হজম শক্তি বৃদ্ধির ১৫টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

 প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই হজম শক্তি বৃদ্ধির ১৫টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য। আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে হজমের সমস্যায় ভুগছেন। আর ভাবনা নয়, আপনার জন্য আমি এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি।

হজম-শক্তি-বৃদ্ধির-১৫টি-ঘরোয়া-উপায়

আপনার শরীর সুস্থ রাখতে হজম শক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । আপনি যেগুলা খাবার খান সেগুলি যদি হজম না হয় তাহলে আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে যাবে গ্যাস পেট ফাঁপা এবং বমির মতো সমস্যা দেখা দিবে। তাই এসব এড়াতেই আজকের এই আর্টিকেলটি। চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ হজম শক্তি বৃদ্ধির ১৫টি ঘরোয়া উপায়

হজম শক্তি বৃদ্ধির ১৫টি ঘরোয়া উপায় 

হজম শক্তি বৃদ্ধির ১৫টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আপনার হজম শক্তি এবং শরীর সুস্থ রাখার জন্য হজম শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হজম প্রক্রিয়া ঠিক না থাকলে গ্যাস অম্বল পেট ব্যথা পেট ফাঁপা কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় হজম শক্তি বাড়ানো সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায় এবং লিভার সক্রিয় হয়। 

আদা চা বা কাঁচা আদা হজম রস নিঃসরণ বাড়ায় ও গ্যাস কমায়। লেবু ও মধুর পানি শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখে। জিরা, ধনিয়া ও মৌরির পানি হজমে দারুন সহায়ক। দই খেলে অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায় যা হজমে সাহায্য করে। এছাড়া মৌরি চিবানো, পুদিনা বা তুলসী পাতা খাওয়া কালোজিরা ও মধু গ্রহণ করা হজমে উপকারী। 

পর্যাপ্ত পানি পান তাজা ফলমূল ও সবজি খাওয়া খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা ও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানসিক চাপ দেরিতে ঘুমানো ও অনিয়মিত খাবার খাওয়া হজম প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে। তাই নিয়মিত জীবন যাপন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করলে হজম শক্তি বাড়ে শরীর থাকে হালকা ও প্রাণবন্ত।

হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ কি 

হজম শক্তি কমে যাওয়া একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা যা অনেকেরই প্রতিদিন অনুভব করেন। হজম শক্তির দুর্বল হলে খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না ফলে গ্যাস পেট ফাঁকা অম্বল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অরুচির মত সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রধান কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। অতিরিক্ত তেল মশলা ভাজাপোড়া ফাস্টফুড ও গোল্ড ড্রিঙ্ক গ্রহণ হজম প্রক্রিয়াকে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করে। 

এছাড়া যথেষ্ট পানি না খাওয়া অনিয়মিত খাবার খাওয়া ও দেরিতে ঘুমানো হজম শক্তি কমিয়ে দেয়। অনেক সময় মানসিক চাপ উদ্বেগ ও অতিরিক্ত কাজের চাপও হজম প্রক্রিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আরেকটি বড় কারণ হলো শারীরিক পরিশ্রমের অভাব। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে অন্ধের গতিশীলতা কমে যায় ফলে খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না। 

এছাড়া ধুমপান অতিরিক্ত কফি বা অ্যালকোহল গ্রহণ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এবং দীর্ঘসময় ক্ষুধার্ত থাকা হজম শক্তিকে দুর্বল করে দেয়। সুস্থ হজমের জন্য নিয়মিত ও শোষণ খাদ্য অভ্যাস পর্যাপ্ত পানি পান ব্যায়াম এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব অভ্যাস অনুসরণ করলে হজম শক্তি ফিরে আসে এবং শরীর থাকে হালকা ও সক্রিয়।

হজম শক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ 

আপনার হজম শক্তি কমে গেলে আপনার শরীরে নানা ধরনের অস্বস্তি দেখা দেয়, যা অনেক সময় আমরা সাধারণ সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যায়। কিন্তু হজমের সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে তা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ আপনার যদি পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা হয় তাহলে বুঝবেন আপনার হজম শক্তিতে সমস্যা। আপনার খাবার খাওয়ার পর পেটে ভারী লাগা, ঢেকুর উঠা বা পেটে অস্বস্তি অনুভব করেন তাহলে বুঝবেন এটা হজম দুর্বলতার প্রধান কারণ বা লক্ষণ। 

এছাড়া অম্বল, বুক জ্বালা, বমি ভাব ও অরুচি হজম শক্তি কমে যাওয়ার স্পষ্ট চিহ্ন। অনেক সময় খাবার ঠিকভাবে হজম না হলে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাতলা পায়খানা। অন্ত্রের কার্যকারিতা ব্যহত হলে শরীরে টক্সিন জমে যায় ফলে ত্বকে ব্রণ ক্লান্তি ঘুমের সমস্যা এবং মন খারাপের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। কখনো কখনো হজম দুর্বলতার কারণে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যায় বা বাড়ে। 

নিয়মিত পেট ভারী লাগা খাবার খেলে ঘুম ঘুম ভাব মুখ শুকিয়ে যাওয়াও পেটে ব্যথা হওয়ার হজম শক্তি দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে তা অবহেলা না করে খাদ্য অভ্যাস ও জীবন যাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। সময়মতো চিকিৎসা ও প্রাকৃতিক উপায় গ্রহণ করলে হজম শক্তি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে 

লিভার মানব শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর একটি যা খাবার হজম টক্সিন দূরীকরণ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি ভূমিকা রাখে। প্রথমে দেখা যায় খাবারে অরুচি ও হজমে গ্যাসের সমস্যা। আপনি যেগুলা খাবার খান সেই খাবার ঠিকমতো হজম না হলে পেটে ভারী লাগা অম্বল বমি ভাব ও কোষ্ঠিকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দিবে। লিভার পর্যাপ্ত পরিমাণে পিত্তরস উৎপাদন না করলে চর্বি ভাঙতে অসুবিধা হয় ফলে চর্বিযুক্ত খাবার হজম হতে দেরি করে। 

আপনার লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে শরীরে টক্সিন জমে যায় যার প্রভাবে আপনার ত্বকে রেস প্রন চোখের নিচে কালচে দাগ এবং সার্বিক ক্লান্তি অনুভব করতে পারবেন। এছাড়া ওজন অস্বাভাবিকভাবে বড়া বা কমা মলমূত্রের রং পরিবর্তন মুখে তেতো ভাব এবং ডান দিকের পাঁজরের নিচে হালকা ব্যথা এর লক্ষণ হতে পারে। দীর্ঘদিন আপনার লিভারের হজম শক্তি দুর্বল থাকলে লিভার ফ্যাটি বা জন্ডিসের ঝুঁকি দেখা দিবে। 

তাই সুষম খাদ্য অভ্যাস পর্যাপ্ত পানি পান নিয়মিত ব্যায়াম ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা খুবই জরুরী আপনার জন্য। লিভারকে সুস্থ রাখতে হলে শরীরের হজম শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুটো বৃদ্ধি করতে হবে।

লিভারের হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়

লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা খাবার হজম পিত্তর উৎপাদন ও শরীরের টক্সিন দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাই লিভারের হজম শক্তি ভালো রাখা মানে শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা। কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে লিভারের হজম শক্তি স্বাভাবিক ও সক্রিয় রাখা যায়। প্রথমে খাবার নিয়মিত ও পরিমিতভাবে খাওয়া দরকার। 

হজম-শক্তি-বৃদ্ধির-১৫টি-ঘরোয়া-উপায়

অতিভোজন বা দীর্ঘক্ষণ না খাওয়া লিভারের উপর চাপ ফেলে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করলে লিভার পরিষ্কার থাকে ও হজম রসের নিঃসরণ বাড়ে। আদা রসুন কালোজিরা ও মধু লিভারের জন্য উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান যা বিদ্বেষ উৎপাদন বাড়ি হজমে সাহায্য করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে লিভার টক্সিন দূর করতে পারে। তেল চর্বি ও ভাজাপোড়া খাবার কম খাওয়া সবুজ শাকসবজি ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা লিভারকে সক্রিয় রাখে। 

এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম পর্যাপ্ত ঘুম এবং অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মানসিক প্রশান্তি বধায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ কারণ অতিরিক্ত মানসিক চাপ লিভারের কাজ ব্যাহত করে। এসব প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করলে লিভারের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় শরীর থাকে সুস্থ হালকা ও উদ্যমে ভরপুর।

হজম শক্তি বৃদ্ধির খাবার

হজম শক্তি মানুষের সুস্থতা ও স্বাভাবিক খাদ্য পরিপাকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হজম শক্তি কমে গেলে পেটের সমস্যা অম্লতা অজির্ণতা এবং বমি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনার। তাই আপনাকে হজম শক্তি বৃদ্ধির  জন্য সঠিক খাবার নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরী। সবচেয়ে কার্যকরী হজম শক্তি বৃদ্ধিকারী খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারঃ যেমন দই, ছানা, কেফির। এগুলো পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকর করে তোলে। 

এছাড়াও আঁশযুক্ত খাবার যেমন শশা গাজর পালং শাক ও ব্রাউন রাইস হজমকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। ফলমূল বিশেষ করে আপেল পেয়ারা পেঁপে ও কলা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। এ ধরনের ফলগুলো প্রাকৃতিক এনজাইম ও আস সমৃদ্ধ যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এছাড়া লেবু আদা ও রসুনের মত খাবারও হজম শক্তি বাড়ায়। এগুলো পেটের অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্যাস বা ফুলে যাওয়া কমায়। পর্যাপ্ত পানি পান করা ও হালকা খাবার খাওয়াও হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

অতিরিক্ত তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়ানো উচিত।দিনে ছোট ছোট পরিমাণে খাবার খেলে হজম সহজ হয়। তাই আপনাকে হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক তাজা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিতভাবে এই ধরনের খাবার খেলে পেট সুস্থ থাকে হজম শক্তি সঠিক থাকে এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

আপনার হজম শক্তি কমে গেলে খাদ্য সহজে হজম হয় না ফলে অজিন্যতা গ্যাস অস্তিকাঠিন্য এবং পেটের অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে আপনার হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকর করে তোলে পেটের বেশি সক্রিয় রাখে এবং খাদ্য চলাচল কে সাহায্য করে। সহজ দামের মধ্যে হাটা অন্যতম। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট হালকা হাটা পেটের কাজকে তুরান্বিত করে। 

এছাড়া যোগ ব্যায়াম হজম শক্তি বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর। বিশেষ করে পবনমুক্তাসন এবং ত্রিকণাশন পেটের মেদ কমায় এবং হজম প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। পেটে হালকা ঘূর্ণন এবং গোর পেশির ব্যায়ামও  হজম শক্তি বাড়ায়। পেটের চারপাশের বেশি শক্তি হলে খাবার সহজে হজম হয়। আরো একটি কার্যকর ব্যায়াম হল সাঁতার । এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাস বা ফুলে যাওয়া কমায়। 

ব্যায়ামের সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান এবং হালকা খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ভারি খাবারের পরে ব্যায়াম করা উচিত নয়। নিয়মিত ও সহজ ব্যায়াম পেটের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। হজম শক্তি বাড়ায় এবং শরীরকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখে।

হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ

আপনার যদি হজম শক্তি কমে যায় তাহলে পেট ভারী ভাব অজিন্যতা গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দিবে। এমন এমন সময় হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ সেরা ব্যবহার করা যেতে পারে যা খাদ্য হজম প্রক্রিয়াকে সহজ এবং কার্যকর করে তোলে। এই ধরনের সিরাপ সাধারণত প্রাকৃতিক উপাদান ও প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ হয়। প্রোবায়োটিক ছেঁড়া পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়া আবৃত্তি করে যা হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে এবং পেটের অস্বস্তি কমায়। 

এছাড়া বিভিন্ন উদ্ভিদভিত্তিক সিরাপ যেমন আদা পিপারমিন্ট, লেবু ও পেঁপে ছেঁড়া ভজন শক্তি বাড়াতে সহায়ক। এই সিরাপ গুলো গ্যাস কমায় এসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে এবং খাবার হজমে সাহায্য করে। হজম শক্তি বৃদ্ধির সেরা ব্যবহারের সময় রোজের প্রতি যত্ন নেওয়া জরুরি। সাধারণত খাবারের পর নির্দিষ্ট পরিমাণে এই সিরাপ খাওয়া যায়। শিশু বয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিরাপ ব্যবহার করা উচিত। 

হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ একটি সহজ ও কার্যকর সমাধান। এটি পেটকে স্বস্তি দেয় আজম প্রক্রিয়াকে তুরান্বিত করে এবং পেটের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। নিয়মিত প্রয়োজনীয় খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের সঙ্গে এটি ব্যবহার করলে হজম শক্তি বজায় থাকে এবং শরীর সুস্থ থাকে।

শেষ কথা, হজম শক্তি বৃদ্ধির ১৫টি ঘরোয়া উপায়

আজান শক্তি বৃদ্ধির ১৫টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই উপরের লেখাটি থেকে জানতে পেরেছেন। আজান শক্তি আমাদের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবার হজমে সমস্যা হলে পেটের অস্বস্তি অযোগ্যতা গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ঘরোয়া কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করে হজম শক্তি সহজে বৃদ্ধি করা সম্ভব। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন দই, ছানা, আঁশযুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি ব্রাউন রাইস এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিকারী ফল যেমন: পেঁপে, আপেল, কলা, নিয়মিত খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। 

হজম-শক্তি-বৃদ্ধির-১৫টি-ঘরোয়া-উপায়


এছাড়াও হালকা ব্যায়াম যোগব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত পানি পান হজম শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আদা, লেবু, পেঁপে ও প্রয়োজন মত হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ ব্যবহার করলেও পেটের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। খাবারের পরে হালকা হাটা বা পেটের ব্যায়াম হজমকে আরো তুরান্নিত করে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিয়মিত ব্যায়াম এবং প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চললে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি শুধু পেটকে সুস্থ রাখে না বরং শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্য শক্তি ও স্বাভাবিক খাদ্য পরিপাকের কার্যকারিতা বজায় রাখতে ও সাহায্য করে। 

সুতরাং নিয়মিত এই ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করা প্রতিটি মানুষের জন্য উপকারী। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো তথ্য বা সে বা পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url