কলা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

কলা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। এই কারণে আজকের এই আর্টিকেলটি লিখলাম আশা করি এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা নিশ্চয়ই জানতে পারবেন কলা খেলে দেহের কি উপকারিতা হয়। 

কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

কলা আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা আসলেই জানি না কলা খাওয়ার উপকারিতা। কলা খেলে আমাদের ক্লান্তি সেই ভাবটা দূর হয় এবং শারীরিকভাবে অনেক শক্তিশালী হওয়া যায়। আজকেরে আর্টিকেলে আমরা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন দেরি না করে আমার এই লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ কলা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা 

কলা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা 

কলা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আমার এই আর্টিকেলে। কলা এমন একটি ফল যা সারা বছর সহজলভ্য এবং ছাদে যেমন মিষ্টি তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। কলা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি জনপ্রিয় ও সহজলভ্য ফল। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন মিনারেল ফাইবার ও প্রাকৃতিক শক্তি গুণে ভরা। গলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এতে ভিটামিন B6 ও ম্যাগনেসিয়াম থাকাই মানসিক প্রশান্তি আসে ও ঘুম ভালো হয়। 

কলার প্রাকৃতিক চিনি ও কার্বোহাইড্রেট শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় তাই ক্রীড়াবিদদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী হয়ে থাকে। কলায় থাকা খাদ্য আস হজম প্রক্রিয়া সহজ করে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং ত্বক ও চুলের যত্নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ওজন বাড়াতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য কলা একটি ভালো খাবার। আপনি যদি কলা নিয়মিত খান তাহলে আপনার দ্রুত ওজন বাড়বে। তবে অতিরিক্ত কলা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি বেশি খেলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে।

 অতিরিক্ত পটাশিয়াম রিড স্পন্দনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আবার অতিরিক্ত সেবনে পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। কলা খাওয়া যেমন উপকারী তেমনি এর সঠিক পরিমাণ বজায় রাখা জরুরী। প্রতিদিন একটি থেকে দুইটি কলা খেলে শরীরের শক্তি ও পুষ্টি বজায় থাকে কিন্তু নিয়মিত সেবনে অবকারিতা দেখা দেয়। পরিমিত ও নিয়মিত কলা খাওয়া শরীর ও মনের সুস্থতা বজায় রাখে। আমি নিজেও প্রতিদিন একটি থেকে দুইটি কলা খাই। এতে আমার স্বাস্থ্য ভালো থাকে।


নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা 

নিয়মিত কলা খেলে নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার দেহের কি উপকার হচ্ছে। আসলে নিয়মিত কলা খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকার। কলা হলো প্রাকৃতিক শক্তির ভান্ডার এতে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন বি সিক্স পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও খাদ্য আঁশ। প্রতিদিন একটি থেকে দুইটি কলা খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। কলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এছাড়াও কলা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। 

যারা হজমে সমস্যা ভুগছেন তাদের জন্য কলা একটি প্রাকৃতিক ঔষধের মত কাজ করে। কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদান মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপাদানে সহায়তা করে যা মনও ভালো রাখে ও মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনার ত্বক ও চুলের যত্নেও কলার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এটি আপনার ত্বকে মসৃণ উজ্জ্বল ও কোমল করে তোলে। একই সাথে কলার প্রাকৃতিক ফাইবার শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয় ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। 

আপনি যদি নিয়মিত কলা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকবে। তবে অতিরিক্ত না খেলে পরিমিত ভাবে খাওয়াই উচিত। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে একটি করে কলা খাওয়া শরীরের জন্য পুষ্টি ও শক্তি উৎপাদনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই বলা যায় কলা হলো প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার যা আমাদের শরীরের সুস্থতা ও ভারসাম্য বজায় রাখে।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা 

আপনি মনে করছেন রাতে কলা খেলে আবার কি হবে কিবা এর উপকারিতা এটা আপনার কাছে নতুন মনে হবে। কিন্তু আপনি পড়লেই বুঝতে পারবেন রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা। রাতে কলা খাওয়া অনেকের কাছেই বিতর্কিত মনে হল পরিমাণ মতো খেলে এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কলায় রয়েছে ট্রিপটো ফ্যান যা শরীরে সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে। এই দুটি হরমোন ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে ও মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। ফলে রাতে কলা খেলে ঘুম ভালো হয় এবং মনেও শান্তি বজায় থাকে। 

এছাড়াও কলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম বেশি টান বা ক্ল্যাম্পো দূর করতে সাহায্য করে যা রাতে ঘুমের ব্যাঘাত কমায়। যারা রাতে পায়ে টান ধরার সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য কলা বিশেষভাবে উপকারী। রাতে কলা খাওয়া হজম প্রক্রিয়াও সহজ করে এবং পাকস্থলীতে এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে ফলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কম হয়। তাছাড়াও কলার প্রাকৃতিক চিনি শরীরের সামান্য শক্তি যোগায় যা রাত্রি কালিন খোদা মেটাতে সাহায্য করে। 

কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

তবে ঘুমানোর ঠিক আগে নয় বরং ঘুমের ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে একটি কলা খাওয়া উত্তম। অতিরিক্ত কলা খাওয়া এড়ানো উচিত কারণ এতে আপনার গ্যাস বা হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই নিয়মিত ও পরিমাণ মতো রাতে কলা খেলে শরীর ও মনের প্রশান্তি বজায় থাকে এবং ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে ওঠে। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারলেন রাতে কলা খাওয়ার কি উপকারিতা। 

কলার পুষ্টিগুণ ও প্রকৃতির অমূল্য দান 

কলা এমন একটি ফল যা সারা বছর বা সবসময় পাওয়া যায় এবং প্রায় মানুষই কলা পছন্দ করে। এক অমূল্য দান। যা শুধু সুস্বাদুই নয় বরং এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। ১০০ গ্রাম কলায় প্রায় 89 ক্যালোরি শক্তি ২২ গ্রাম কার্বোহাইড্রট,১ গ্রাম প্রোটিন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। কলায় থাকা ভিটামিন সি ভিটামিন বি সিক্স পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। 

এটি শরীর এর শক্তি যোগায় ও ক্লান্তি দূর করে এ জন্য খেলাধুলা বা শ্রম এরপর একটি কলা তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এছাড়া কলায় থাকা খাদ্য আঁশ হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর। কলার প্রাকৃতিক সুমিষ্টথা ও পুষ্টিগুণ শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার জন্য উপযোগী করে তুলেছে। আপনার ত্বক ও চুলের যত্নেও কলার ব্যবহার জনপ্রিয়, কারণ এটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। 

তাই বলা যায় কলা এমন এক ফল যা স্বাদে গন্ধেও পুষ্টিতে অনন্য। নিয়মিত কলা খাওয়া শরীরের শক্তি হজম ও মানসী প্রশান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে সত্যিই কলা হলো প্রকৃতির অমূল্য উপহার যা সুস্থ জীবনের প্রতীক। আপনি যদি নিয়মিত কলা খান তাহলে আপনার চেহারার মধ্যে পরিবর্তন আসবে। আপনার চেহারা মসৃণ ও একবারে ফ্রেশ দেখাবে। 

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা 

সকালে একটি কলা খাওয়া এবং দিনটি শুরু করার জন্য একটি চমৎকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ সকালে কলা খেলে কলার যে পুষ্টি গুণ তা আপনার দেহে শক্তি ও প্রশান্তি যোগায়। কলা হলো প্রাকৃতিক শক্তির উৎস এতে থাকা গ্লুকোজ ও সুক্রোজ শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এজন্য সকালে কলা খেলে মন ও শরীর দুটোই সতেজ থাকে এবং সারাদিন কাজের উদ্যম বজায় রাখে। এছাড়াও কলায় প্রচুর ভিটামিন বি সিক্স, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার রয়েছে। 

যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।সকালে খালি পেটে কলা খেলে পাকস্থলীতে প্রাকৃতিক অম্লতা নিয়ন্ত্রণে থাকে ফলে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যায়। এছাড়া কলার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদপিন্ডের কর্মক্ষমতা উন্নত করে। আপনারা যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের জন্য সকালে কলা খাওয়া বিশেষভাবে উপকারী কারণ এটি দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধার করে ও ক্লান্তি দূর করে। 

সকালের নাস্তায় কলা দুধ অটোস বা দইয়ের সঙ্গে খেলে শরীর প্রায় পূর্ণ পুষ্টি ও দীর্ঘস্থায়ী বৃদ্ধি পায়। তবে খালি পেটে একাধিক কলা না খাওয়াই ভালো এটি শরীরে একটু ভোগান্তি দেখা দেয়। তাই একটি কলা খাওয়াই যথেষ্ট। তাই বলা যায় সকালে কলা খাওয়া শরীর শক্তি যোগায় হজম উন্নত করে এবং সারাদিন মন ভালো রাখে এক কথায় এটি একটি স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক সকাল শুরু করার উত্তম উপায়।

কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

কাঁঠালি কলা বাংলাদেশে জনপ্রিয় এক ধরনের কলা যা সাজে মিষ্টি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন বি সিক্স ভিটামিন সি পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও খাদ্য আঁশ রয়েছে। নিয়মিত পরিমাণ মতো কাঁঠালি কলা খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায় ক্লান্তি দূর হয় এবং মন ভালো থাকে এতে থাকা ফাইভার হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।

 কাঁঠালি কলা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে কারণ এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম অপসারণ এর সাহায্য করে। এছাড়াও এটি আপনার হৃদরোগ প্রতিরোধে বেশি শক্তি শালী রাখতে ও মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। সকালে বা বিকেলে আপনি যদি একটি কাঁঠালি কলা খান তাহলে শরীরে প্রাকৃতিক শক্তি ও পুষ্টি এমনিতেই বেড়ে যাবে। তবে এর কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। অতিরিক্ত কাঁঠালি কলা খেলে শরীরে চিনি ও ক্যালোরি বেড়ে যায়।

 যা ডায়াবেটিস বা ওজন বৃদ্ধি সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা বা হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমাণ মতো কাঁঠালি কলা খেলে এটি শরীরের জন্য আশীর্বাদ কিন্তু অতিরিক্ত সে বনে তা অবকারও ডেকে আনতে পারে তাই প্রতিদিন নিয়মিত এক থেকে দুইটি কলা খাওয়াই যথেষ্ট।

সাগর কলার উপকারিতা ও অপকারিতা 

সাগরকলা বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সহজলভ্য এক ধরনের কলা যা সাজে খুবই মিষ্টি এবং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন বি সিক্স ভিটামিন সি পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও খাদ্য রয়েছে। সাগরকলা শরীর দ্রুত শক্তি যোগায় ফলে এটি সকালের নাস্তা ও বিকালের স্ন্যাকস হিসেবে বেশ উপকারী। সাগরকলার উপকারিতা হলো এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। 

কলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা ও হৃদরোগ এর ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভিটামিন বি সিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়। যারা দুর্বলতা বা ক্লান্তিতে ভোগেন তাদের জন্য সাগর কলা প্রাকৃতিক শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। তবে অতিরিক্ত সাগরকলা খাওয়া ক্ষতিকর হয়। কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকাই বেশি খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বিপদজনক। 

আবার অতিরিক্ত খেলে পেট ফাঁপা গ্যাস ও হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কলা খাওয়া শরীরের পুষ্টি শক্তি ও সুস্থতা বজায় রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবন এরা নয় শ্রেয়। পরিমাণ মতো কলা খেলে এর উপকারিতা পাওয়া যায়। কলা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে।

হৃদরোগ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলার গুরুত্ব 

কলা একটি পুষ্টিকর ফল যা আপনার হৃদরোগ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যা শরীরের সোডিয়াম ভারসাম্য রক্ষা করে এবং রক্তনালীকে শীতল রাখতে। এর ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপ জনিত আর হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া কলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং রক্তে ক্ষতিকল কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। 

 নিয়মিত ও পরিমাণ মতো কলা খেলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় ফলের হৃদপিণ্ডে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে। এতে হার্ট অ্যাটাক স্টোক ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। কলায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও থাকে যা রক্তনালীর প্রদাহ কমে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। তাছাড়া কলা আপনার দেহে অতিরিক্ত তরল জমা প্রতিরোধ করে যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তবে অতিরিক্ত কলা খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও পটাশিয়াম অতিরিক্ত হলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। 

তাই প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কলা খেলে হৃদ রোগের ঝুঁকিয়ে হ্রাস পায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই বলা যায় কলা হলো এমন এক প্রাকৃতিক খাদ্য যা নিয়মিত ও পরিমান মত খেলে হৃদপিণ্ড ও রক্তচাপ দুটোই রাখে সুস্থ ও সবল।

গর্ভবতী নারীদের জন্য কলা স্বাস্থ্য উপকারিতা 

গর্ভবতী নারীদের জন্য কলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও নিরাপদ ফল। প্রচুর পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি সি এবং খাদ্য আঁশ যা মাতৃ শরীর ও ‌গর্ভের শিশুর জন্য প্রয়োজনীয়। কলা খেলে শরীরের স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় থাকে যা গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য অপরিহার্য। কলার প্রাকৃতিক চিনি শরীরকে শক্তি যোগায় ক্লান্তি দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। 

ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। কলার প্রাকৃতিক চিনি শরীরকে শক্তি যোগায়। নিয়মিত পরিমাণে কলা খেলে গর্ভবতী নারী মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানো উচিত। প্রতিদিন একটি থেকে দুটি কলা খেলে গর্ভকালীন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সহজ ও কার্যকর উপায়।

শেষ কথা, কলা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা 

কলা খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষণ বিস্তারিত পড়ে কিছু না কিছু জেনেছেন। আপনি যদি নিয়মিত কলা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার হৃদপিন্ডের এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে যাবে এবং ত্বক ও চুলের যত্নেও কলা সাহায্য করবে। এছাড়াও গলাতে থাকা প্রচুর পটাশিয়াম ভিটামিন বি সিক্স ভিটামিন সি ম্যাগনেসিয়াম এবং খাদ্য আঁশ রয়েছে যা শক্তি যোগায় হজম শক্তি উন্নত করে হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে।

কলা-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

তাই আছে নিয়মিত কলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। যেকোনো খাবারের মতো কলা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অতিরিক্ত কলা খাওয়া রক্তে সরকারের মাত্রা বাড়তে পারে পেট ফাঁপা বা হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং বেশি পটাশিয়াম হৃদপিন্ডের কার্যকারী তাই প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আপনার জন্য পরিমাণ মতো খাওয়াই যথেষ্ট। প্রতিদিন একটি থেকে দুটি কলা শরীরের জন্য পূর্ণ পুষ্টিকুণ উপভোগ করা সম্ভব। 

ভারসাম্য বজায় রেখে কলা খাওয়া আপনাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর একটি অভ্যাস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কলা একটি শক্তিশালী খাদ্য স্বাস্থ্যসম্মত ও জীবনধারার সহায়ক। আজকে এই পর্যন্তই। আমরা নিয়মিত এরকম তথ্য বা সেবা দিয়ে থাকি। তাই নিয়মিত তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url