বাচ্চা হওয়ার পর পেটের দাগ দূর করার উপায় জেনে নিন

আপনি নিশ্চয়ই বাচ্চা হওয়ার পর পেটের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য। মহিলাদের বাচ্চা হবার পর পেটের দাগ দূর করার সমস্যায় ভোগেন। কারণ তাদের দাগ দেখা দিলে ভালো লাগে না।

বাচ্চা-হওয়ার-পর-পেটের-দাগ-দূর-করার-উপায়

অধিকাংশ মহিলা বাচ্চা হওয়ার পর পেটে ফাটা ফাটা দাগ হয়ে থাকে। তবে এই দাগ দূর করার উপায় বিভিন্ন কৌশল রয়েছে যেমন ঘরোয়া উপায় এবং ক্রিম এগুলো ব্যবহার করলেই পেটের দান মিশে যাবে। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাচ্চা হওয়ার পর পেটের দাগ দূর করার উপায় 

বাচ্চা হওয়ার পর পেটের দাগ দূর করার উপায়

বাচ্চা হওয়ার পর অনেক মহিলার পেটে ফাটাফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্কস দেখা যায়। এটি মূলত গর্ভাবস্থায় ত্বকের অতিরিক্ত প্রসারন ও হরমোন পরিবর্তনের কারণে হয় ।যদিও এই দাগ পুরোপুরি মুছে ফেলা কঠিন তবে নিয়মিত যত্নে তা অনেকটাই হালকা করা সম্ভব। আপনি যদি মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আপনার যদি বাচ্চা হওয়ার পর ফাটাফাটা দাগ হয় তাহলে আপনাকে মনে রাখতে হবে প্রথমেই ত্বক আদ্র রাখা অত্যন্ত জরুরি। 

প্রতিদিন আপনাকে নারকেলের তেল, অলিভঅয়েল, এলোভেরা জেল বা ভিটামিন ই অয়েল দিয়ে দাগের স্থানের মালিক করলে ত্বক নরম ও মোর দিন হয়ে যাবে। এতে দাগ হালকা হতে শুরু করে। এছাড়া বাজারে পাওয়া স্ট্রেস মার্কস আইসক্রিম বা বায়ো অয়েল ও ব্যবহার করা যায়। তবে টা ডাক্তারের পরামর্শে নেওয়াই ভালো। খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর দিতে হবে আপনাকে। আপনাকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং ভিটামিন সি, ই জিংক ও প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন ডিম, দুধ, ফলমল ও সবজি খেলে আপনার কোষ পনের গঠনে সাহায্য করবে। 

আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম বিশেষ করে হালকা যোগব্যায়াম বা স্কেচিং করেন তাহলে আপনার ত্বকের স্থিতি স্থাপকতা বজায় থাকবে। এছাড়াও আপনার ত্বকে লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করবে। প্রতিদিন কয়েক মিনিট লেবুর রস লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলবেন তাহলে তার কিছুটা হালকা হয়ে যাবে। কেউ চাইলে ঘরোয়া উপায় মধু কফি ও চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। 

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ধৈর্য স্ট্রেস মার্কস একদিনে যায় না নিয়মিত যত্ন নিলে ধীরে ধীরে তা প্রসারণ হয়ে যায় এবং ত্বক ফিরে পাই আগের উজ্জ্বলতা। এসব উপায় যদি ফলো করতে পারেন তাহলে আপনার দাগগুলো কিছুটা হলেও দূর হবে।

মহিলাদের পেটে কেন দগ তৈরি হয় 

মহিলাদের বাচ্চা হওয়ার পর পেটে দাগ বা স্টেজ মার্ক তৈরি হওয়া একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তি ও প্রক্রিয়া। গর্ভাবস্থায় শিশুর বৃদ্ধি অনুযায়ী মায়ের পেটের ত্বক ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। এই প্রসারণ এর কারণে ত্বকের নিজের স্তরের কোলাজিল ও ইলাস্টিন ফাইবার ভেঙ্গে যায় ফলে ত্বকে হাটার মত দাগ হয় বা দেখা দেয়। এই দাগগুলো সাধারণত গোলাপি বাদামি ও হালকা সাদা রঙর হয় যা সময়ের সাথে হালকা হয়ে যায়। হরমনজনিত পরিবর্তন এর একটি বড় কারণ। 

গর্ভাবস্থায় শরীরে কয়টি ছল নামক হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় যা ত্বকের স্থিতি স্থাপকতা কমিয়ে দেয়। ফলে ত্বকে সহজেই ফেটে যায় এবং দাগের সৃষ্টি হয়। এছাড়া জেনেটিক কারণও ভূমিকা রাখে যাদের মা ও বোনদের এ ধরনের দাগ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে বাচ্চার ওজন বেড়ে যায় এ কারণে ত্বক প্রসারিত হয়ে যায় এ কারণে মায়ের পেটে দাগ তৈরি হয়। আবার গর্ভকালীন সময় পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া বা ত্বক শুষ্ক থাকা অবস্থাতেও এ সমস্যা বাড়ে। 

যদিও এ দাগ ক্ষতিকর নয় তবে অনেক নারী সৌন্দর্যগত কারণে তা নিয়ে অস্থিতি বোধ করেন নিয়মিত মশ্চারাইজার ব্যবহার ভিটামিন ই ও সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক নরম ও স্থিতিস্থাপক থাকে ফলে দাগের মাত্রা কমে যায়। সঠিক যত্নে সময়ের সাথে এটাক অনেকটাই হালকা হয়ে যায়। তাই আপনাকে নিজে থেকেই চেষ্টা করতে হবে এসব দাগ দূরীকরণে।

মহিলাদের পেটের দাগ দূর করার ক্রিমের নাম

পেটের দাগ দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। তবে মনে রাখা জরুরী এগুলো দাগ পুরোপুরি মুছে ফেলাই না বরং দাগগুলোকে হালকা করতে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো। নিচে এমন দশটি জনপ্রিয় ক্রিমের নাম দেওয়া হল ঃ

1. Palmer's Cocoa Butter Message Cream for Stretch marks

2. Bio-Oil Specialist Skincare Oil (Stretch Mark & scars)

3.Aichun Beauty Anti Stretch Mark Cream 60 mg 

4.Feenle Natural Stretch Mark Removal cream

5. Mederma Stretch Mark  Therapy Gel/cream

6. Mom Care Stretch Mark & Skin Nursing Cream

7. South Mon Stretch Mark Cream 

8. Refer StretchMark Remover Cream 

9. PAXMOLY Mom's Care Stretch Mark Cream 

10. Fixderma Strallium Stretch Mark Cream 

কিভাবে নির্বাচন করবেন 
1.গর্ভাবস্থায়ী বা জনপানের সময় হলে pregnancy safe অথবা dermatologist tested লেখা আছে কিনা দেখে নিন। 
2. ত্বকের ধরন (শুষ্ক, তৈলাক্ত, সংবেদনশীল) অনুযায়ী উপাদান ভালো লাগছে কিনা খেয়াল করুন।
3. নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে এক মাস বা দুই মাস খাওয়ার পর ফল পেয়ে যাবেন।
4. দাগ সম্পূর্ণরূপে মুছে যাবে এমন প্রলোভন বাণী বিশ্বাস করবেন না শুধুই হালকা হয়। 

গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার ক্রিম 

গর্ভকালে পেট সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে যে হাটা দাগ বা স্টেট মার্কস তৈরি হয় টা পুরোপুরি মোছে দেওয়া কঠিন হলেও সেগুলোকে হালকা ও আরো কম দৃষ্টিগোচর করা সম্ভব। এমন সময় ব্যবহারযোগ্য একটি ভালো ক্রিম চয়ন করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত এমন ক্রিম বেছে নিন যেটি গর্ভকালীন নিরাপত্তা উপাদানে তৈরি। গবেষণা অনুযায়ী এমন উপাদান যেমন Hyaluronic acid Centella asiatic ত্বকের জন্য স্থিতি স্থাপকতা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। 

দ্বিতীয়তঃ ক্রিমটির লেভেলে দেখুন সেটি pregnancy safe বা dermatologist tested উল্লেখ আছে কিনা যেমন Mustela_র স্ট্রেচ মার্কস ক্রিম যেখানে ৯৬% স্বাভাবিক উচ্চের উৎপাদনে তৈরি। তৃতীয় তো খারাপ বা ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান যেমন রিটিয়েড বা কিছু দৃঢ় একটিভ উপাদান এড়িয়ে চলা উচিত। এইরকম নিরাপদ ও নিয়মিত ব্যবহারযোগ্য ক্রিম শুধু ত্বকে নমনীয় রাখে প্রসারণের সময় ত্বকে চাপ কমায় এবং জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হ্রাস করে। তবে ক্রিম নিজে পুরোপুরি দাগ মুছে ফেলতে পারেনা বরং তাকে হালকা ও কম করতে সাহায্য করে। 

নিয়মিত সকালে রাতে মানুষের মত করে প্রয়োগ করা ও ত্বক এর আর্দ্র রাখা সবচেয়ে কার্যকর ।এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান, সুষম আহার এবং হালকা-ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভকালে পেটির স্ট্রেচ মার্কস এর জন্য এমন ক্রিম চয়ন করুন যা নিরাপদ উপাদানে তৈরি নিয়মিত ব্যবহারযোগ্য এবং বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা সহ ব্যবহার করতে হবে।

পেটের ফাটা দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

বাচ্চা হওয়ার পর বা পোজন দ্রুত বাড়া বা কমার ফলে পেটে হাটা দাগ বাই স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হয়। এই দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। যা ত্বকের ক্ষতি ছাড়াই দাগ হালকা করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে। প্রথমে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে হবে। এটি ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে ও নতুন ত্বক কোষ গঠনে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে দাগের স্থানে এলোভেরা জেল লাগিয়ে ১৫মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। 

বাচ্চা-হওয়ার-পর-পেটের-দাগ-দূর-করার-উপায়

নারকেলের তেল ও অলিভ অয়েল উভয় ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে। হালকা গরম তেল দিয়ে প্রতিদিন মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ডাক ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যায়। লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের দাগ হালকা করে এবং নতুন ত্বক গঠনে সাহায্য করে। দিনে একবার লেবুর রস লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এ ছাড়া চিনি ও মধুর মিশ্রণে স্ক্রাব তৈরি করে সপ্তাহের দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। 

সবশেষে পর্যাপ্ত পানি পান ফলমূল ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরী। নিয়মিত যত্ন ও ধৈর্য ধরলে ঘরোয়া উপায়ে পেটের দাগ অনেকটাই হালকা হয়ে যায় এবং ত্বক ফিরে পায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।


গর্ভকালীন পেটের ফাটা দাগ দূর করার উপায় 

গর্ভকালীন সময়ের পেটে ফাটা দাগ বা স্টেজমার্ক একটি সাধারন সমস্যা। শিশুর বৃদ্ধি অনুযায়ী মায়ের পেটের ত্বক প্রসারিত হয় ফলে ত্বকের নিচের স্তর ফেটে যায় এবং সাদা বা বাদামী দাগ দেখা দেয়। যদিও এই দাগ সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা কঠিন, তবে নিয়মিত যত্নে তা অনেকটাই হালকা হয়ে যায়। আপনাকে প্রতিদিন সকালে ও রাতে এলোভেরা জেল নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে পেটের দাগের স্থানে হালকা করে মালিশ করতে হবে।

 প্রতিদিন এটি করলে ত্বক নরম থাকবে ও ফাটা অংশের পুনরগঠনে সাহায্য করবে। লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণ দাগ হালকা করতে খুব উপকারী। লেবুর প্রাকৃতিক এজিদ ত্বকের মৃত কোষ দূর করে আর মধু ত্বক আদ্র রাখে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পান ভিটামিন ই সি ওজিং সমূহ খাবার যেমন ডিম বাদাম সবুজ শাকসবজি ও ফল খাওয়া ত্বককে ভেতর থেকে দেয়। সবচেয়ে বড় কথা হল আপনি যদি ধৈর্য ধরে নিয়মিত যত্ন নিতে পারেন তাহলে আপনার পেটের দাগ কিছুটা হলেও কমে একটু সুন্দর দেখাবে।

সিজারের পর পেটের দাগ কমানোর ক্রিম

সিজারিয়ান সেকশনের পর পেটে যে দাগ বা সিজারের স্কার দেখা যায়, তা অনেকের জন্য অস্বস্তিকর কারণ হতে পারে। যদিও এই দাগ সম্পন্ন ভাবে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। তবে কিছু নির্দিষ্ট ক্রিমের মাধ্যমে তা হালকা করা সম্ভব। 

সিজার স্কার কমানোর জন্য কিছু কার্যকর ক্রিম 

1. Mederma Advanced Scar Gel: এটি সিজার সরকারসহ পুরনো ও নতুন দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এতে থাকা শেফালীন উপাদান ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সহায়ক।

2. Silagen Silicone Scar Gel: সিলিকন ভিত্তিক এই জেল সিজার স্কার কমাতে কার্যকর। এটি ত্বকের আদ্রতা বজায় রেখে দাগ হালকা করে।

3. Earth Mama Organic Skin & Scar balm: প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এই বাল্ম সিজার স্কার সহ অন্যান্য দাগ হালকা করতে সহায়ক। এটি ত্বকে মসৃণ ও নমনীয় রাখে।

4.Nemah Restorative Scar Treatment: এটি সিজার ইফতার সহ অন্যান্য দাগ হালকা করতে সাহায্য করে এতে থাকা এন্টার্কটিকাইন উপাদান ত্বকের পুনর্গঠনে সহায়ক।

5. Motherlove C-section Cream: প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এই ক্রিম সিজার স্কার হালকা করতে সহায়ক। এটি ত্বকে পুষ্টি দেয় ও নমনীয় রাখে।

ব্যবহার এর পরামর্শ 
১.স্কার সম্পূর্ণভাবে শুকানোর পর ক্রিম ব্যবহার করুন 
২.প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ক্রিম লাগান 
৩.ধৈর্য ধরে নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে ।
তবে মনে রাখবেন যে কোন ক্রিম ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ক্রিমে বিশেষ উপাদান থাকতে পারে যা গর্ভাবস্থায় বা স্তনপানকালে নিরাপদ নাও হতে পারে।

পেটের দাগ দূর করতে সহায়ক ভিটামিনসমূহ 

পেটের দাগ বা স্টেজ মার্কস দূর করতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস এবং নির্দিষ্ট ভিটামিনের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন সমুহ ত্বকের পুনর্গঠনে ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে ফলে দাগ হালকা হয় এবং নতুন দাগ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। ভিটামিন সি এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোলাজেনে উৎপাদনের সাহায্য করে। বুলাদেন ত্বক ননীয় ও দৃঢ় রাখে, হলে ফাটা দাগ কমে। কমলার মতো ফল স্ট্রবেরি পেঁপে ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ। 

ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে। বাদাম সূর্যমুখীর বীজ, স্পিনার ও অ্যাভোকাডোতে ভিটামিন ই প্রচুর আছে। ভিটামিন এ ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে  ও স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে। গাজর ,মিষ্টি আলু, কুমড়া ও ডিমের কুসুম ভিটামিন এ এর প্রধান উৎস। এছাড়াও জিংক ত্বককে শক্তিশালী করে এবং ডাক কমাতে সাহায্য করে বাদাম, বেয়ারি, লিন্টিন ও দুধে জিংক থাকে।

সিজারের পর পেটের কালো দাগ দূর করার উপায় 

সিজারের পর অনেক মহিলার পেটে কালো দাগ দেখা যায় যা মূলত অপারেশনের পর ত্বকের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ও রঙের পরিবর্তনের কারণে হয়। এই দাগ দূর করতে নিয়মিত যত্ন ও প্রাকৃতিক উপায় বেশ কার্যকর। প্রথমেই ত্বক আদ্র রাখা জরুরী। প্রতিদিন এলোভেরা জেল নারকেল তেল বা ভিটামিন ই অয়েল দিয়ে দাগের স্থানে মালিশ করলে ত্বকের গঠন তৈরি হয়। 

লেবুর রস ও মধুর মিশ্রণ প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে যা দাগের রং হালকা করে। এছাড়া তিনি ও অলিভ অয়েল মিশ্রণে স্ক্রাব ব্যবহার করলে মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বক মসৃণ হয়। পর্যাপ্ত পানি পান ফলমূল ও সবজি খাওয়া এবং সূর্যের আলো থেকে পেট ঢেকে রাখা দরকার কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দাগ আরো গাড় করে দেয়।

শেষ কথা, বাচ্চা হওয়ার পর পেটের দাগ দূর করার উপায়

বাচ্চা হওয়ার পর পেটের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে উপরের লেখাটি থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। বাচ্চা হওয়ার পর পেটের দাগ দূর করার উপায় কে বলা যায় যেন একটি মলিন ফুলকে আবার ফুটিয়ে তোলার মত। যেমন একটি ফুল রোদ পানি আর যত্ন পেলে ধীরে ধীরে তার সৌন্দর্য ফিরে পাই তেমনি মায়ের পেটের তপন নিয়মিত যত্নে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে আর ভিটামিন সমৃদ্ধ তেল বা ক্রিম ব্যবহারে আবার আগের কোমলতা ফিরে পাই। ধৈর্য আর নিয়মিত পরিচর্যা  করলেই এটি দূর করা সম্ভব। 

বাচ্চা-হওয়ার-পর-পেটের-দাগ-দূর-করার-উপায়

তাই বলা যায় যেমন প্রকৃতি সময় নিয়ে তার রূপ ফেরায় তেমনি মা ও একটু যত্নে নিজের ত্বকে আরো আগের মত উজ্জ্বল ও দাগহীন করে তুলতে পারেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে। ধৈর্য ধরে এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো তথ্য বা সেবা পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার অনুরোধ রইলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ক্রিয়েটিভ ভেরিটিনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url