১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া বিস্তারিত জানুন

আপনার যদি পুঁজি বা মূলধন বেশি না থাকে তাহলে আপনি খুব অল্প টাকায় আপনার ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। আপনার কাছে টাকা খুবই অল্প চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ আজকেই আর্টিকেল থাকছে আপনি কিভাবে অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে পারবেন। চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। 

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আপনি জানতে আগ্রহী হলে নিচের লেখাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এই এখন বর্তমান যুগে ব্যবসা করতে হলে বড় অংকে টাকার প্রয়োজন হয় না। আপনি এখন মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে সফল হতে পারবেন। আপনি যদি জানতে চান 10000 টাকায় কিভাবে সফল হব তাহলে এই আর্টিকেলটি থেকে ব্যবসার ২৫ টি আইডিয়া পেয়ে যাবেন।

1. বিভিন্ন পণ্য বিক্রির ব্যবসা যেমন টি-শার্ট বিক্রি 
2. কসমেটিক বিক্রি  ব্যবসা 
3. চশমা ও ঘড়ি বিক্রি ব্যবসা 
4. মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা 
5. শাড়ি কিনবা বিভিন্ন ড্রেস লুঙ্গি বিক্রি ব্যবসা 
6. চা বা স্ন্যাকস এর দোকান ব্যবসা 
7. বাড়িতে কেক বিক্রি ব্যবসা 
8. ফুচকা ও চটপটি বিক্রি ব্যবসা 
9. জুস বা আইসক্রিম বিক্রি ব্যবসা 
10. রাস্তায় পিঠা বিক্রি ব্যবসা 
11. ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দিয়ে ব্যবসা 
12. কনটেন্ট রাইটিং বা ব্লগিং ব্যবসা
13. ইউটিউব ব্যবহার করে ব্যবসা 
14. বিভিন্ন ভিডিও বা রিলস তৈরি করে ব্যবসা 
15. ক্যানভা দিয়ে ডিজাইন সার্ভিসিং ব্যবসা 
16. রাস্তায় রাস্তায় ক্যান্ডেল বা জোতা বিক্রি ব্যবসা 
17. ফুটপাতে  তরকারি বিক্রি ব্যবসা
18. বিভিন্ন ধরনের সাবান বা পারফিউম বিক্রি ব্যবসা 
19. চুল বিক্রি ব্যবসা 
20. ঘরে তৈরি বিভিন্ন খাবার তৈরি বিক্রি ব্যবসা 
21. বিকাশে সার্ভিস দিয়ে ব্যবসা 
22. বাইক বা কার ধোয়ার সার্ভিস ব্যবসা 
23.  জমিতে নার্সারি দিয়ে ব্যবসা 
24. লন্ড্রি সার্ভিস ব্যবসা 
25. টুপি তৈরি করে ব্যবসা

ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে 

আপনি যখন ব্যবসা শুরু করবেন তখন অনেক ব্যবসায়ীদের থেকে পরামর্শ অভিজ্ঞতা আপনাকে জানতে হবে। আর প্রথম কথা হলো ব্যবসা করতে হলে আপনাকে ধৈর্যধারণ পরিকল্পনা এবং পরিশ্রম করতে হবে। আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কোন ব্যবসা দার করাতে চান আপনি কি মুদি দোকান করতে চান তাহলে আপনাকে মুদি দোকানদারের সাথে আগে পরামর্শ করে শুরু করতে হবে। আপনি যদি ফুটপাতে দোকান দিয়ে বসেন সেটাও লাভজনক একটা ব্যবসা। প্রথমে আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হয় পরে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন ব্যবসা কতটা লাভজনক। 

একটি ছোট বিজনেস তৈরি করতে হলেও আপনাকে মূলধন ইনভেস্ট করতে হবে। ইনভেস্ট ছাড়া কোন ব্যবসা দার করানো যায় না। আপনি যদি লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে গ্রাহক কোনটির চাহিদা কিংবা বাজারে চাহিদা কোনটা সবচেয়ে বেশি সেটা নিয়ে আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে হবে। আপনি প্রথমে একটা ছোট দোকান দিয়ে শুরু করে দেন। আপনি প্রথমে তেল দিয়ে শুরু করেন। ২০ লিটার তেল নিয়ে আসে আপনি বাজারে বিক্রি করেন। 

তারপরে তার দ্বিগুণ করেন এইভাবে আপনাকে ব্যবসা বাড়িয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন এবং মান বজায় রাখতে হবে। কাস্টমারের সাথে ভালো ব্যবহার মানসম্মত পণ্য গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে যা আপনার ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। আর এভাবেই আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

আপনি যদি নতুন ব্যবসার জন্য উদ্যোগী হন তাহলে ২০২৫ সাল টি আপনার জন্য একটা মোক্ষম সময়। প্রযুক্তির অগ্রগতি অনলাইন প্লাটফর্মের প্রসার এবং মানুষের জীবনধারার পরিবর্তন নতুন ব্যবসা শুরু করার অসংখ্য দরজা খুলে দিয়েছে। বর্তমানে মানুষ যেসব খাতে প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং ই-কমার্স ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস অনলাইন শিক্ষা ও অর্গানিক পণ্য বিক্রি মোবাইল সার্ভিসিং ইত্যাদি। ২০২৫ সালের সফল হতে চাইলে ব্যবসায় সৃজনশীলতা ও নতুনত্ব আনতে হবে। 

আপনি যদি উদ্যোগী হন তাহলে এমন কিছু করতে হবে যাতে অন্যদের থেকে আপনি বেশি লাভবান হতে পারেন। যেমন স্থানীয় পণ্যকে অনলাইনে বিক্রি করার উদ্যোগ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস বা ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি সেবা এখন জনপ্রিয় হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব ব্যবসা যেমন পণ্যের দোকান সৌরশক্তি নির্ভর ডিভাইস ও প্রাকৃতিক স্কিন কেয়ার পণ্য বিক্রি চাহিদা ও দ্রুত বাড়ছে আপনি চাইলে এই বিজনেস শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্যোক্তা মানসিকতা বাড়ছে তারা কম পুজিতেই ড্রপ শিট বিং ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েশন অনলাইন কোর্স বিক্রি বা ছোটখাটো রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করে অনেকেই সফল হচ্ছে। 

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো 2025 সালে ব্যবসার সফল হতে হলে আপনাকে শুধু পুজি নয় দরকার সঠিক পরিকল্পনা অনলাইন উপস্থিতি এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির প্রতি অঙ্গীকার। নতুন চিন্তা ও ডিজিটাল জ্ঞানী হতে পারে আগামী দিনের ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল চালিকাশক্তি। সফল হতে হলে আপনাকে অন্যদের থেকে বেশি কাজ করতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

আপনি চাইলে ৫০০০০ টাকা দিয়ে অনেক ব্যবসা করতে পারবেন। আপনারা অনেকে মনে করেন ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে অনেক পুঁজি ইনভাইট করতে হবে কিন্তু বিষয়টা এরকম নয়। বাস্তবে আপনি ৫০০০০ টাকায় একটি সফল ব্যবসা শুরু করতে পারবেন যদি থাকে সঠিক পরিকল্পনা মনোযোগ ও কঠোর পরিশ্রম। ২০২৫ সালে প্রযুক্তি ও অনলাইন সুযোগের কারণে ছোট পুজোতেও লাভজনক ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব। ৫০০০০ টাকায় শুরু করা যায় এমন জনপ্রিয় কিছু ব্যবসা রয়েছে আপনাকে জানাচ্ছি এখন, যেমন টি শার্ট প্রিন্টিং অনলাইন ফর ডেলিভারি অনলাইনে বিভিন্ন কসমেটিক্স বা পারফিউম বিক্রি এবং স্থানীয় পণ্য অনলাইনে বিক্রি। 

এসব ব্যবসায়ী মূলত প্রয়োজন আইডিয়া ও গ্রাহকের চাহিদা বোঝা। এছাড়াও রয়েছে ফ্রান্সিং সার্ভিস যেমন কনটেন্ট রাইটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও এডিটিং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর সব কাজগুলো ৫০ হাজার টাকার মধ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করা যায়। যেমন আমি একজন ফ্রিল্যান্সার মাত্র ৫০ হাজার টাকায় আমি সবকিছু কমপ্লিট করতে পেরেছি। আবার গ্রামের পরিবেশে রয়েছে কৃষি পণ্য বিক্রি যেমন হাঁস মুরগির খামার বা মধু ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য লাভজনক।

 

২০২৫ সালে ব্যবসার মূল কৌশল হল ডিজিটাল উপস্থিতি তৈরি করা। ফেসবুক পেজ ইউটিউব চ্যানেল বা একটি ছোট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহক তৈরি করা যায় খুব সহজেই। এছাড়াও রয়েছে বড় একটি বিষয় অন্য দেশ থেকে পণ্য কিনে এনে এ দেশে কম টাকায় সেল করা তাহলে আপনার গ্রাহক বাড়বে এবং আপনি লাভ করতে পারবেন। ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নয় বরং আরো বহুত আইডিয়া দেওয়া যায়। 

আরো পড়ুন:কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন $500 আয় করা যায়

আপনি মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এর জন্য আপনার ধৈর্য, পরিশ্রম ও পরিকল্পনা থাকা দরকার হবে। টাকা দিয়ে শুধু ব্যবসা হয় না ব্যবসা করতে হলে লাগে বুদ্ধি বিবেক এবং সঠিক পরিকল্পনা। ২০২৫ সালের আধুনিক যুগে প্রযুক্তির সাহায্যে ছোট পুঁজিকে বড় আকারের রূপ দেওয়া সম্ভব  হচ্ছে। ৩০ হাজার টাকায় শুরু করা যায় এমন কিছু জনপ্রিয় ব্যবসা হল শহরে টি-শার্ট বিক্রি করা, আপনি যদি রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি করতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন। এখন অনেক দোকানে আপনাকে ফ্রিতেই পোশাক দিয়ে থাকে আপনি শুধু মাত্র ৩০ হাজার টাকা জমা দিয়ে অনেক কিছু কিনতে পারবেন।

এগুলো নিয়ে এসে গ্রামে কিংবা শহরের রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সার্ভিস যেমন মোবাইল সার্ভিসিং হোম ডেলিভারি সার্ভিস অনলাইনে পণ্য বিক্রি এবং পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবসা। এসব ব্যবসার জন্য বেশি জায়গা বা কর্মচারীর দরকার নেই নিজের বাড়ি থেকেই শুরু করা যায়। এছাড়াও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ডিজিটাল সার্ভিস ভিত্তিক ব্যবসা যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও এডিটিং কন্টেন্ট রাইটিং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এগুলো খুব লাভজনক ব্যবসা। সামান্য পুঁজিতে একটি ল্যাপটপ বা ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই শুরু করা সম্ভব। 

আবার গ্রামীন এলাকায় ৩০ হাজার টাকায় একটি ফলের নার্সারি হাঁস মুরগির খামার এবং দেশীয় পণ্য বিক্রির দোকান হতে পারে একটি ভালো আয়ের উৎস। এছাড়াও রয়েছে বিউটি প্রোডাক্ট বিক্রি বা সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হতে পারে আপনার জন্য চমৎকার উদ্যোগ। তাই বলা যায় মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করা সম্ভব যদি থাকে দৃঢ় সংকল্প ও নতুন চিন্তার বাস্তব প্রয়োগ

আপনারা অনেকে চিন্তা করেন ব্যবসা মানে বড় পুঁজি আর বড় দোকান আর অনেক কর্মচারী। কিন্তু বর্তমান সময়ে ২০২৫ সালে মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় লাভজনক ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। এজন্য আপনার ব্যবসার করার জন্য শক্তি হলো আইডিয়া দক্ষতা এবং অনলাইন সুযোগের সঠিক ব্যবহার। ৫০০০ টাকায় শুরু করা যায় এমন কিছু ব্যবসা হলো অনলাইন রিসেডিং ঘরে বসে পণ্য বিক্রি চা নাস্তার স্টল মোবাইল রিচার্জ ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা কিংবা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি। এগুলোর জন্য আলাদা দোকান ভাড়া বা বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না।

 যাদের লেখালেখির ডিজাইন বা ভিডিও বানানোর দক্ষতা আছে তারা ফ্রিল্যান্সিং বা কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করেন তাহলে সেখান থেকেও আপনার আয় আসবে। শুধু একটি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে এসব কাজ করা সম্ভব। আবার মেয়েরাও চাইলে ঘরে বসে হস্তশিল্প বুটিং পণ্য বা খাবার বিক্রি যেমন কেক কেক তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন এটা অল্প খরচাই শুরু করা সম্ভব। 

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যবসা করার জন্য আপনাকে বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রাহকের সন্তোষটি অর্জন করা জরুরী। আবার ব্যবসা ছোট হলেও যদি গ্রাহক সেবা ভালো পাই তাহলে ধীরে ধীরে সেই ছোট ব্যবসায় একদিন বড় হয়ে যাবে। ৫০০০ টাকার পুজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে বড় সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

বর্তমানে শুধু শহরে গিয়েই ব্যবসা হয় না, গ্রামে থেকেও সফলভাবে ব্যবসা করা যায়। প্রযুক্তির উন্নতি ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ২০২৫ সালে গ্রামে বসেই অল্প পুজিতে অনেক ধরনের ব্যবসা শুরু করা যায় যদি জানা থাকে তাহলে সঠিক উপায় ও পদ্ধতি। প্রথমেই বলতে হয় কৃষি নির্ভর ব্যবসা যেমন সবজি চাষ মধু উৎপাদন হাঁস মুরগি বা মাছ চাষ। এসব ব্যবসা গ্রামীন পরিবেশেই করা যায়। 

দ্বিতীয়ত হস্তশিল্প সেলাই মোমবাতি বা সাবান তৈরি ব্যবসা গুলো ঘরে বসে সুর করা সম্ভব এবং এগুলো অনলাইনে বিক্রি করা যায় ফেসবুক পেজের মাধ্যমে। এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামে বসে করা যায় অনলাইন ব্যবসা যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং ইউটিউব চ্যানেল তৈরি বা ফেসবুক পেজে স্থানীয় পণ্য বিক্রি। এসব কাজের জন্য বড় দোকানদার অফিসের দরকার নেই এটি স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট থাকাটাই যথেষ্ট। গ্রামীন ব্যবসার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো গ্রাহক সম্পর্ক ও বিশ্বাসযোগ্যতা। এলাকার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিলে ব্যবসা দ্রুত বড় হয়। 

পাশাপাশি বিক্রির জন্য অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম হোম ডেলিভারি ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারণা ব্যবহার করলে সফল আরও দ্রুত হারে বাড়ে। আমি নিজেও গ্রামে বসে জমিতে চাষবাস করে সফল হয়েছি। সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে আপনার সফল হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবেনা। গ্রামে বসে ব্যবসা করা এখন স্বপ্ন নয় এটি বাস্তব। পরিশ্রম নতুন চিন্তা ও ডিজিটাল জ্ঞান কাজে লাগাতে পারলে গ্রামের মাটিতেই গড়ে তোলা সম্ভব এক সফর উদ্যোগটা জীবন।

শহরে বসে ব্যবসা করা এখন অনেক সহজ ও লাভজনক। আধুনিক প্রযুক্তি অনলাইন মার্কেট এবং মানুষের জীবনধারার পরিবর্তনের ফলে শহরের এলাকায় ছোট বা মাজারে আকারের ব্যবসা শুরু করা যায়। ২০২৫ সালের শহরে ব্যবসা করতে চাইলে দরকার সঠিক পরিকল্পনা দক্ষতা ও বাজার বিশ্লেষণ। আপনার যদি পুঁজি কম থাকে তাহলে ছোট্ট একটা দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। শহরের রাস্তায় রাস্তায় ফুচকার দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জুতা ফ্যাক্টরি  থেকে কিনে ফুটপাতে অল্প টাকা বিক্রি করলেও আপনার লাভ আসবে এতে আপনার ব্যবসাও বাড়বে।

আরো পড়ুন:অনলাইনে ফ্রি ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে উপরের লেখাটি পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আসলেই ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব যদি আপনার থাকে দক্ষতা পরিকল্পনা এবং আত্মবিশ্বাস। আপনি ছোট পরিসরে টাকা ইনভেস্ট করে ধাপে ধাপে ব্যবসাকে বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ১০ হাজার টাকার মধ্যে ছোট পরিসরের ব্যবসা শুরু করা সম্ভব যা আপনাকে দীর্ঘ বড় iও সৃজনশীলতা প্রদর্শনের সুযোগ দেয়। 

এই সীমিত মূলধনের মধ্যে অনেক ধরনের ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে যেমন হোম বেকারি, মোবাইল সার্ভিসিং, সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজমেন্ট ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস, অনলাইন রিসেলার, হোম ডেলিভারি খাবারের ব্যবসা, হোম টিউশনি ছোট ভিডিও এডিটিং সার্ভিস আরো অনেক কিছু আছে যা আপনি মাত্র ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করতে পারবেন। এ ধরনের ছোট ব্যবসা গুলো প্রাথমিক মূল ধন কম হলেও সঠিক পরিকল্পনা সৃজনশীলতা এবং নিয়মিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে লাভজনক হয়ে উঠতে পারবেন। 

এতে নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসার প্রাথমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে ক্রমবর্ধমান বাজারে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে ব্যবসাকে বড় আকারে সম্প্রসারণ করার সুযোগ পেতে পারেন। আজকে এই পর্যন্তই। আমরা প্রতিনিয়ত এরকম বিভিন্ন তথ্য বা সার্ভিস দিয়ে থাকি। তাই বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন সবাইকে ধন্যবাদ।