কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
আপনি জানতে চাচ্ছেন কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য। আপনি যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর হবে। আপনার কি খুব ক্লান্ত লাগে, বুক ধরফর করে বা হাত পা ঠান্ডা হয়ে থাকে।
হাঁটা চলার সময় নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় এসবই ভিটামিন এর অভাবে হয়ে থাকে। অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন কিন্তু বুঝতে পারেন না। অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বল লাগা রক্তশূন্যতার কারণে হতে পারে। চলুন সবকিছু বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানা যাক।
পোস্ট সূচীপত্রঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
- কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
- আমাদের শরীর দুর্বল হয় কেন
- শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণগুলো কি কি
- কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়
- শরীর দুর্বল হলে কোন ভিটামিন ওষুধ খেতে হবে
- কোন ভিটামিন এর অভাবে চুলকানি হয়
- শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়
- কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম বেশি হয়
- কোন খাবারে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়
- শেষ কথা, কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় তা জানতে চোখ রাখুন এই আর্টিকেলে। আমাদের
শরীর দুর্বল হওয়ার প্রধান কারণ হলো ভিটামিনের ঘাটতি। ভিটামিন আমাদের শরীরের
শক্তি উৎপাদন রক্ত তৈরীর প্রক্রিয়া স্নায়ুতন্ত্র ও পেশির কার্যকারিতা ঠিক রাখতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন ডি
ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এর অভাবে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়। ভিটামিন বি
কমপ্লেক্স বিশেষত্ব(B1,B6 ও B12) শক্তির উৎপাদনে সাহায্য করে।
এর ঘাটতিতে আমাদের ক্লান্তি মাথা ঘোরা ও হাত-পা ঝিমঝিম করার মতো সমস্যা দেখা
দেয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে আমাদের হাড় দুর্বল হয় ও বেশিতে ব্যথা দেখা দেয় কারণ
এটি ক্যালসিয়ামের শোষণে সাহায্য করে। অন্যদিকে ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষ মেরামত করে। এর অভাবে সহজেই ক্লান্তি মাড়ি থেকে
রক্তপাত ও ক্ষত দ্রুত না শুকানো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও ভিটামিন ই আমাদের
শরীরের কোষ কে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতা
বজায় রাখে।
ভিটামিন ই এর অভাবে বেশি দুর্বলতা ও দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা
দিতে পারে। আমাদের শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন গুলো পেতে হলে দুধ ডিম মাছ
মাংস শাক-সবজি ফলমূল ও সূর্যের আলোতে প্রতিদিন কিছুক্ষণ থাকা প্রয়োজন। সুষুম
খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে আমাদের শরীর থাকবে সবল, প্রাণবন্ত, ক্লান্তি দূর হবে এবং
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। তবে আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পুষ্টিকর
খাবার খেলে প্রয়োজনের ভিটামিন ও খনিজ আমাদের দেহের ভেতরেই তৈরি হয়ে যায়।
আরো পড়ুন:ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
আমাদের শরীর দুর্বল হয় কেন
আমাদের শরীর দুর্বল হওয়া একটি সাধারন সমস্যা যা অনেক কারণেই হতে পারে। এর অন্যতম
কারণ হলো আমাদের দেহে পুষ্টিহীনতা ও ভিটামিনের ঘাটতি। যখন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে
প্রোটিন ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায় না তখন শরীর শক্তি হারায় ও ক্লান্তি অনুভব
করা যায়। বিশেষ করে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন ডি ও আয়রনের অভাবে শরীর
দুর্বলতা দেখা দেয়। এছাড়া ঘুমের অভাব অতিরিক্ত মানসিক চাপ শারীরিক পরিশ্রমের পর
পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়া এবং পানি শূন্যতা শরীরের শক্তি কমিয়ে দেয়।
অনিয়মিত জীবনযাপন ধূমপান ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আমাদের শরীর দুর্বলতার বড়
একটা কারণ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তস্বল্পতা থাইরয়েডের সমস্যা বা দীর্ঘস্থায়ী
রোগ থেকেও দূর্বলতা দেখা দিতে পারে। শরীর সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন পুষ্টিকর
খাবার খাওয়া পর্যাপ্ত ঘুমানো শরীর চর্চা করা এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা
জরুরী। নিয়মিত পানি পান ও সুষম খাদ্য গ্রহণ শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য
করে।
তাই দুর্বলতা অনুভব করলে অবহেলা না করে,তা নির্ণয় করে প্রয়োজনে তা পদক্ষেপ
নেওয়া উচিত। প্রাণিস খাবারে বেশি পরিমাণ ভিটামিন বি১২ থাকে। দুধ, দই, ডিম,
মাশরুম, বিভিন্ন ধরনের মাংস ও কলিজা, সামুদ্রিক মাছ, বিভিন্ন শস্য এবং ডালে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ থাকে। দীর্ঘদিন ভিটামিন বি১২ এর সংকটের কারণে
স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দেয়।
শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণগুলো কি কি
আমাদের শরীর দুর্বল হওয়া অনেক সময় এটি সাধারণ বিষয় মনে হলেও এটি শরীরের ভেতরে
পুষ্টিহীনতা বা অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে। দুর্বলতার কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে
যা আমাদের সহজেই বুঝতে সাহায্য করে। প্রথমত অতিরিক্ত ক্লান্তি হলো শরীর দুর্বল
হওয়ার প্রধান লক্ষণ। সামান্য কাজের পরই শরীর ভারী লাগা বা বিশ্রামের অনুভব করা
একটি সতর্ক সংকেত। মনোযোগের ঘাটতি মাথা ঘোরা ও ঘুম ঘুম ভাবো দুর্বলতার সাধারণ
কারণ।
এছাড়াও হাত-পা ঝিমঝিম করা মাংসপেশিতে ব্যথা বা শক্তি হারিয়ে ফেলা শরীরে শক্তি
ঘাড়তির প্রমাণ দেয়। কখনো কখনো ত্বক ফ্যাকাশে হওয়া চুল পড়া ও নখ ভঙ্গর হয়ে
যাওয়া শরীরে ভিটামিন ও আয়রনের অভাব নির্দেশ করে। দুর্বলতার সঙ্গে যদি খাবারে
অনীহা শ্বাসকষ্ট বা হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া দেখা দেয় তবে তা আরো গুরুতর
হতে পারে। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে আমাদের অবহেলা করা উচিত নয়।
পর্যাপ্ত ঘুম পুষ্টিকর খাদ্য পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের
পরামর্শ গ্রহণ করলে শরীর পুনরায় শক্তি ফিরে পায় ও সুস্থ থাকা যায়। শরীর দুর্বল
হওয়া আমরা নিজেই বুঝতে পারি। শরীর দুর্বল হলে আমরা কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারি
না, সব সময় ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। আসলে শরীর দুর্বল হলে শারীরিক ও
মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে। দুর্বলতা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে এটি আমাদের
দৈনন্দিন জীবনযাপনে অসুবিধা সৃষ্টি দেখা দেয়।
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়
আমাদের শরীর শুকিয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত রোগা হয়ে যাওয়া অনেক সময় ভিটামিন এবং
রক্তশূন্যতার ফলে এটি হয়ে থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন ডি
ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এর ঘাটতি শরীরের ওজন হ্রাস দুর্বলতা ক্লান্তির অন্যতম
কারণ। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে এবং খাবার থেকে
শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। এর অভাবে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি পায় না ফলে
মানুষ ধীরে ধীরে রোগা হতে থাকে।
আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় দুর্বল করে বেশি নরম করে এবং খোদার ঘটায়
যা শরীর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে এবং ত্বক ও পেশী সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এর অভাবে
ক্ষুধামন্দা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। পাশাপাশি ভিটামিন ই টপ ও কোষের সুরক্ষা দেয়
যা শরীরের স্বাস্থ্য রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভিটামিনের অভাব পূরণে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা জরুরী। প্রতিদিনের খাবারে ফল সবজি
ডিম মাছ দুধ বাদাম এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের
পরামর্শে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে যথাযথ ভিটামিন গ্রহণ নেই পারে
শরীরকে সুস্থ সবল ও পণ্য রাখতে। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
করা।
শরীর দুর্বল হলে কোন ভিটামিন ঔষধ খেতে হবে
আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না আমাদের শরীর কেন দুর্বল হয়ে যায়। আমাদের শরীর দুর্বল
হওয়ার প্রধান কারণ ভিটামিনের অভাব। যখন শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ
পায় না তখন ক্লান্তি মাথা ঘোরা মনোযোগের অভাব এবং কাজের প্রতি অনীহা দেখা দেয়।
তাই শরীর দুর্বল হলে সঠিক খাদ্য গ্রহণ ও ভিটামিন অত্যন্ত জরুরি। প্রথমে বলা যায়
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দুর্বলতা দূর করতে খুবই কার্যকর। এটি আমাদের শরীরে শক্তি
উৎপাদনে সাহায্য করে স্নায়ুর স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখে এবং ক্লান্তি
কমায়।
বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ এবং বিষয়ে বি৬ রক্ত তৈরি ও শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে। এছাড়া ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হাড় ও বেশি মজবুত রাখে ভিটামিন ডি
এর অভাবে আমাদের শরীরে ব্যথা দুর্বলতা ও অবসাদ দেখা দেয়। সূর্যের আলো ডিম মাছ
মাংস ও দুধ জাতীয় খাবারে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্লান্তিক কমাতে সাহায্য করে। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য
তালিকায় কমলা আমলকি পেয়ারা ও লেবু জাতীয় ফল খাওয়া বা তালিকাভুক্ত করা
উচিৎ।
অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। যেমন
Becozym,Centrum বা Revital ইত্যাদি। তবে আপনি নিজের মতো করে ওষুধ না খাওয়াই
ভালো। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন। তাই বলা যায়, আমাদের সুষম খাদ্য,
পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়ামই শরীরকে সবল রাখার মূল উপায়। আসলে কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় তা প্রথমে জানা দরকার।
আরো পড়ুন:
কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয়
আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে একটি হলেও চুলকানি।
হায়রে মজার চুলকানি টিপলে বাড়ায় লাল পানি। চুলকানি একটি সাধারণ সমস্যা হলেও
অনেক সময় এটি আমাদের শরীরে ভিটামিনের অভাবের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন
বি কমপ্লেক্স ভিটামিন ডি ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ এর ঘাটতি ত্বকের শুষ্কতা ও
চুলকানির প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দেয়।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (বিশেষ করে বি২, বি৩, এবং বি১২, বি ৬) ত্বকের কষ্টে সুস্থ
রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এর অভাবে ত্বক রুক্ষ শুষ্ক ও চুলকানি যুক্ত
হয়ে পড়ে। ভিটামিন ডি ত্বকের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে। তাই এর অভাবে তোকে
ফুসকুড়ি ও অস্বস্তিকর চুলকানি হয়ে থাকে। ভিটামিন ই ত্বকের কোষ কে সুরক্ষা দেয়
ও আদ্র রাখে। এর অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ও চুলকানি দেখা দেয়। অপরদিকে
ভিটামিন এ ত্বকের নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং ভিটামিন এ এর অভাবে খসখসে ও
চুলকানিযুক্ত হয়ে যায়।
এই ভিটামিন গুলো পূরণের জন্য প্রতিদিনের খাবারের দুধ ডিম মাছ মাংস বাদাম ফলমূল ও
সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান এবং ত্বক
পরিষ্কার রাখা ও জরুরী। যদি দীর্ঘদিন ধরে চুলকানি না সরে, তবে চিকিৎসকের
পরামর্শের প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা ও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত।
আমাদের সকলেরই উচিত সঠিক ভিটামিন গ্রহণ, এই ভিটামিন গ্রহণ করলে ত্বক করবে সুস্থ
মসৃণ ও চুলকানি মুক্ত।
শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়
আমাদের শরীর যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন আমরা দুশ্চিন্তায় ভোগী। কিন্তু শরীর
দুর্বল হলে পুষ্টিকর ও শোষণ খাদ্য খাওয়া জরুরী এটা আর আমরা কেউ ভাবি না। সাধারণত
শরীরে ভিটামিন খনিজ পদার্থ ও প্রোটিনের অভাবের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তাই
আমাদের শরীরকে পুনরায় শক্তিশালী করতে হলে এমন খাবার বেছে নিতে হবে যা শরীরের
শক্তি যোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রথমে ডিম দুধ মাছ-মাংস ও ডাল খেতে
হবে কারণ এগুলো প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস, যা আমাদের শরীরের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য
করে।
সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক কলমি শাক লাল শাক এ রয়েছে আইরন ও ভিটামিন যা রক্ত
তৈরি করে এবং ক্লান্তি দূর করে। এছাড়াও ফলমূল যেমন কলা আপেল কমলা পেয়ারা ও
খেজুর শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়। আবার বাদাম মধু ও দই নিয়মিত খেলে শরীরের
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান নিয়মিত ঘুম এবং হালকা
দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। সঠিক খাবারই আমাদের শরীরকে রাখে সবল সুস্থ ও
প্রাণবন্ত।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম বেশি হয়
ঘুম বেশি হওয়া অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের ঘাটতির কারণে হতে পারে। বিশেষ করে
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন ডি এবং আইরনের অভাব ঘুমঘুম ভাব ও অতিরিক্ত
ক্লান্তির প্রধান কারণ। ভিটামিন b১২ শরীরের শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে। এর অভাবে রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে শরীর সবসময় ক্লান্ত অনুভব
করে এবং ঘুম বেশি হয়। আমার ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীর দুর্বল মনোযোগ কমে যায় এবং
অলসতা বেড়ে যায় যা অতিরিক্ত ঘুমের প্রবণতা সৃষ্টি করে।
এছাড়া আয়রনের অভাব রক্তশূন্যতা তৈরি করে যা মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন
সরবরাহে বাধা দেয় এবং অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব সৃষ্টি করে। এই সমস্যা দূর করতে ডিম
দুধ মাছ কলিজা শাক-সবজি খেজুর ও বাদামের মত খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত।
প্রয়োজনের চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে। সঠিক
পুষ্টি ও নিয়মিত জীবন যাপনে ঘুম ঘুম ভাব কমিয়ে শরীরকে রাখবে সতেজ ও সক্রিয়।
কোন খাবারে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়
কোন খাবারে কোন ভিটামিন পাওয়া যায় তা একটি তালিকা আকারে লিখে দিলাম
| ভিটামিনের নাম | খাবারের নাম | উপকারিতা |
|---|---|---|
| ভিটামিন এ | গাজর, কুমড়া, ডিমের কুসুম দুধ কলিজা | দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে |
| ভিটামিন বি১ | বাদাম ডাল চাল কলা | শক্তি উৎপাদনের সাহায্য করে ও স্নায়ু মজবুত রাখে |
| ভিটামিন বি২ | দুধ ডিম মাছ সবুজ শাক | ত্বক ও চোখের সুস্থতা রক্ষা করে |
| ভিটামিন বি৩ | মাংস মাছ ডাল চিনাবাদাম | হজমে সহায়তা ও শক্তি বৃদ্ধি করে |
| ভিটামিন বি৬ | কলা ডিম আলু মুরগির মাংস | রক্ত তৈরি ও মস্তিষ্কের কার্যক্রমে সহায়ক |
| ভিটামিন বি১২ | কলিজা ডিম মাছ দুধ | রক্তশূন্যতা রোধ ও স্নায়ু সুস্থ রাখে |
| ভিটামিন সি | লেবু কমলা পেয়ারা আমলকি | রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে |
| ভিটামিন ডি | সূর্যের আলো দুধ মাছ ডিম | হাড় ও দাঁত মজবুত করে |
| ভিটামিন ই | বাদাম তেলযুক্ত মাছ পালং শাক | ত্বক ও কোষের সুরক্ষা দেয় |
| ভিটামিন | ব্রকলি পালং শাক বাঁধাকপি | রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে |
শেষ কথা, কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় উপরের লেখাটি থেকে আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে
পারলাম। তবুও এক নজরে দেখে নিন। আমাদের শরীর দুর্বল হওয়া সাধারণত বিভিন্ন
ভিটামিনের অভাবের ফল। বিশেষ করে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন ডি ভিটামিন সি এবং
আয়রনের ঘাটতি শরীরের শক্তি কমিয়ে দেয় এবং ক্লান্তি সৃষ্টি করে। ভিটামিন বি১২ ও
বি৬ শক্তি উৎপাদন ও রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। তাই এর অভাবে শরীরে অক্সিজেনের
ঘাটতি দেখা দেয় এবং দুর্বলতা বাড়ে।
ভিটামিন ডি হার ও বেশি মজবুত রাখে আর এর অভাবে শরীর ব্যথা ও শক্তিহীনতা দেখা
দেয়। অন্যদিকে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আবৃত্তি করে ফলে এর অভাবে মানুষ
সহজে ক্লান্তি ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই সমস্যা দূর করতে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ যেমন
ডিম মাছ দুধ মাংস শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া জরুরী। পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও
নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে পুনরায় সক্রিয় করে তোলে।
তাই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ ও শোষণ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে শরীর থাকবে শক্তিশালী
সবল ও প্রাণবন্ত। আজকের দিন পর্যন্তই। এরকম আরো তথ্য বা সেবা পেতে আমাদের
ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন সবাইকে ধন্যবাদ।

ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url