প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই টনসিল ফলা কমানোর সাতটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে
আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আমার এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনি কিভাবে টনসিল খোলা কমাবেন তার বিভিন্ন টিপস দিব।
আপনি কি জানেন টনসিল হলে কি কি সমস্যা হতে পারে? চলুন টনসিল ফোলা কমানোর
প্রাকৃতিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
টনসিল ফোলা একটি সাধারন সমস্যা যা সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রকারণের
কারণে হয়। অনেক সময় গলায় ব্যথা গিলতে কষ্ট ও জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তবে
প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এ সমস্যা সহজে কমানো যায়।
প্রথমত, গরম লবণ পানি দিয়ে গড়গড় করা সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। এটি গলার জীবাণু
নষ্ট করে এবং ব্যথা কমায়। দ্বিতীয়ত, মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা
প্রতিদিন খেলে টনসিলের প্রধা ও কমে। তৃতীয়ত, আদা চা লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান
করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। চতুর্থত, তুলসী পাতা সিদ্ধ করে খেলে জীবাণু
ধ্বংস হয়।
পঞ্চমত, লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করলে আরো প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ষষ্ঠত, হলুদ
মিশ্রিত গরম দুধ প্রদাহ দূর করে। সপ্তমত, রসুন এ প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক রয়েছে
যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। অষ্টমত, মুরগির সুপ বা গরম সুপ গলায় আরাম দেয়। নবমত,
ঠান্ডা খাবার যেমন আইসক্রিম বা সফট ড্রিঙ্কস, এড়িয়ে চলা জরুরী। আর দশমত,
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ হলো যদি টনসিলের ফোলা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়,
তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
টনসিল হলো গলার দুই পাশে অবস্থিত ছোট টিস্যুর মতো অঙ্গ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ব্যবস্থার অংশ হিসেবে কাজ করে। এগুলো লিমফয়েড টিস্যুর দ্বারা গঠিত এবং মুখ ও নাক
দিয়ে শরীরে প্রবেশ করা জীবাণু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রাথমিক
প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সহজভাবে বলতে গেলে টনসিল আমাদের শরীরের একটি প্রাথমিক
ফিল্টার যা সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।
শিশুদের ক্ষেত্রে টনসিলের কার্যক্রম সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে কারণ এই সময় দেহ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে থাকে।তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে টনসিলের
কার্যকারিতা কিছুটা কমে যায়। সাধারণ অবস্থায় টনসিল উপকারী হলেও অনেক সময়
এগুলোতেই সংক্রমণ হতে পারে। একে টনসিলাইটিস বলা হয়। এতে গলায় ব্যথা খোলা গিলতে
অসুবিধা জ্বর এবং মুখ থেকে দুর্গন্ধের মত সমস্যা দেখা দেয়।
টনসিলের প্রদাহ অনেক সময় স্বল্প স্থায়ী হয় এবং ঘরোয়া উপায়ে কমে যায়।কিন্তু
দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে বা বারবার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। সঠিক যত্ন
নিলে টনসিল আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্ত করে, সংক্রমণ হতে সুরক্ষা দেয়
এবং সুস্থ জীবন যাপন নিশ্চিত করে।
টনসিল ফোলার কারণ কি
টনসিলখোলা বা টনসিলাইটিস সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়।
এটি শিশু ও কিশোরদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে প্রাপ্তবয়স্কদেরও আক্রমণ হতে
পারে। প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে ঠান্ডা জনিত অসুখ, সর্দি-কাশি এবং
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস একইভাবে স্ট্রেপটোকক্কাস নামক ব্যাকটেরিয়াও টনসিল ফোলার
অন্যতম কারণ। পরিবেশগত দূষণ, ধুলোবালি, ধূমপান এবং ঠান্ডা পানি বা আইসক্রিমের মতো
ঠান্ডা খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ করলে টনসিলে প্রদাহ হতে পারে।
অনেক সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেলে সামান্য জীবাণু টনসিল
আক্রান্ত করতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে স্কুল বা খেলার মাঠে অন্য কারো সংক্রমিত
খাবার বা পানিও ভাগাভাগি করার মাধ্যমেও এ রোগ ছড়ায়। এছাড়া মুখের ভেতরের
পরিচ্ছন্নতা গজায় না রাখা দাঁতের সমস্যা বা মুখের ভেতরে জীবাণু জমে থাকা টনসিল
ফোলার ঝুঁকি বাড়ায়। দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা আবহাওয়ায় থাকা কিংবা বারবার ঠান্ডা
গরম খাবার খাওয়ার অভ্যাসও এর একটি বড় কারণ।
সংক্ষেপে বলা যায় টনসিল খোলার মূল কারণ হলো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ তবে
অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে সচেতন থাকা এবং সময়মতো চিকিৎসার নেওয়া অত্যন্ত
জরুরি।
টনসিল ফোলার লক্ষণ
গলা ব্যথা_ টনসিল ফোলার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো গলা ব্যথা খাওয়া-দাওয়া বা
কথা বলার সময় এই ব্যথা আরো বেড়ে যায়।
গলা লাল হওয়া_ সংক্রমনের কারণে টনসিলের চারপাশ লালচে হয়ে যায, যা চোখ সহজেই
দেখা যায়।
খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া_ খাবার বা পানি গিলতে গেলে গলায় ব্যথা ও চাপ অনুভব
হয়। অনেক সময় এটি এতটাই বাড়ে যে খাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
জ্বর আসা_ টনসিল প্রদাহ হলে শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং হালকা থেকে তীব্র
জ্বর হতে পারে।
মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া_ সংক্রমণের কারণে টনসিলের জীবাণু জমি মুখে
দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
কানে ব্যথা ছড়ানো_ টনসিলের ব্যথা অনেক সময় কানে ছড়িয়ে পড়ে ফলে কানে ভারি
লাগা বা ব্যথা অনুভব হয়।
কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে যাওয়া_ ফোলা টনসিল গলার স্বরযন্ত্রে প্রভাব ফেলে এবং
কণ্ঠস্বর ভারী বা ভাঙ্গা হয়ে যেতে পারে।
গলায় ফোলা দেখা দেওয়া_টনসিল বড় হয়ে গেলে গলা ভরে যায় ফলে কথা বলা ও শ্বাস
নিতে সমস্যা হতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিরক্তি_ ছোটদের টনসিল হলে তারা অস্বাভাবিক
রকম বিরক্তি কর আচরণ করে কাঁদে এবং খাওয়া এড়িয়ে চলে।
টনসিলখোলা বা সংক্রমণের সময় খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমে নরম ও হালকা খাবার খাওয়া উচিত যা গলায় ঝলসানি সৃষ্টি না করে। যেমন দই
ওটমিল স্যুপ মসলা কম যুক্ত ভাত বা খিচুড়ি পুডিং ইত্যাদি। গরম বা ঝাল খাবার
এড়ানো ভালো কারণ তা গলার অতিরিক্ত জ্বালা বাড়াই। পর্যাপ্ত পানি পান করা
অপরিহার্য।
বিশেষ করে গরম জল লেবুর পানি বা হালকা হারবাল চা যা গলার ব্যথা কমাতে সাহায্য
করে। ফলের মধ্যে কলা, পেঁপে, তরমুজ নরম ও সহজ হজমযোগ্য হওয়ায় ভালো। এছাড়া
চিপচিপে বা শক্ত খাবার যেমন বাদাম ক্র্যাকার ইত্যাদি এড়ানো উচিত। পরিশেষে, খাদ্য
নরম পুষ্টিকর এবং হালকা হওয়া উচিত যাতে গলার সংক্রমণ দ্রুত সেরে ওঠে এবং রোগীকে
আরাম অনুভূত হয়।
টনসিল ফুলে গেলে কি পানি খাওয়া যাবে
টনসিল ফুলে গেলে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান, পানি খাওয়া যাবে কিনা। আসলে এই সময়
শরীরের পানি শূন্যতা রোধ করা অত্যন্ত জরুরি। টনসিল ফোলার কারণে গলা ব্যথা ও
জ্বালা থাকলেও পর্যাপ্ত পানি পান করলে গলা আদ্র থাকে এবং ব্যথা কমে। বিশেষ করে
হালকা গরম পানি গলা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণের জীবাণু ধুয়ে দিতে
সহায়ক ভূমিকা রাখে। ঠান্ডা বা বরফ যুক্ত পানি এড়ানো ভালো কারণ এটি গলার প্রদাহ
বাড়াতে পারে।
দিনে অল্প অল্প করে বারবার পানি খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। পাশাপাশি লেবু মিশ্রিত
গরম পানি বা হারবাল চা পান করলে আরাম পাওয়া যায়। পানি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের
টক্সিন বের হয়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই টনসিল ফুলে গেলে পানি
খাওয়া শুধু নিরাপদেই নয় বরং আরোগ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
টনসিলে ব্যথা কতদিন থাকে
টনসিল ফোলার কারণে সৃষ্ট ব্যথা সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
ভাইরাসজনিত সংক্রমণে ব্যথা তুলনামূলকভাবে দ্রুত কমে যায় তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত
সংক্রমনে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। সঠিক বিশ্রাম গরম পানি পান, নরম খাবার
গ্রহণ এবং ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেলে ব্যথা দ্রুত উপশম হয়।
তবে যদি ব্যথা এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় বা বারবার ফিরে আসে তবে এটি
দীর্ঘমেয়াদী টনসিলের লক্ষণ হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত
জরুরী। সাধারণ যত্ন ও চিকিৎসার মাধ্যমে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যথা কয়েকদিনের মধ্যেই
সেরে যায়।
টনসিল থেকে কি ক্যান্সার হতে পারে
টনসিল সাধারণত শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের একটি সাধারণ সমস্যা যা সংক্রমণের কারণে
খোলা বা ব্যথা সৃষ্টি করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি সাময়িক এবং ওষুধ ও সঠিক রথে
সেরে যায়। তবে বারবার টনসিল হওয়া বা দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ থাকলে কিছু ক্ষেত্রে
জটিলতা দেখা দিতে পারে। টনসিল থেকে সরাসরি ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম কিন্তু
গলার অংশে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ধূমপান অ্যালকোহল সেবন এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন
যাপন টনসিল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ গুলির মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিন গলা ব্যথা একপাশের টনসিল
অস্বাভাবিক বড় হওয়া গিলতে কষ্ট কানে ব্যথা এবং অজানা কারণে ওজন কমে যাওয়া। এসব
লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাই বলা যায় সাধারণ টনসিল
থেকে সরাসরি ক্যান্সার হয় না, তবে অবহেলা করলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
টনসিল ফোলার অপকারিতা
টনসিল ফোলা বা টনসিলাইটিস সামান্য একটি সমস্যা মনে হলেও এর প্রভাব শরীরের উপর
মারাত্মক হতে পারে । প্রাথমিক অবস্থায় এটি শুধু গলায় ব্যথা করলেও দীর্ঘ মেয়াদে
নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে। টনসিল ফোলা হলে গিলতে কষ্ট হয় হলে খাওয়া দাওয়া
কঠিন হয়ে পড়ে এবং শরীর পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। এই সংক্রমণ বারবার হলে শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে টনসিলের ব্যথা কান পর্যন্ত
ছড়িয়ে গিয়ে অতিরিক্ত কষ্ট দেয়। মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া একটি বড় সমস্যা
যা সামাজিক জীবনে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে।
এছাড়া টনসিল খোলা শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।বিশেষত ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
দীর্ঘদিন এর সমস্যা অবহেলা করলে গলায় পুঁজ জমা হতে পারে, যা আরো গুরুতর সংক্রমনর
কারণ হয়। এমনকি অনিয়মিত চিকিৎসার ফলে টনসিল অপসারণের প্রয়োজন হতে পারে।
সংক্ষেপে বলা যায় টনসিল ফোলা শুধু সাময়িক ব্যথা নয় এটি খাবার গ্রহণ
শ্বাস-প্রশ্বাস কণ্ঠস্বর এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তাই
এর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
টনসিলে ঘা হলে তা বেশ কষ্টদায়ক হতে পারে এবং যত্ন না নিলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার
আশঙ্কা থাকে। প্রথমত, গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে দিন কয়েকবার গড়গড় করলে গলা
পরিষ্কার থাকে ও ব্যথা কমে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া জরুরী কারণ শরীরকে সংক্রমণের
বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। নরম ও সহজপাত্র খাবার যেমন খিচুড়ি, দই, স্যুপ
খাওয়া উচিত, যাতে গলা আঘাত না পায়।
ঝাল, টক ও শক্ত খাবার এড়ানো প্রয়োজন। গলা আদ্র রাখতে গরম পানি বেশি করে
পান করতে হবে। যদি ঘা দীর্ঘদিন থাকে বা ব্যথা অত্যাধিক হয়, তবে ডাক্তারের
পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য। প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক বা অন্যান্য ওষুধ লাগাতে
পারে। ঘরোয়া যত্নের পাশাপাশি সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে টনসিলের ঘাত দ্রুত সেরে
যায়।
শেষ কথা, টনসিল ফোলা কমানোর ১০টি ঘরোয়া উপায়
টনসিল ফোলা কমাতে ঘরোয়া উপায় অনেক কার্যকরী হতে পারে। নিয়মিত গরম পানিতে লবণ
মিশ্রিত গড় গড় করা গরম পানি ও হারবালতা পান করা, নরম ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া,
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং ঝাল ও ঠান্ডা খাবার এড়ানো টনসিল দ্রুত আরোগ্যে
সাহায্য করে। এসব প্রাকৃতিক যত্ন গলার ব্যথা ও প্রদহ কমিয়ে রোগীকে আরাম দেয়।
তবে লক্ষণ দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে বাস জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ
নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। ঘরোয়া উপায় শরীরকে প্রাথমিক স্বস্তি দিলেও সঠিক
চিকিৎসায় নিশ্চিত করে সম্পূর্ণ সুস্থতা। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক
উপকারে আসবে। এরকম আরো বিভিন্ন তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন
ধন্যবাদ।
ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url