্লান্তি ও অবসন্নতা
- শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির মত অনুভূতি
- মাথা ঘোরা বা হালকা মাথা লাগা বা ব্যথা
- ত্বক, ঠোঁট ও নখ ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া
- হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
- হাত পা ঠান্ডা অনুভব হওয়া
- মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া
- ঘনঘন মাথা ব্যথা হওয়া
- ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রা
- ক্ষুধামন্দা বা অরুচি হওয়া
- ব্যায়াম বা পরিশ্রমে সহনশক্তি কমে যাওয়া
- মুখের ভেতর ঘাবা জ্বালাপোড়া করা
- চুল পড়া বা নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া।
- সহজে রাগ বা বিরক্তে অনুভব করা
- মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্র অনিয়মিত হওয়া#*
রক্তশূন্যতায় গর্ভবতী নারী ও শিশুর ক্ষেত্রে জটিলতা
রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া গর্ভবতী নারী ও শিশুর জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ সৃষ্টি করতে পারে গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা হলে মায়ের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন কমে যায় ফলে ক্লান্তি দুর্বলতা শ্বাসকষ্ট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে অকাল প্রসূত সন্তান জন্ম গর্ভপাত এবং প্রসবকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া রক্তশূন্য মা থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর ওপর স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে এবং জন্মের পর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে।
ফলে সংক্রমনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। মায়ের শরীরে আয়রন ফলিক এসিড এবং ভিটামিন বি-১২ এর অভাব রক্তশূন্যতার অন্যতম কারণ। তাই গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্য গ্রহণ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় আয়রন ও ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে রক্ত শূন্যতা প্রতিরোধ করা জরুরী। এটি মা ও শিশু সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার এবং নিয়মিত ঔষধ খেতে হবে।
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করার উপায়সমূহ
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধের জন্য সঠিক খাদ্যা অভ্যাস ও জীবনধারার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি প্রথমত আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন গরুর কলিজা, ডিম, মাংস, মাছ, শাকসবজি, পালং শাক, কলমি শাক, ডাল, ছোলা ও বাদাম নিয়মিত খেতে হবে। আয়রনের শোষণ বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলা, লেবু, আমলকি ইত্যাদি খাবারের সাথে গ্রহণ করা উচিত। পাশাপাশি ফলিক এসিড এবং ভিটামিন-বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার ডিম, দুধ, দই, কলিজা খাওয়া রক্ত উৎপাদনে সহায়ক।
গর্ভবতী নারী ও কিশোরীদের নিয়মিত আয়রন ও ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা প্রয়োজন। পরিপূর্ণ বিশ্রাম মানসিক চাপ কমানো এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। হঠাৎ দুর্বলতা মাথা ঘোরা বা ক্লান্তি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এসব পদক্ষেপ অনুসরণ করলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায় এবং রক্তশূন্যতা কার্যকর ভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ
শরীরের রক্তশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী রক্তশূন্যতা বিভিন্ন কারণে হতে পারে আইরন ফলিক এসিড বা ভিটামিন বি-১২ এর অভাব রক্তক্ষরণ অথবা দীর্ঘস্থায়ী কোন রোগের কারণে। ডাক্তার প্রথমে রক্ত পরীক্ষা করে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্ধারণ করেন এবং রক্তশূন্যতার ধরন ও কারণ সনাক্ত করেন প্রয়োজনে অতিরিক্ত রক্ত পরীক্ষা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ডাক্তারের প্রয়োজনীয় ঔষধ, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড বা সাপ্লিমেন্ট এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পরামর্শ দেন।
গুরুতর রক্তশূন্যতার ক্ষেত্রে হাসপাতল ভর্তি হয়ে রক্ত সঞ্চালন বা বিশেষ চিকিৎসারও প্রয়োজন হতে পারে পাশাপাশি নিয়মিত ফলোআপের মাধ্যমে রক্তের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাই শরীরে দুর্বলতা ক্লান্তি মাথা ঘোরার শ্বাসকষ্ট বা ত্বক ফ্যাকাশ লাগলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া রক্তশূন্যতা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হবে।
তবে বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে যদি একটি মারাত্মক সমস্যা হয়। তাহলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তশূন্যতার দূর করার জন্য ইনজেকশন ট্যাবলেট নেওয়া যায়। তবে আপনাকে আগে দেখতে হবে কি কারনে রক্তশূন্যতায় ভুগছেন এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।
রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ
রক্তশূন্যতার দূর করতে ঘরোয়া উপায় গুলো অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে নিচে কিছু সহজ ও কার্যকর উপায় তালিকা দেওয়া হলো
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া-- গরুর কলিজা, ডিম, মাছ, মাংস, কলমি শাক, পালং শাক, ছোলা ও ডাল নিয়মিত খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ে।
- ভিটামিন সি গ্রহণ_ কমলা,লেবু, আমলকি, পেয়ারা ইত্যাদি খেলে আয়রনের শোষণ বৃদ্ধি পায়।
- ফলিক এসিড বা ভিটামিন বি ১২ গ্রহণ - দুধ, দই, কলিজা ও বাদামে এসব পুষ্টি থাকে যার রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।
- গুঁড় ও খেজুর খাওয়া- প্রাকৃতিকভাবে আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় এগুলো রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে
- পর্যাপ্ত পানি পান- শরীরে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখতে ও পুষ্টি শোষণে সহায়ক ।
- নিয়মিত বিশ্রাম ও ঘুম- শরীরকে সুস্থ রাখতে ও ক্লান্তিক কমাতে সাহায্য করে।
হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ সমূহ
-
আয়রনের অভাব-শরীরে পর্যাপ্ত লোহা না থাকলে রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি কমে যায়
।
-
ভিটামিনের ঘাটতি-বিশেষ করে ভিটামিন বি ১২ ও ফলিক এসিডের অভাবে লোহিত রক্ত
কণিকা তৈরি বাধাগ্রস্ত হয় ।
-
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ-দুর্ঘটনা বা অতিরিক্ত মাসিক রক্তক্ষরণ হলে হিমোগ্লোবিন
কমে যায়
-
দীর্ঘস্থায়ী রোগ-কিডনি রোগ লিভারের অসুখ ক্যান্সার বা দীর্ঘস্থায়ী
সংক্রমণের কারণে হিমোগ্লোবিন কমতে পারে ।
-
বংশগত কারণ-থ্যালাসেমিয়া বা সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার মত জেনেটিক রোগ
হিমোগ্লোবিন কমিয়ে দেয় ।
-
অপর্যাপ্ত বা অসম্পূর্ণ খাদ্যাভ্যাস-দৈনিক খাদ্যে লোহা প্রোটিন ও
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার কম থাকলে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দেয়।
-
কৃমি সংক্রমণ-হুক ওয়ার্ম বা অন্যান্য কৃমি শরীরের রক্তশূন্যতা সৃষ্টি
করে।
শেষ কথা, রক্তশূন্যতায় ভোগার গুরুত্ব লক্ষণ কি
রক্তশূন্যতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যের ওপর নানা সমস্যা তৈরি করে। রক্তশূন্যতা একটি সাধারণ হলেও অবহেলা করলে মারাত্মক ঝুঁকি পণ্যের কারণ হতে পারে সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এই সমস্যা প্রতিরোধ ও নিরাময় দুটোই সম্ভব তাই সুস্থ জীবন যাপনের জন্য রক্তশূন্যতা সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনি রক্তশূন্যতায় ভোগ আর লক্ষণ কি এবং কিভাবে এগুলো প্রতিরোধ করে রক্তশূন্যতার দূর করা যায় এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম আরো স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url